ঢাকা ০৬:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ১৯ দিনে এলো ২১ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে ফোর্স নিতে জাতিসংঘকে আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাকরাইলে জাল জালিয়াতির রাজউক নকশার মাধ্যমে গড়ে তোলেন বহুতল ভবন কোস্ট গার্ডের অভিযানে ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটকসহ জিম্মি থাকা দুই জেলে উদ্ধার ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ ইউনিফর্ম ও অস্ত্রধারী আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সার্বভৌম সীমা লঙ্ঘন করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ : মিয়া গোলাম পরওয়ার চকলেটের লোভ দেখিয়ে কিন্ডার গার্টেনের শিশুদের মাদ্রাসায় উপস্থাপন// ঠাকুরগাঁওয়ে দুদকে ধরা ভুয়া মাদ্রাসা কান্ড পুরোনো চেহারায় ফিরবে আওয়ামী লীগ, তৈরি হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান

কসবায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃতদেহ উদ্ধার: স্বজনদের অভিযোগ পরিকল্পিত হত্যা

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে ইয়াসিন মনি খান
  • আপডেট টাইম : ০১:০৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৫৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের কাশীরামপুর গ্রামে শশুর বাড়ি থেকে গত ৬ নভেম্বর নাসিমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কসবা থানা পুলিশ। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

নিহত গৃহবধূ নাসিমা আক্তার একই ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামের শাহজাহান মিয়ার মেয়ে। গত রোববার দুপুরে কাশিরামপুর গ্রামের ছবি মিয়ার বাড়ি থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহতের স্বজনরা জানান, গেল তিন বছর পূর্বে কাশিরামপুর গ্রামের ছবি মিয়ার ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী মোহন মিয়ার (৩২) সঙ্গে ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী তার বিয়ে হয়েছিল। এরপর থেকে স্বামী মোহন মিয়া, শশুর ছবি মিয়া, শাশুড়ি জমিলা খাতুন, চাচা শ্বশুর নবি মিয়া ওই গৃহবধূ নাসিমা আক্তারকে যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা শুরু করে। এ নিয়ে গেল দেড় বছর পূর্বে নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে নাসিমা আক্তার বাদী হয়ে একটি মামলা করেছিলেন। সে সময় কথিত সমাজ পতিদের মাধ্যমে পরবর্তীতে তাকে আর নির্যাতন করা হবে না এমন আশ্বাসে সালিশির মাধ্যমে সমাধান করে পুনরায় তাকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো হয়। এরপর কিছুদিন ভালোভাবে চলাে। নাসিমা আক্তারের এক বছর বয়সী এক সন্তান রয়েছে।

 

নিহতের বড় ভাই রিয়াজ মাহমুদ জানান, ওই সালিশির পরেও বিভিন্ন সময় তার বোন নাসিমা আক্তারকে তার স্বামী সিঙ্গাপুর প্রবাসী মোহন মিয়ার নির্দেশে শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতো। এক পর্যায়ে তারা তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি তার বোনের হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবিও জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পিপিএম জানান, খবর পেয়ে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ইতোমধ্যে নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে কসবা থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। অভিযুক্তদের আটক অভিযান প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কসবায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃতদেহ উদ্ধার: স্বজনদের অভিযোগ পরিকল্পিত হত্যা

আপডেট টাইম : ০১:০৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের কাশীরামপুর গ্রামে শশুর বাড়ি থেকে গত ৬ নভেম্বর নাসিমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কসবা থানা পুলিশ। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

নিহত গৃহবধূ নাসিমা আক্তার একই ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামের শাহজাহান মিয়ার মেয়ে। গত রোববার দুপুরে কাশিরামপুর গ্রামের ছবি মিয়ার বাড়ি থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহতের স্বজনরা জানান, গেল তিন বছর পূর্বে কাশিরামপুর গ্রামের ছবি মিয়ার ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী মোহন মিয়ার (৩২) সঙ্গে ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী তার বিয়ে হয়েছিল। এরপর থেকে স্বামী মোহন মিয়া, শশুর ছবি মিয়া, শাশুড়ি জমিলা খাতুন, চাচা শ্বশুর নবি মিয়া ওই গৃহবধূ নাসিমা আক্তারকে যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা শুরু করে। এ নিয়ে গেল দেড় বছর পূর্বে নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে নাসিমা আক্তার বাদী হয়ে একটি মামলা করেছিলেন। সে সময় কথিত সমাজ পতিদের মাধ্যমে পরবর্তীতে তাকে আর নির্যাতন করা হবে না এমন আশ্বাসে সালিশির মাধ্যমে সমাধান করে পুনরায় তাকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো হয়। এরপর কিছুদিন ভালোভাবে চলাে। নাসিমা আক্তারের এক বছর বয়সী এক সন্তান রয়েছে।

 

নিহতের বড় ভাই রিয়াজ মাহমুদ জানান, ওই সালিশির পরেও বিভিন্ন সময় তার বোন নাসিমা আক্তারকে তার স্বামী সিঙ্গাপুর প্রবাসী মোহন মিয়ার নির্দেশে শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতো। এক পর্যায়ে তারা তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি তার বোনের হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবিও জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পিপিএম জানান, খবর পেয়ে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ইতোমধ্যে নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে কসবা থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। অভিযুক্তদের আটক অভিযান প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছেন তিনি।