মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ; প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
- আপডেট টাইম : ০৫:১১:৫২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩
- / ২০২ ৫০০০.০ বার পাঠক
ঠাকুরগাঁওয়ের ঢোলারহাটে ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদের নামে মিথ্যা অপবাদ ও সঠিক তথ্য উদঘাটন না করে মনগড়া ভুল প্রতিবেদন প্রকাশ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে ভুক্তভোগী রশিদের আয়োজনে রুহিয়া রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্যটি পাঠ করেন ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ।
আব্দুর রশিদ জানান, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নের বোয়ালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে পশ্চিমে প্রকাশ মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার (কাবিটা) প্রকল্পের সভাপতি হিসেবে ১ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকার বরাদ্দ আমার মাধ্যমে হয়।
এই বিষয়টিকে ঘিরে কিছু কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপবাদ, অপপ্রচার, মিথ্যাচার ছড়িয়ে ব্যক্তিস্বার্থকেন্দ্রিক কিছু সাংবাদিকদের নিয়ে এসে মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আমার বিরুদ্ধে সেই কুচক্রী মহল গ্রামের সহজ সরল লোকদের কাছ থেকে সই স্বাক্ষর নিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবর একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগে জানা যায়, উক্ত প্রকল্পের টাকা শ্রমিকের কাজের বিনিময়ে না দিয়ে ভুয়া শ্রমিকের মাস্টাররোল তৈরি করে সমস্ত টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছি। এই তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
কিছু মিথ্যা প্ররোচনায় কিছু ব্যক্তি স্বার্থকেন্দ্রিক সাংবাদিক ভাইয়েরা আমার বিরুদ্ধে মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করেন। যা আমার দৃষ্টিগোচর হয়। উক্ত সংবাদের পরিবেশনের ভিক্তিতে আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সেই সাথে সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
তিনি আরো জানান, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগে স্বাক্ষরকারী আব্দুল গফুর তিনি গতবছরে ডিসেম্বোর মাসে ১৪জন শ্রমিকের মাধ্যমে আমার এ প্রকল্পে কাজ করেন। আমি কাজের বিনিময়ে ১৮ হাজার ২ শত টাকা পরিশোধ করি আব্দুল গফুরকে। পরবর্তীতে অন্য শ্রমিক দিয়ে রাস্তার বাকি কাজ করাই।
অভিযোগের স্বক্ষরকারী আজিজুল হক ও রাজ্জাক আমার ওয়ার্ডের লোক নয়, তারা অন্য ওয়ার্ডের ব্যাক্তি। আমি তাদের জিঙ্গাসা করলে তারা জানায় দুইজন ব্যাক্তিকে ভয়ভীতি দিয়ে সাক্ষর চায়। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ও তথ্য প্রবেশনকারী রুহিয়ার মাধবপর গ্রামের দহির উদ্দীনের ছেলে দুলাল উদ্দীন।
গত ২০১৮ সালে ৫ সেপ্টেম্বর তারিখে প্রথম আলো পত্রিকা সহ বিভিন্ন জাতীয় ও কিছু অনলাইন পত্রিকায় তার অপকর্ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে তার সকল দলীয় পদ চলে যায়, তখন থেকে সে আমার প্রতি মারিয়া হয়। আমি এলাকার একজন ইউপি সদস্য হওয়ায় সে আমার প্রতি ক্ষিপ্ত, আমার মানহানির জন্য সে কিছু সাংবাদিক দিয়ে ও আব্দুল রাজ্জাক, আব্দুল গফুর, আজিজুল ইসলামকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে মাধবপুর থেকে বোয়ালিয়া স্কুল, বোয়ালিয়া স্কুল থেকে প্রকাশ মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত নতুন করে কাজ হবে মর্মে তাদের কাছে স্বাক্ষর নিয়েছে। সদর উপজেলা সমন্বয় কর্মকর্তা (পিআইও) আমার প্রকল্পের কাজ দেখে গেছেন। অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার কথা বলেছেন এর পর দ্বিতীয় কিস্তিতে টাকা পাব বলে আশ্বাস দেন।
পরিশেষে বিষয়টি নিয়ে সঠিক তথ্য উদঘাটন করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশসহ প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেন ভুক্তভোগী আব্দুর রশিদ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ইউপি সদস্য নেপালি রানী, ২ নং ইউপি সদস্য অনিমেশ রায় সহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।