গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ নৌকার উপর চোখ রাখুন চট্টগ্রামের বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট টাইম : ১১:৪১:২২ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২
- / ১৪৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলেছেন, ১০ই ডিসেম্বর বিএনপি’র খুব প্রিয় তারিখ, এজন্যই তারা ওইদিন ঢাকায় সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১০ই ডিসেম্বর নাকি তারা ঢাকা অচল করে দেবে। ১০ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে এদেশে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মিশন শুরু হয়েছিল। এ কারণেই এই তারিখ বিএনপি’র এত প্রিয়। তিনি বলেন, চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল বলেই ভোটে ভয় পায় বিএনপি। ভোট পাবে না বলে বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে সরকার উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করতে চায়। দেশে আজকে গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি’র দুটি গুণ আছে। ভোট চুরি আর মানুষ খুন।
চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত বিশাল জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। জনসভা মঞ্চে উঠে চট্টগ্রামের ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর দোয়া ও মোনাজাত শেষে মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। জনসভা সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। দীর্ঘ ১০ বছর পর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে জনসভায় ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে আমি আপনাদের জন্য উপহার নিয়ে এসেছি। ২৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিজয়ের মাসে এগুলো চট্টগ্রামবাসীর জন্য আমার উপহার। এ সময় চট্টগ্রামে প্রয়াত আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের স্মরণ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বলেন, চট্টগ্রামের কথা সব সময় আমার মনে পড়ে। বাবা জেল থেকে বের হলেই চট্টগ্রামে নিয়ে আসতেন। করোনার কারণে দীর্ঘ সময় আসতে পারিনি তাই আজ হাজির হয়েছি। এই লালদীঘির সামনে ১৯৮৮ সালের ২৪শে জানুয়ারি আমাকে হত্যা করতে গুলি করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে খালেদা জিয়াও জড়িত ছিলেন। সেই হত্যা চেষ্টাকারী পুলিশ অফিসারকে প্রমোশন দেয়া হয়। বেশিদিন আগের কথা নয়, ২০০১ এর নির্বাচনের পর এই চট্টগ্রামে হিন্দু, বৌদ্ধরা কেউ রেহাই পায়নি, তাদের (বিএনপি) অত্যাচার থেকে।
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) মানুষের শান্তি চায় না, তারা ক্ষমতায় থেকে লুটপাট করেছে, জিয়াউর রহমান যখন মারা যান তখন ৪০ দিন পর্যন্ত শুনেছিলাম জিয়াউর রহমান নাকি কিছু দিয়ে যাননি ভাঙা একটা সুটকেস ছাড়া। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেই হাওয়া ভবনের নামে এত টাকা কই পেলেন? ভাঙা সুটকেসে কি জাদু ছিল?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি’র দুটি গুণ আছে। একটি হলো ভোট চুরি, অপরটি মানুষ খুন। ২০১৪ সালে বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। তিন হাজারের বেশি মানুষ তখন আহত হয়েছে। ৫০০ এর বেশি মানুষ মারা গেছে। অনেক গাড়িতে আগুন দিয়েছে তারা। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মানুষ পুড়িয়ে মারার হিসাব একদিন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে দিতে হবে। বিএনপি দেশের ক্ষতি করে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই দেশের উন্নয়ন হয়। এই চট্টগ্রামে আমরা ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। সরকার প্রধান বলেন, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অধিকার আছে, এই আইন জাতির পিতা করে গিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি এই আইন ও অধিকার বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয়নি। জিয়ার জন্ম কলকাতায় আর পড়াশোনা করেছে করাচিতে। এরপর সেনাবাহিনীতে আসে।
আমরা সেই সমুদ্র জয় করেছি। আজ সেগুলো আমাদের কাজে লাগছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিদ্যুৎ নিয়ে কিছুদিন কষ্ট হয়েছিল। ভবিষ্যতে আর হবে না ইনশাল্লাহ। তবে আপনাদের কাছে অনুরোধ, সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত করতে হবে। আপনারা জানেন না, এই শীতকালে ইউরোপের ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের কী অবস্থা। তারা গরম পানি পাচ্ছে না। তারা রুম হিট করতে পারছে না। এক রুমের মধ্যে সমস্ত পরিবার নিয়ে থাকতে হচ্ছে। দোকানে গেলে জিনিস কিনতে পারে না। হয়তো এক প্যাকেট জিনিসের বেশি একটি পরিবার কিনতে পারবে না। এমন অবস্থা তাদের। আমি বলতে চাই, বাংলাদেশে এই অবস্থা হবে না। আমরা মানুষের সবরকম সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখবো কিন্তু আপনাদের সহযোগিতা চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের গড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ করোনার সময় আমাদেরকে সহযোগিতা করেছে। কাজেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এখনো পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে মজবুত। সারা বিশ্বব্যাপী এখন খাদ্য, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের অভাব। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি আমাদের দেশের মানুষ যাতে ভালো থাকে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। জামায়াত-বিএনপিকে দেশের মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আপনারা ভোট দিয়ে আবারো আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করবেন। আপনারা হাত তুলে ওয়াদা করেন। আপনারাই আমার পরিবার, আপনারাই আমার সব। ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে বিএনপির আন্দোলনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা, মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করার জবাব একদিন খালেদা জিয়া-তারেক জিয়াকে দিতে হবে, এর হিসাব একদিন জনগণ নেবে। রিজার্ভ এবং ব্যাংকে টাকা নেই বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, একটা গুজব ছড়ানো হচ্ছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি আমি, আর সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে অপপ্রচার করছে। অথচ এই কয়েকদিনে যারা টাকা তুলতে গেছে তারা সবাই তো টাকা তুলতে পেরেছে। মানুষকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে আমার একটা কথা আছে আপনি ব্যাংকে টাকা রাখবেন, না আপনি খাটের নিচে, বালিশের নিচে না আলমারিতে রাখবেন, চোরেও তো নিয়ে যেতে পারে।
বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে চোরের সখ্যতা আছে কিনা এমন প্রশ্ন করে তিনি বলেন, এই যে মানুষের সর্বনাশ করা এটাই কি বিএনপি-জামায়াত শিবিরের কাজ। নাকি তাদের সঙ্গে চোরের সখ্যতা আছে, চোরকে চুরি করার সুযোগ করে দেয়া। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২১শে আগস্ট আমাদের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। হামলায় আইভি রহমানসহ আমাদের ২২ জন নেতাকর্মী মারা যান। আমাকে আমার নেতকর্মীরা মানবঢাল তৈরি করে রক্ষা করেন। আমিও সেদিন মারা যেতে পারতাম। নেতকর্মীরা আমাকে বাঁচিয়েছেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ারা পারে মানুষ হত্যা করতে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিরা মানুষ হত্যা করেছিল, এজন্যই পাকিস্তানি দোসর বিএনপি-জামায়াত মিলে মানুষ হত্যা করেছে। বাসে আগুন, লঞ্চে আগুন দিয়ে তারা মানুষ হত্যা করেছে। চারিদিকে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছে তারা, তিন হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, অনেকে আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে এতটুকু মনুষ্যত্ব আছে, তারা এভাবে মানুষ হত্যা করতে পারে? বিএনপি’র দুটি গুণ, মানুষ হত্যা আর ভোট চুরি। এজন্য তারা ভোট চায় না। আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে। আওয়ামী লীগ আসলে দেশে উন্নতি হয়। শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেই কীভাবে মানুষ খুন করেছে আপনারা দেখেছেন। চট্টগ্রামে এমন নেতাকর্মী নেই যাদের ওপর হামলা করে নাই। তাদের হাত থেকে কেউ রেহাই পায় নাই। তিনি বলেন, আমরা কষ্ট করে রিজার্ভ বাড়ালাম। দ্বিতীয়বার যখন ক্ষমতায় আসি তখন রিজার্ভ মাত্র পাঁচ বিলিয়ন ডলার। আমরা রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে গেছিলাম। আমরা বাংলাদেশে বিনামূল্যে টিকা দিয়েছি। রিজার্ভের টাকা মানুষকে দিয়েছি, ওষুধ কিনেছি, ভ্যাকসিন কিনেছি। দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। করোনা পরীক্ষা বিনামূল্যে করিয়েছি। জনগণের কথাই আমরা ভাবি, তাদের কল্যাণেই কাজ করি। সরকারপ্রধান বলেন, ৩৫ লাখ মানুষকে বিনা পয়সায় ঘর করে দিয়েছি, একটি মানুষও ঘরহীন থাকবে না। ওরা মানুষকে কিছু দিয়েছে? কয়েকদিন আগে সারা দেশে ১০০টি সেতু, পার্বত্য চট্টগ্রামে স্কুল কলেজ, রাস্তাঘাট, বাজার করে দিয়েছি। পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে আমরা কাজ করেছি।
জনসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সংবিধান সংশোধনের দিবাস্বপ্ন ভুলে যান। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভুলে যান। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না। তিনি বলেন, লন্ডন ও দুবাই থেকে ফখরুল সাহেবের কাছে টাকা আসে। সেই টাকার বস্তা নিয়ে তিনি সমাবেশ করতে যান। তিনি বলেন, আমীর খসরু সাহেব, নোমান সাহেব, মীর নাসির সাহেব শুনুন, ফখরুল না হয় দেখছেন না, ফখরুলকে বলেছি কান পেতে শুনুন মহাসাগরের গর্জন। আপনি শুনতে পাচ্ছেন? আপনি শুনতে না পেলে আমীর খসরু সাহেব, নোমান সাহেব ও মীর নাসির সাহেব আজ দেখুন চট্টগ্রামের কী অবস্থা। দেখেছেন?
জনসমাবেশে নেতারা যা বললেন: জনসভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন চট্টগ্রামে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের জন্য অনেক করেছেন। এই ঋণ আমরা চট্টগ্রামবাসী কোনো দিন শোধ করতে পারবো না।
আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘জিয়া, বিএনপি, খালেদা, এরশাদ মিলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বন্দি করেছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই বন্দি গণতন্ত্রকে মুক্ত করে ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজ বিএনপি’র মুখে শুনি গণতন্ত্র আর ভোটের কথা। লজ্জা করে না? এই বিএনপিই রাতের অন্ধকারে ভোট চুরি করেছিল, হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট নিয়েছিল। ১০ই ডিসেম্বর নিয়ে বিএনপি নেতাদের অনেক তর্জন-গর্জন শুনছি। মির্জা ফখরুল সাহেবকে পরিষ্কার করে বলতে চাই- বাড়াবাড়ি করলে পরিণতি ভালো হবে না।
আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এবং নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ও বাহাউদ্দিন নাছিম, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম এবং দক্ষিণের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ।
সকাল থেকেই মিছিলের নগরী চট্টগ্রাম: এদিকে জনসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই মিছিলের নগরীতে পরিণত হয় বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যানার ফেস্টুন সহকারে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলের দিকে আসেন নেতাকর্মীরা। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গাড়িবহর নিয়ে শহরে প্রবেশ করেন তারা।
মফস্বলের অনেকে কয়েকদিন আগেই চলে আসেন চট্টগ্রাম নগরে। এরমধ্যে দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপ থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ট্রলার ও বোটে করে গত শনিবার বিকালে সীতাকুণ্ড ঘাটে এসে জড়ো হন। পরে বাসযোগে নগরীতে এসে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও কমিউনিটি সেন্টারে ওঠেন তারা। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সন্দ্বীপ উপজেলার মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান জানান, পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে ২৫টি ট্রলারযোগে হাজার হাজার নেতাকর্মী গত শনিবারই চট্টগ্রাম নগরে চলে আসেন। সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা দারুণভাবে উজ্জীবিত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন,‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের আজকের নবীন অফিসাররাই হবে ৪১-এর সৈনিক, যারা বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। লক্ষ্য স্থির রেখে আমরা এগিয়ে যাবো, এটাই চাই। দেশের দুর্যোগ-দুর্বিপাক সব ক্ষেত্রেই সেনাবাহিনী যথাযথ ভূমিকা পালন করবে আশা করছি।