রংপুরে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- আপডেট টাইম : ০৯:২৭:২১ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২
- / ২১৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
বাংলাদেশ প্রেসক্লাব রংপুর জেলা শাখার উদ্যোগে বিশেষ আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ৯ ডিসেম্বর ২০২২ইং শুক্রবার রংপুর মহানগরীর গুপ্তপাড়াস্থ জেলা কার্যালয়ে বাদ মাগরিব, রংপুর জেলা শাখার সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক এনামুল হক স্বাধীন’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব রংপুর বিভাগীয় শাখার সভাপতি ও রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক নতুন স্বপ্ন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক – বিশিষ্ট সাংবাদিক আ: আজিজ চৌধুরী সাঈদ। বাংলাদেশ প্রেসক্লাব রংপুর জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলী তুষারের সঞ্চালনায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় বিশেষ আলোচনা ও মতবিনিময় সভা। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক (ইউপি সদস্য) সাংবাদিক- শাহীন মির্জা সুমন।
উক্ত আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন রংপুর জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক রুস্তম আলী সরকার। তিনি বলেন, আজকে পত্রিকা খুললেই দেখা যায়, সাংবাদিকরা নির্যাতনের শিকার হয়েছে! আজকে ফেসবুকে ঢুকলেই দেখা যায় সাংবাদিকদের নামে মামলা! কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো এই গণমাধ্যম কর্মীরা কেন আক্রমণের শিকার হবে?কেন সাংবাদিকরা মার খাবে? কেন সাংবাদিকরা মিথ্যা মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে আদালতের বারান্দায় ঘুরবে? সাংবাদিকরাতো মানুষের জন্য কাজ করে। সাংবাদিকরাতো মানবতার জন্য কাজ করে। সাংবাদিকরাতো মানবাধিকারের জন্য কাজ করে। তাহলে কেন আমাদের মার খেতে হবে? আজকে দেখা যায় কোন সাংবাদিক যদি দূর্ণীতিবাজের রোষানলে পরে, তাহলে সাধারণ মানুষকে আমাদের পাশে পাওয়া যায়না। তাই আমি সাংবাদিকদের আহবান করবো আসুন বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের পতাকা তলে। আপনার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা একমাত্র বাংলাদেশ প্রেসক্লাব’ই দিতে পারে। কারণ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, স্বাধীনতার চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনসাধারণ তথা সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। যার প্রমাণ ইতিপূর্বে বাংলাদেশের মানুষ দেখেছেন। বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের কার্যক্রম এখন দেশের প্রায় প্রত্যেকটি জেলা উপজেলায় চলমান। তাই গণমাধ্যম কর্মীদের নিজ প্রয়োজনে আসুন একে অপরের সাথে কাঁধেকাঁধ মিলিয়ে কাজ করি।
বাংলাদেশ প্রেসক্লাব রংপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি সাংবাদিক একরামুল হক বলেন, ইদানীং সাংবাদিকদের মাঝে কোন ঐক্য না থাকায়, মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে, অনেক যায়গায় সন্ত্রাসী দুর্ণীতিবাজ, চাঁদাবাজ, ধান্ধাবাজ, মাদক কারবারিদের হাতে আমাদের সহকর্মীদের হেনস্থার শিকার হতে হয়। অনেক সময় রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে থাকা বড় বাবুরাও সাংবাদিকদের উপর জুলুম নির্যাতন করে থাকেন। তাই আমার আহবান থাকবে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের প্রত্যেকটি সদস্য সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করবে। কাজ করতে গিয়ে কেউ আক্রান্ত হলে পরে আমরা বসে থাকবো না।
সভার সমাপনী বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক এনামুল হক স্বাধীন, উপস্থিত সকল সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সরকারিভাবে রেজিষ্ট্রেশন করা একটি সাংবাদিক সংগঠন। এই সংগঠনের জন্মই হয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের জন্য। এই সংগঠনের জন্ম হয়েছে নির্যাতিত নিপীড়িত গণমাধ্যম কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের জন্য। আজকে শুধু সাংবাদিক নয় এ দেশের মানুষ প্রত্যেক নাগরিক বিশ্বাস করে, গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলেই কেবল একটি দুর্ণীতিমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব। তাই গভীর দেশপ্রেম এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হৃদয়ের গভীরে লালন করেই, আমাদের অভিভাবক বিশিষ্ট সাংবাদিক
বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা- কেন্দ্রীয় সভাপতি ফরিদ খান অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে স্বাধীন সার্বভৌমত্বের নামে নামকরণ করে, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছেন। বাংলাদেশ প্রেসক্লাব শুধু একটি সংগঠন নয় এটি একটি পরিবার। আর আমরা সবাই এই পরিবারের সদস্য, কার কি পদ, বা কার কি অবস্থা সেটি বড় কথা নয়। আমাদের সকলের চেতনা থাকবে একটাই সেটি হলো আমরা সকলেই এক। পরিশেষে তিনি সকলের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব রংপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রিপুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক নুর-ই- রাব্বি। সাংগঠনিক সম্পাদক- কোষাধ্যক্ষ- মোশাররফ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ বাবু। স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক- জুয়েল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক-মশিউর রহমান ইশাদ। কার্যকরী সদস্য- মাটি মামুন, কার্যকরী সদস্য- এস এম রাশেদ নেওয়াজ। সদস্য- সোহাগী আক্তার, সদস্য – মনিষা মৌ শামীম রানা, হিমেল মিত্র অপু,রোকনুজ্জামান,মোস্তাক আহম্মেদ বাবু প্রমুখ।