পিরোজপুরের নাজিরপুুরে লেবুজিলবুনিয়া গ্রামের ফাতেমা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধুকে যৌতুকের দাবীতে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৬ মার্চ রোববার উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের লেবুজিলবুনিয়া গ্রামে। ফাতেমা বেগম ওই গ্রামের মিল্লাত হাওলাদারের স্ত্রী, এবং দেউলবাড়ী ইউনিয়নের দেউলবাড়ী গ্রামের মোঃ রফিক মাঝির কন্যা।
এবিষয়ে গৃহবধুর পিতা রফিক মাঝি জানায়,যৌতুকের দাবীতে বিগত দিনে বেশ কয়েকবার আমার জামাই মিল্লাত হাওলাদার মেয়েকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে। আমার মেয়ের শান্তির কথা চিন্তা করে স্থানীয় ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়ে তাকে সুস্থ করে আইনের আশ্রয় না নিয়ে স্বামীর ঘরে রেখে আসি। তারই ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চ বিকাল ৫ টায় পুনরায় যৌতুকের দাবী করায় আমার মেয়ে অস্বাীকৃতি জানালে শারিরীকভাবে নির্যাতন করে। আমি মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে নাজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। সে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এব্যাপারে আমি ঘটনার বিবরণ দিয়ে নাজিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
এবিষয়ে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: শিপন পাল জানান, গতকাল ফাতেমা বেগম নামে একজন রোগী আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ভর্তি রাখা হয়েছে, আহতের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি নাইট ডিউটি করায় বর্তমানে রেষ্টে আছি ভর্তি রেজিষ্ট্রার না দেখে আহতের বিষয় বলতে পারছি না।
এবিষয়ে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির জানায়, ঘটনাটি শুনেছি, মেয়ের বাবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে, তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।