ঢাকা ০২:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ! ব্যাংক খাত ধ্বংসের শুরুটা হয় এসকে সুরের হাত দিয়ে গ্যাস-সংকটে চট্টগ্রামে দেশি বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা মাত্র ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট হলে নতুন বিনিয়োগ বাড়বে ঢাকা রাজধানী শাজাহানপুর ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার করেছে পুলিশ গাজীপুরে প্রতিবেশীদের হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত দুই: তদন্তে পুলিশ নাসিরনগরে মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক এ্যাডভোকেসী সভা ভৈরবে আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত অফিস থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে বাংলাদেশী আটক ওভারটাইম আর নাইট বিলের টাকায় গড়েছেন 📖 সবার জন্য পড়া উন্মুক্ত পাঠাগার মাগুরায় বিজ্ঞান মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ

বন্দরটিলা আয়শার মার গলি এলাকায় ছারপোকার ঔষধের বিষক্রিয়াতে দুই বোনের মৃত্যু

মোঃ শহিদুল ইসলাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান চট্রগ্রামঃ
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫৪:০৩ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৩
  • / ১৪১ ৫০০০.০ বার পাঠক

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন দক্ষিণ হালিশহর বন্দরটিলায় বাসায় হঠাৎ করে অসুস্থ্য‌ হয়ে আপন দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। পথের ভাসমান বিক্রেতার কাছ থেকে কেনা পোকা মারার ওষুধের বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তবে মৃত্যুর কারণ আরও খতিয়ে দেখার কথাও জানিয়েছে ইপিজেড থানা পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ইপিজেডের বন্দরটিলার আয়শার মার গলি এলাকায় লেদাইয়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত রহিমা আক্তার (২৪) ও ফজিলা আক্তার (১৬) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া এলাকার ইদ্রিস আলীর মেয়ে। এর মধ্যে রহিমার বিয়ে হয়েছে। তার স্বামী প্রবাসী। দুই বোনই চাকরি করে। রহিমা সুইটার ফ্যাক্টরিতে এবং ফজিলা ইয়াংওয়ানে কাজ করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর করিম সাংবাদিকদের বলেন, তারা রাতে ঘুমানোর আগে ছারপোকা নিধনের ওষুধ ঘরে দিয়ে দরজা জানালা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও পরে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তারা মারা যান। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ছারপোকার ওষুধ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওষুধের গ্যাসের প্রভাবেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবুও মৃত্যুর আসল কারণ খতিয়ে দেখতে আমরা আমাদের তদন্ত চালিয়ে যাব।

তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজিলাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিমাও বিকেলে মারা যায়। বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। জানতে চাইলে তাদের বড় বোন নাজমা আখতার সাংবাদিকদের বলেন, অসুস্থতার খবর পেয়ে আমরা তাড়াতাড়ি বাসায় যাই। আমরা যাওয়ার আগেই ফজিলা মারা গিয়েছিল। রহিমা তখনও কথা বলতে পারছিল।
সে জানায়,রাতে ছারপোকা মারার ওষুধ ছিটিয়ে তারা দরজা জানালা বন্ধ করে। এরপর ভাত ও ডালিম খেয়ে শুয়ে পড়ে। হঠাৎ রাতে তারা অসুস্থ বোধ করে। কিছুক্ষণ পর পর বমি করছিল। এরপর আর কিছু বলতে পারেনি সে। পরে দু’জনকে বন্দরটিলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং পরে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজিলাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পর বিকেলের দিকে রহিমাও মারা গেছেন বলে জানান।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বন্দরটিলা আয়শার মার গলি এলাকায় ছারপোকার ঔষধের বিষক্রিয়াতে দুই বোনের মৃত্যু

আপডেট টাইম : ০৬:৫৪:০৩ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৩

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন দক্ষিণ হালিশহর বন্দরটিলায় বাসায় হঠাৎ করে অসুস্থ্য‌ হয়ে আপন দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। পথের ভাসমান বিক্রেতার কাছ থেকে কেনা পোকা মারার ওষুধের বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তবে মৃত্যুর কারণ আরও খতিয়ে দেখার কথাও জানিয়েছে ইপিজেড থানা পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ইপিজেডের বন্দরটিলার আয়শার মার গলি এলাকায় লেদাইয়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত রহিমা আক্তার (২৪) ও ফজিলা আক্তার (১৬) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া এলাকার ইদ্রিস আলীর মেয়ে। এর মধ্যে রহিমার বিয়ে হয়েছে। তার স্বামী প্রবাসী। দুই বোনই চাকরি করে। রহিমা সুইটার ফ্যাক্টরিতে এবং ফজিলা ইয়াংওয়ানে কাজ করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর করিম সাংবাদিকদের বলেন, তারা রাতে ঘুমানোর আগে ছারপোকা নিধনের ওষুধ ঘরে দিয়ে দরজা জানালা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও পরে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তারা মারা যান। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ছারপোকার ওষুধ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওষুধের গ্যাসের প্রভাবেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবুও মৃত্যুর আসল কারণ খতিয়ে দেখতে আমরা আমাদের তদন্ত চালিয়ে যাব।

তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজিলাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিমাও বিকেলে মারা যায়। বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। জানতে চাইলে তাদের বড় বোন নাজমা আখতার সাংবাদিকদের বলেন, অসুস্থতার খবর পেয়ে আমরা তাড়াতাড়ি বাসায় যাই। আমরা যাওয়ার আগেই ফজিলা মারা গিয়েছিল। রহিমা তখনও কথা বলতে পারছিল।
সে জানায়,রাতে ছারপোকা মারার ওষুধ ছিটিয়ে তারা দরজা জানালা বন্ধ করে। এরপর ভাত ও ডালিম খেয়ে শুয়ে পড়ে। হঠাৎ রাতে তারা অসুস্থ বোধ করে। কিছুক্ষণ পর পর বমি করছিল। এরপর আর কিছু বলতে পারেনি সে। পরে দু’জনকে বন্দরটিলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং পরে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজিলাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পর বিকেলের দিকে রহিমাও মারা গেছেন বলে জানান।