ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভাঙ্গুড়া ইউএনও নাজমুন নাহারের স্বেচ্ছাচারিতা ও কোটি টাকার অনিয়ম: রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অদৃশ্য প্রভাব Logo মোংলা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মানিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল Logo লক্ষীপুরের গ্রামগঞ্জে পারিবারিক বিরোধে চাচার হাতে বাতিজা খুন Logo জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর নিয়ে যা বলল বিএনপি Logo নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার আগ পর্যন্ত আমরা থামবো না: সাদিক কায়েম Logo দাবি মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রীর ‘ভারত দুই মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চাইবে’ Logo শিল্পা–রাজের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা, পুলিশের লুকআউট নোটিশ Logo নুরাল পাগলা’র দরবারে হামলার ঘটনায় মামলা, আসামি সাড়ে ৩ হাজার Logo আমরা ভারত ও রাশিয়াকে চীনের কাছে হারিয়ে ফেলেছি: ডোনাল্ড ট্রাম্প Logo কিশোরগঞ্জ জেলা ভৈরবে উপজেলার শিশু হত্যা মামলার প্রধান আসামি পরকীয়া প্রেমিক গ্রেফতার

কক্সবাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা, স্কেভেটর ভাঙচুর-সড়ক অবরোধ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:২০:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৭ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজারের বাঁকখালী নদী উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে শহরের গুনগাছতলা এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষোভকারীরা। এসময় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুর করা হয় উচ্ছেদের কাজে ব্যবহৃত স্কেভেটর।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে শহরের নুনিয়ারছড়া এলাকায় নদীর অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটি। মূলত এই উচ্ছেদের খবরে সেখানে জড়ো হয় দখলদাররা। পরে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তারা। সবশেষ পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয় বিক্ষোভকারীরা।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান বলেন, বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের পশ্চিম পাশে অবস্থিত বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাট একসময় ছিল প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র। এই ঘাট ব্যবহার করে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত চলতো জাহাজ ও যাত্রীবাহী লঞ্চ। বর্তমানে এসবই কেবল স্মৃতি। এখানে প্রায় ৩০০ একরের বেশি প্যারাবন ধ্বংস করে ও নদী ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে দুই শতাধিক পাকা-সেমিপাকা ঘরবাড়ি, দোকানপাটসহ নানা স্থাপনা। শুধু কস্তুরাঘাট নয়, নুনিয়াছাটা থেকে মাঝিরঘাট পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাঁকখালী নদী দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা।

এই পরিস্থিতিতে সোমবার বাঁকখালী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করে সরকার। পরে দ্বিতীয় দিন উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে মঙ্গলবার নদীর উচ্ছেদ অভিযানে বাধা ও হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এসআই মো. জাকির হোছাইন বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে বৃহস্পতিবার আবারও উচ্ছেদে নামে প্রশাসন, সেদিনও সকাল থেকে নদীর দুটি অংশের সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ করেন দখলদাররা।

কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর তীরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুটি মামলার হয়েছে।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াস খানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দুই মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬০০ জনকে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাঙ্গুড়া ইউএনও নাজমুন নাহারের স্বেচ্ছাচারিতা ও কোটি টাকার অনিয়ম: রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অদৃশ্য প্রভাব

কক্সবাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা, স্কেভেটর ভাঙচুর-সড়ক অবরোধ

আপডেট সময় ০৩:২০:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কক্সবাজারের বাঁকখালী নদী উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে শহরের গুনগাছতলা এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষোভকারীরা। এসময় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুর করা হয় উচ্ছেদের কাজে ব্যবহৃত স্কেভেটর।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে শহরের নুনিয়ারছড়া এলাকায় নদীর অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটি। মূলত এই উচ্ছেদের খবরে সেখানে জড়ো হয় দখলদাররা। পরে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তারা। সবশেষ পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয় বিক্ষোভকারীরা।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান বলেন, বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের পশ্চিম পাশে অবস্থিত বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাট একসময় ছিল প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র। এই ঘাট ব্যবহার করে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত চলতো জাহাজ ও যাত্রীবাহী লঞ্চ। বর্তমানে এসবই কেবল স্মৃতি। এখানে প্রায় ৩০০ একরের বেশি প্যারাবন ধ্বংস করে ও নদী ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে দুই শতাধিক পাকা-সেমিপাকা ঘরবাড়ি, দোকানপাটসহ নানা স্থাপনা। শুধু কস্তুরাঘাট নয়, নুনিয়াছাটা থেকে মাঝিরঘাট পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাঁকখালী নদী দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা।

এই পরিস্থিতিতে সোমবার বাঁকখালী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করে সরকার। পরে দ্বিতীয় দিন উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে মঙ্গলবার নদীর উচ্ছেদ অভিযানে বাধা ও হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এসআই মো. জাকির হোছাইন বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে বৃহস্পতিবার আবারও উচ্ছেদে নামে প্রশাসন, সেদিনও সকাল থেকে নদীর দুটি অংশের সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ করেন দখলদাররা।

কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর তীরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুটি মামলার হয়েছে।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াস খানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দুই মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬০০ জনকে।


প্রিন্ট