ঢাকা ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আটক ফুলবাড়ীতে মহান মে দিবস উদযাপন সব জিনিসের দাম বাড়লেও কমেছে পাদুকা শ্রমিকের দাম ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে গাজীপুর মহানগরীর বাইপাস চৌরাস্তা থেকে বোর্ডবাজার পর্যন্ত বিশাল মিছিল ও শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে শ্রমিকদের আগের অবস্থায় রেখে নতুন বাংলাদেশ সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে সকল মেহনতি শ্রমিকদের প্রতি প্রাণঢালা অভিনন্দন নাগরপুর-দেলদুয়ার আসনের সকলের শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম এর পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক, মে দিবস উপলক্ষে, পিরোজপুর জেলার, মঠবাড়ীয়া উপজেলায়, রিকশা-ভ্যান অটো শ্রমিক দলের বর্ণাঢ্য রেলী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩৫ কিলোমিটার যানজট। ছবি: সবুজ সংকেত’ পেয়ে বিএনপি মিত্রদের নির্বাচনি তোড়জোড় পাবনা পার- ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন বিএনপির ৪ও৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র কর্মী সম্মেলন

শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

মোঃনাইমুর রহমান তালুকদার রহমান , শেরপুর জেলা প্রতিনিধি :
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ১৮০ ৫০০০.০ বার পাঠক

শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্বাসরোধে হত্যার

ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মকবুল হোসেন ওরফে লালে (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে
মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. ইমান আলী শেখ আসামির
উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। একইসাথে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা
হয়েছে। আসামি মকবুল হোসেন সদর উপজেলার মির্জাপুর কান্দিপাড়া গ্রামের মো.
আশরাফ আলীর ছেলে ও তিন সন্তানের জনক। এদিকে একই ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত না
হওয়ায় মকবুল হোসেনের মা বকুলা বেগমকে বেকসুর খালাস দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম
কিবরিয়া বুলু জানান, প্রায় ১৪ বছর আগে মকবুল হোসেনের সাথে বিয়ে হয়
ঝিনাইগাতী উপজেলার বাতিয়াগাঁও গ্রামের মো. রেফাজ উদ্দিনের মেয়ে মোছা.
নুরুন্নাহারের। দাম্পত্য জীবনে ২ মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয় তাদের সংসারে। কিন্তু ঘটনার ২/৩ বছর পূর্বে থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নুরুন্নাহারকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে স্বামী মকবুল হোসেন। এক পর্যায়ে ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে নুরুন্নাহারকে যৌতুকের দাবিতে প্রচণ্ড মারপিট করে ও শ্বাসরোধে হত্যা করার পর মুখে বিষ ঢেলে তার লাশ জেলা সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় মকবুল হোসেন। ওই ঘটনায় পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি নুরুন্নাহারের বড় ভাই আব্দুল জলিল বাদী হয়ে মকবুল হোসেনসহ ৬ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং একইদিন মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ২ নভেম্বর আসামি মকবুল হোসেন ও তার মা বকুলা বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সদর থানার তৎকালীন এসআই শরীফ হোসেন। বিচারিক পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক,
তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার দুপুরে মকবুল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও তার মা বকুলা বেগমকে খালাসের রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট টাইম : ১১:৫৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্বাসরোধে হত্যার

ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মকবুল হোসেন ওরফে লালে (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে
মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. ইমান আলী শেখ আসামির
উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। একইসাথে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা
হয়েছে। আসামি মকবুল হোসেন সদর উপজেলার মির্জাপুর কান্দিপাড়া গ্রামের মো.
আশরাফ আলীর ছেলে ও তিন সন্তানের জনক। এদিকে একই ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত না
হওয়ায় মকবুল হোসেনের মা বকুলা বেগমকে বেকসুর খালাস দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম
কিবরিয়া বুলু জানান, প্রায় ১৪ বছর আগে মকবুল হোসেনের সাথে বিয়ে হয়
ঝিনাইগাতী উপজেলার বাতিয়াগাঁও গ্রামের মো. রেফাজ উদ্দিনের মেয়ে মোছা.
নুরুন্নাহারের। দাম্পত্য জীবনে ২ মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয় তাদের সংসারে। কিন্তু ঘটনার ২/৩ বছর পূর্বে থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নুরুন্নাহারকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে স্বামী মকবুল হোসেন। এক পর্যায়ে ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে নুরুন্নাহারকে যৌতুকের দাবিতে প্রচণ্ড মারপিট করে ও শ্বাসরোধে হত্যা করার পর মুখে বিষ ঢেলে তার লাশ জেলা সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় মকবুল হোসেন। ওই ঘটনায় পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি নুরুন্নাহারের বড় ভাই আব্দুল জলিল বাদী হয়ে মকবুল হোসেনসহ ৬ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং একইদিন মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ২ নভেম্বর আসামি মকবুল হোসেন ও তার মা বকুলা বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সদর থানার তৎকালীন এসআই শরীফ হোসেন। বিচারিক পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক,
তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার দুপুরে মকবুল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও তার মা বকুলা বেগমকে খালাসের রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।