ঢাকা ১২:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ১৯ দিনে এলো ২১ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে ফোর্স নিতে জাতিসংঘকে আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাকরাইলে জাল জালিয়াতির রাজউক নকশার মাধ্যমে গড়ে তোলেন বহুতল ভবন কোস্ট গার্ডের অভিযানে ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটকসহ জিম্মি থাকা দুই জেলে উদ্ধার ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ ইউনিফর্ম ও অস্ত্রধারী আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সার্বভৌম সীমা লঙ্ঘন করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ : মিয়া গোলাম পরওয়ার চকলেটের লোভ দেখিয়ে কিন্ডার গার্টেনের শিশুদের মাদ্রাসায় উপস্থাপন// ঠাকুরগাঁওয়ে দুদকে ধরা ভুয়া মাদ্রাসা কান্ড পুরোনো চেহারায় ফিরবে আওয়ামী লীগ, তৈরি হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান

রাঙ্গাবালীতে অন্তঃস্বত্তা না হয়েও মাতৃত্বকালীন ছুটিতে লাইব্রেরিয়ান রাবেয়া

মোঃ আসাদুজ্জামান রাঙ্গাবালী প্রতিনিধি,পটুয়াখালী।
  • আপডেট টাইম : ০৩:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২
  • / ২১৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

রাবেয়া ইসলাম শাওড়া চরমোন্তাজ এ ছাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে চাকুরি করছেন। প্রতিমাসে বেতন-ভাতাও তুলছেন। অথচ নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে আসছেনা। প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকেই নানা ছল-ছুতোয় অনুপস্তিত থাকছেন তিনি। আবার অন্তঃস্বত্তা না হয়েও কাটাচ্ছেন মাতৃত্বকালীন ছুটি। প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমীন অভিযুক্ত রাবেয়া ইসলাম শাওড়ার শশুর হওয়াতে বিনা কৈফিয়তে এমন অনিয়ম করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

রাবেয়ার এমন অনিয়মে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছিল সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু বরাবারের মতই শশুর-পুত্রবধু মিলে সব কিছু ম্যানেজ করে পার পেয়ে যাচ্ছেন। জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের একমাত্র মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “এ ছাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়”এ সহকারী লাইব্রেরিয়ান রাবেয়ার ইসলাম শাওড়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ ও অনুসন্ধানে জানা গেছে-২০২০ সালে ১৭ জুন রাবেয়া ইসলাম শাওড়া এ ছাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী লাইব্রেরীয়ান পদে যোগদান করেন। অভিযোগ রয়েছে-তৎকালীন সময়ে রাবেয়ার নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছিল। স্কুল প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা পকেট কমিটি হওয়ায় নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি ধামাচাপা পরে যায়। অভিযোগে বলা হয়-চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত টানা সাত মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটায় রাবেয়া। অর্থচ্য রাবেয়া ইমলাম ২০২১ সালের সেপ্টম্বরে সর্বশেষ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষ হলেও ওই বছর একদিনও বিদ্যালয়ের উপস্থিত হয়নি। আবার মাতৃত্বকালীন ছুটির ভেতরে মার্চ মাসে শুধু ১৩ দিন বিদ্যালয়ের উপস্থিত হয়েছেন। এরপূর্বে ২০২১ সালের জানুয়ারী থেকে ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত টানা ৭ মাসের মধ্য মাত্র “একদিন” বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছেন। আবার ওই বছরে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিন মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটায় রাবেয়া। বিদ্যালয়ের হাঝিরা রেজিষ্ট্রার অনুসন্ধান করে এমন তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। অনুসন্ধান বলছে-২০২১ সালের জানুয়ারী থেকে ২০২২ সালের শেষ আগষ্ট পর্যন্ত মাত্র ১৪ দিন উপস্থিত হয়েছেন রাবেয়া। রাবেয়ার অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক অহেতুক হেনস্তা হয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সংশ্লিষ্টরা বলেন-প্রধান শিক্ষক রাবেয়ার শশুর হওয়াতে তার স্বেচ্ছাচারীতা দিনদিন বেড়েই চলছে। বিদ্যালয়টি চরাঞ্চলে হওয়ার কারনে নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জর্জড়িত।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত রাবেয়া ইসলাম শাওড়া বলেন-অসুস্থ্য থাকায় ছুটিতে ছিলাম। ২০২২ সালে অন্তঃস্বত্তা না হয়েও মাতৃত্বকালীন ছুটির প্রসঙ্গে রাবেয়ার কোন সদোত্তর দেয়নি। এসকল অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমীন বলেন-রাবেয়া মাতৃত্বকালী ছুটিতে ছিল। অন্তঃস্বত্তা না হয়েও ২০২২ সালে মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক বলেন-এ তথ্য সঠিক নয়,আমি বাহিরে আছি, কাল অফিসে গিয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারবো। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুঃ মজিবুর রহমান বলেন-বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আমি নই। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাঙ্গাবালীতে অন্তঃস্বত্তা না হয়েও মাতৃত্বকালীন ছুটিতে লাইব্রেরিয়ান রাবেয়া

আপডেট টাইম : ০৩:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২

রাবেয়া ইসলাম শাওড়া চরমোন্তাজ এ ছাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে চাকুরি করছেন। প্রতিমাসে বেতন-ভাতাও তুলছেন। অথচ নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে আসছেনা। প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকেই নানা ছল-ছুতোয় অনুপস্তিত থাকছেন তিনি। আবার অন্তঃস্বত্তা না হয়েও কাটাচ্ছেন মাতৃত্বকালীন ছুটি। প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমীন অভিযুক্ত রাবেয়া ইসলাম শাওড়ার শশুর হওয়াতে বিনা কৈফিয়তে এমন অনিয়ম করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

রাবেয়ার এমন অনিয়মে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছিল সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু বরাবারের মতই শশুর-পুত্রবধু মিলে সব কিছু ম্যানেজ করে পার পেয়ে যাচ্ছেন। জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের একমাত্র মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “এ ছাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়”এ সহকারী লাইব্রেরিয়ান রাবেয়ার ইসলাম শাওড়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ ও অনুসন্ধানে জানা গেছে-২০২০ সালে ১৭ জুন রাবেয়া ইসলাম শাওড়া এ ছাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী লাইব্রেরীয়ান পদে যোগদান করেন। অভিযোগ রয়েছে-তৎকালীন সময়ে রাবেয়ার নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছিল। স্কুল প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা পকেট কমিটি হওয়ায় নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি ধামাচাপা পরে যায়। অভিযোগে বলা হয়-চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত টানা সাত মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটায় রাবেয়া। অর্থচ্য রাবেয়া ইমলাম ২০২১ সালের সেপ্টম্বরে সর্বশেষ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষ হলেও ওই বছর একদিনও বিদ্যালয়ের উপস্থিত হয়নি। আবার মাতৃত্বকালীন ছুটির ভেতরে মার্চ মাসে শুধু ১৩ দিন বিদ্যালয়ের উপস্থিত হয়েছেন। এরপূর্বে ২০২১ সালের জানুয়ারী থেকে ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত টানা ৭ মাসের মধ্য মাত্র “একদিন” বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছেন। আবার ওই বছরে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিন মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটায় রাবেয়া। বিদ্যালয়ের হাঝিরা রেজিষ্ট্রার অনুসন্ধান করে এমন তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। অনুসন্ধান বলছে-২০২১ সালের জানুয়ারী থেকে ২০২২ সালের শেষ আগষ্ট পর্যন্ত মাত্র ১৪ দিন উপস্থিত হয়েছেন রাবেয়া। রাবেয়ার অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক অহেতুক হেনস্তা হয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সংশ্লিষ্টরা বলেন-প্রধান শিক্ষক রাবেয়ার শশুর হওয়াতে তার স্বেচ্ছাচারীতা দিনদিন বেড়েই চলছে। বিদ্যালয়টি চরাঞ্চলে হওয়ার কারনে নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জর্জড়িত।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত রাবেয়া ইসলাম শাওড়া বলেন-অসুস্থ্য থাকায় ছুটিতে ছিলাম। ২০২২ সালে অন্তঃস্বত্তা না হয়েও মাতৃত্বকালীন ছুটির প্রসঙ্গে রাবেয়ার কোন সদোত্তর দেয়নি। এসকল অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমীন বলেন-রাবেয়া মাতৃত্বকালী ছুটিতে ছিল। অন্তঃস্বত্তা না হয়েও ২০২২ সালে মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক বলেন-এ তথ্য সঠিক নয়,আমি বাহিরে আছি, কাল অফিসে গিয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারবো। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুঃ মজিবুর রহমান বলেন-বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আমি নই। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।