ঢাকা ১০:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ঠাকুরগাঁও রুহিয়ার বসত ঘর পুড়ে ছাই জামালপুরে জৈব সার প্রয়োগে উচ্ছের চাষ এখন জনপ্রিয়,কৃষককূল স্বাবলম্বি গাজীপুরে পুলিশের সোর্স পরিচয়ে মাদক সম্রাজ্ঞী বৃষ্টি আক্তারের যত অপকর্ম রুহিয়ায় ভোট বর্জনে বিএনপি’র লিফলেট বিতরণ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ আজমিরীগঞ্জে রুপান্তরের হুইসেল ব্লোয়ার অন্তর্ভুক্তিকরন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে সাড়ে ৫মাস পর হিলি বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি শুরু টুঙ্গিপাড়ায় নিখোঁজের একদিন পর সাংবাদিক তপু শেখ এর ছেলে লাশ উদ্ধার কুমিল্লা দেবিদ্বার থানার বাগুর গ্রামের প্রবাসী ইতালি আলমের স্ত্রী রোকসানা বেগমের পরকীয়ার কারণে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী হজ্জের গুরুত্ব ও ফজিলত : দুধরচকী

রাঙ্গাবালীতে অন্তঃস্বত্তা না হয়েও মাতৃত্বকালীন ছুটিতে লাইব্রেরিয়ান রাবেয়া

রাবেয়া ইসলাম শাওড়া চরমোন্তাজ এ ছাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে চাকুরি করছেন। প্রতিমাসে বেতন-ভাতাও তুলছেন। অথচ নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে আসছেনা। প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকেই নানা ছল-ছুতোয় অনুপস্তিত থাকছেন তিনি। আবার অন্তঃস্বত্তা না হয়েও কাটাচ্ছেন মাতৃত্বকালীন ছুটি। প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমীন অভিযুক্ত রাবেয়া ইসলাম শাওড়ার শশুর হওয়াতে বিনা কৈফিয়তে এমন অনিয়ম করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

রাবেয়ার এমন অনিয়মে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছিল সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু বরাবারের মতই শশুর-পুত্রবধু মিলে সব কিছু ম্যানেজ করে পার পেয়ে যাচ্ছেন। জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের একমাত্র মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “এ ছাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়”এ সহকারী লাইব্রেরিয়ান রাবেয়ার ইসলাম শাওড়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ ও অনুসন্ধানে জানা গেছে-২০২০ সালে ১৭ জুন রাবেয়া ইসলাম শাওড়া এ ছাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী লাইব্রেরীয়ান পদে যোগদান করেন। অভিযোগ রয়েছে-তৎকালীন সময়ে রাবেয়ার নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছিল। স্কুল প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা পকেট কমিটি হওয়ায় নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি ধামাচাপা পরে যায়। অভিযোগে বলা হয়-চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত টানা সাত মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটায় রাবেয়া। অর্থচ্য রাবেয়া ইমলাম ২০২১ সালের সেপ্টম্বরে সর্বশেষ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষ হলেও ওই বছর একদিনও বিদ্যালয়ের উপস্থিত হয়নি। আবার মাতৃত্বকালীন ছুটির ভেতরে মার্চ মাসে শুধু ১৩ দিন বিদ্যালয়ের উপস্থিত হয়েছেন। এরপূর্বে ২০২১ সালের জানুয়ারী থেকে ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত টানা ৭ মাসের মধ্য মাত্র “একদিন” বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছেন। আবার ওই বছরে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিন মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটায় রাবেয়া। বিদ্যালয়ের হাঝিরা রেজিষ্ট্রার অনুসন্ধান করে এমন তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। অনুসন্ধান বলছে-২০২১ সালের জানুয়ারী থেকে ২০২২ সালের শেষ আগষ্ট পর্যন্ত মাত্র ১৪ দিন উপস্থিত হয়েছেন রাবেয়া। রাবেয়ার অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক অহেতুক হেনস্তা হয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সংশ্লিষ্টরা বলেন-প্রধান শিক্ষক রাবেয়ার শশুর হওয়াতে তার স্বেচ্ছাচারীতা দিনদিন বেড়েই চলছে। বিদ্যালয়টি চরাঞ্চলে হওয়ার কারনে নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জর্জড়িত।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত রাবেয়া ইসলাম শাওড়া বলেন-অসুস্থ্য থাকায় ছুটিতে ছিলাম। ২০২২ সালে অন্তঃস্বত্তা না হয়েও মাতৃত্বকালীন ছুটির প্রসঙ্গে রাবেয়ার কোন সদোত্তর দেয়নি। এসকল অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমীন বলেন-রাবেয়া মাতৃত্বকালী ছুটিতে ছিল। অন্তঃস্বত্তা না হয়েও ২০২২ সালে মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক বলেন-এ তথ্য সঠিক নয়,আমি বাহিরে আছি, কাল অফিসে গিয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারবো। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুঃ মজিবুর রহমান বলেন-বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আমি নই। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁও রুহিয়ার বসত ঘর পুড়ে ছাই

রাঙ্গাবালীতে অন্তঃস্বত্তা না হয়েও মাতৃত্বকালীন ছুটিতে লাইব্রেরিয়ান রাবেয়া

আপডেট টাইম : ০৩:১৮:৩৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২

রাবেয়া ইসলাম শাওড়া চরমোন্তাজ এ ছাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে চাকুরি করছেন। প্রতিমাসে বেতন-ভাতাও তুলছেন। অথচ নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে আসছেনা। প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকেই নানা ছল-ছুতোয় অনুপস্তিত থাকছেন তিনি। আবার অন্তঃস্বত্তা না হয়েও কাটাচ্ছেন মাতৃত্বকালীন ছুটি। প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমীন অভিযুক্ত রাবেয়া ইসলাম শাওড়ার শশুর হওয়াতে বিনা কৈফিয়তে এমন অনিয়ম করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

রাবেয়ার এমন অনিয়মে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছিল সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু বরাবারের মতই শশুর-পুত্রবধু মিলে সব কিছু ম্যানেজ করে পার পেয়ে যাচ্ছেন। জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের একমাত্র মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “এ ছাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়”এ সহকারী লাইব্রেরিয়ান রাবেয়ার ইসলাম শাওড়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ ও অনুসন্ধানে জানা গেছে-২০২০ সালে ১৭ জুন রাবেয়া ইসলাম শাওড়া এ ছাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী লাইব্রেরীয়ান পদে যোগদান করেন। অভিযোগ রয়েছে-তৎকালীন সময়ে রাবেয়ার নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছিল। স্কুল প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা পকেট কমিটি হওয়ায় নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি ধামাচাপা পরে যায়। অভিযোগে বলা হয়-চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত টানা সাত মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটায় রাবেয়া। অর্থচ্য রাবেয়া ইমলাম ২০২১ সালের সেপ্টম্বরে সর্বশেষ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষ হলেও ওই বছর একদিনও বিদ্যালয়ের উপস্থিত হয়নি। আবার মাতৃত্বকালীন ছুটির ভেতরে মার্চ মাসে শুধু ১৩ দিন বিদ্যালয়ের উপস্থিত হয়েছেন। এরপূর্বে ২০২১ সালের জানুয়ারী থেকে ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত টানা ৭ মাসের মধ্য মাত্র “একদিন” বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছেন। আবার ওই বছরে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিন মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটায় রাবেয়া। বিদ্যালয়ের হাঝিরা রেজিষ্ট্রার অনুসন্ধান করে এমন তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। অনুসন্ধান বলছে-২০২১ সালের জানুয়ারী থেকে ২০২২ সালের শেষ আগষ্ট পর্যন্ত মাত্র ১৪ দিন উপস্থিত হয়েছেন রাবেয়া। রাবেয়ার অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক অহেতুক হেনস্তা হয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সংশ্লিষ্টরা বলেন-প্রধান শিক্ষক রাবেয়ার শশুর হওয়াতে তার স্বেচ্ছাচারীতা দিনদিন বেড়েই চলছে। বিদ্যালয়টি চরাঞ্চলে হওয়ার কারনে নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জর্জড়িত।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত রাবেয়া ইসলাম শাওড়া বলেন-অসুস্থ্য থাকায় ছুটিতে ছিলাম। ২০২২ সালে অন্তঃস্বত্তা না হয়েও মাতৃত্বকালীন ছুটির প্রসঙ্গে রাবেয়ার কোন সদোত্তর দেয়নি। এসকল অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমীন বলেন-রাবেয়া মাতৃত্বকালী ছুটিতে ছিল। অন্তঃস্বত্তা না হয়েও ২০২২ সালে মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক বলেন-এ তথ্য সঠিক নয়,আমি বাহিরে আছি, কাল অফিসে গিয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারবো। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুঃ মজিবুর রহমান বলেন-বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আমি নই। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।