ঢাকা ০৪:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত কঠিন সময়ে কীভাবে পাশে ছিলেন স্ত্রী, জানালেন কোহলি ইতালিতে জি৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনার তালিকায় নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে আরো যা ‘পদক্ষেপ’ নিতে বললেন নূরুল কবির মেগা মানডে’: ৩ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যাত্রাবাড়ী অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা? ইমরান খানের হাজারো সমর্থক গ্রেপ্তার প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, বাকিদের কথা ব্যক্তিগত

পাচারের অর্থ ফেরানোর কাজে নেই সমন্বয়

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪৮:০৫ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১৬৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

ফলাফলের দিকে নজর দিতেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে পাচার করা সম্পদ ফিরিয়ে আনতে যে কর সুবিধা দেওয়া হয়েছে তার সুফল এখন পর্যন্ত মেলেনি। তবে অর্থবছর শেষে আয়কর রিটার্ন দেওয়ার সময় তাতে উল্লেখ করতে হবে বিদেশে থাকা কোনো সম্পদ তিনি দেশে এনেছেন কিনা। বা বিদেশে সম্পদের ঘোষণা দিয়েছেন কিনা। এর আগে বিষয়টি স্পষ্ট হবে না। তবে এতে সাড়া না পেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিষয়টি দেশে-বিদেশে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেননা পাচার সম্পদ ব্যাংকের মাধ্যমে আনতে হবে।

আন্তঃসংস্থার কাজের সমন্বয়ের জন্য ইতোমধ্যে টাস্কফোর্স নতুন করে পুনর্গঠন করা হয়েছে। এর একটি বৈঠকও হয়েছে। ওই বৈঠকে পাচার করা সম্পদ ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে বিএফআইইউ ইতোমধ্যে একটি প্রতিবেদন টাস্কফোর্সের বৈঠকে উপস্থাপন করেছে। এখন সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

সুইস ব্যাংক থেকে পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে বিএফআইউর প্রধানের নেতৃত্বে যে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা একাধিকবার বৈঠকে বসে কিছু কর্মপন্থা ঠিক করেছে। এর মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যেসব দেশ সুইস ব্যাংক থেকে তথ্য পেয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা। কিন্তু এ যোগাযোগটি এখনও কার্যকর হয়ে উঠেনি।

টাকা পাচার বন্ধ ও টাকা পাচারের ঘটনা শনাক্ত করতে মানি লন্ডারিং বিষয়ক প্রতিটি রিপোর্টিং প্রতিষ্ঠানে আলাদা তদন্ত ইউনিট গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ১৭টি খাত রয়েছে। এর আলোকে কয়েকটি সংস্থায় এ ইউনিট গঠন করেছে। এখন এ ইউনিটগুলোর কার্যক্রম সমন্বয় করার জন্য বিএফআইইউ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ উদ্যোগের বিরোধিতা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও সিআইডি। তারা এ বিষয়ে বিএফআইইউর আইনি ক্ষমতা আছে কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার কথা বলেছে। ফলে তদারকির জন্য কোনো কার্যক্রম হাতে নেওয়া যাচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে বিএফআইইউর এক কর্মকর্তা বলেন, এগমন্ট গ্রুপের মাধ্যমে এবং যেসব দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক আছে ওই দেশ থেকে দ্বিপক্ষীয়ভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সংগৃহীত তথ্য সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে দেওয়া হচ্ছে। এসব তথ্যের বেশিরভাগই সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও আমদানি-রপ্তানির আড়ালে অর্থ পাচার বিষয়ক।

সূত্র জানায়, বিদেশ থেকে পাচার করা টাকা ফেরাতে হলে একেক দেশের আইন একেক রকম। ওইসব আইনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার দেশে যেমন একক কোনো সংস্থা নেই। তেমনি যোগাযোগের কাঠামোও নেই। আন্তঃসংস্থা সমন্বয় টাস্কফোর্স থেকেও এ ব্যাপারে জোরালো উদ্যোগ নেই।

সুইজারল্যান্ডের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট থেকে তথ্য পেতে হলে ব্যক্তির নাম, পাসপোর্ট নাম্বার, কোন ব্যাংকে, অ্যাকাউন্ট নাম্বারসহ দিতে হবে। কিন্তু বিএফআইইউ’র কাছে এ বিষয়ে সব তথ্য নেই। গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে এসব তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। সমন্বয়ের অভাবে সেটিও হচ্ছে না। আর সুইজারল্যান্ড সব ব্যাংক গণহার কোন ব্যক্তির তথ্য অনুসন্ধান করে না।

সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপের অনেক দেশ থেকে তথ্য আনতে হলে পাচারকারীর কর ফাঁকির অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। এ ধরনের কোনো মামলার রায়ের ভিত্তিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে ওই দেশের আয়কর কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য চাইতে হবে। এভাবে তথ্য পাওয়া সহজ। ভারত, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র এই প্রক্রিয়ায় সুইজারল্যান্ড থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। সে কাঠামো এখনও হয়নি।

গত মে মাসে আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স পুনর্গঠন করার পর সেখান থেকে এনবিআরের চেয়ারম্যানকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আগে তিনি ছিলেন। এর পরিবর্তে এনবিআরের দুজন প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। কিন্তু সংস্থায় এনবিআরের চেয়ারম্যান যেভাবে তৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিতে পারতেন সেটি ওই দুই প্রতিনিধির পক্ষে দেওয়া সম্ভব হবে না। এতে মূল কাজ বাধাগ্রস্ত হবে।

যুক্তরাজ্য থেকে তথ্য আনতে হলে বড় ভূমিকা রাখে সে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ওই অফিসের সঙ্গেই যোগাযোগ করে অনেক নামি-দামি রাজনৈতিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে টাকা পাচারের তথ্য সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু বর্তমানে ওই অফিসের সঙ্গে যোগাযোগের কাঠামো নেই। তবে বিএফআইইউ থেকে সব দেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ওইখানে শর্ত থাকছে ওইসব তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। আদালতে সাক্ষী হিসাবে উপস্থাপন করা যাবে না। শুধু তদন্তের কাজে ব্যবহার করা যাবে।

আমদানি-রপ্তানির আড়ালে যেসব অর্থ পাচার হয় সেগুলো ব্যাংক, কাস্টমস ও বন্দরে নিবিড়ভাবে তদন্ত করে বের করা সম্ভব। কিন্তু এমন যৌথ তদন্ত হচ্ছে না। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও কাস্টমস বিচ্ছিন্ন কিছু তদন্তের মাধ্যমে কিছু ঘটনা শনাক্ত করেছে। ওইগুলো নিয়ে মামলা পর্যন্তই শেষ। আর কোনো অগ্রগতি নেই।

এখন পর্যন্ত গত ৮ বছরে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট ৭৯টি দেশের সঙ্গে অর্থ পাচার, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন বিষয়ক তথ্য আদান-প্রদান করার জন্য দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এর আওতায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পাচারের অর্থ ফেরানোর কাজে নেই সমন্বয়

আপডেট টাইম : ০৯:৪৮:০৫ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফলাফলের দিকে নজর দিতেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে পাচার করা সম্পদ ফিরিয়ে আনতে যে কর সুবিধা দেওয়া হয়েছে তার সুফল এখন পর্যন্ত মেলেনি। তবে অর্থবছর শেষে আয়কর রিটার্ন দেওয়ার সময় তাতে উল্লেখ করতে হবে বিদেশে থাকা কোনো সম্পদ তিনি দেশে এনেছেন কিনা। বা বিদেশে সম্পদের ঘোষণা দিয়েছেন কিনা। এর আগে বিষয়টি স্পষ্ট হবে না। তবে এতে সাড়া না পেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিষয়টি দেশে-বিদেশে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেননা পাচার সম্পদ ব্যাংকের মাধ্যমে আনতে হবে।

আন্তঃসংস্থার কাজের সমন্বয়ের জন্য ইতোমধ্যে টাস্কফোর্স নতুন করে পুনর্গঠন করা হয়েছে। এর একটি বৈঠকও হয়েছে। ওই বৈঠকে পাচার করা সম্পদ ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে বিএফআইইউ ইতোমধ্যে একটি প্রতিবেদন টাস্কফোর্সের বৈঠকে উপস্থাপন করেছে। এখন সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

সুইস ব্যাংক থেকে পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে বিএফআইউর প্রধানের নেতৃত্বে যে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা একাধিকবার বৈঠকে বসে কিছু কর্মপন্থা ঠিক করেছে। এর মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যেসব দেশ সুইস ব্যাংক থেকে তথ্য পেয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা। কিন্তু এ যোগাযোগটি এখনও কার্যকর হয়ে উঠেনি।

টাকা পাচার বন্ধ ও টাকা পাচারের ঘটনা শনাক্ত করতে মানি লন্ডারিং বিষয়ক প্রতিটি রিপোর্টিং প্রতিষ্ঠানে আলাদা তদন্ত ইউনিট গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ১৭টি খাত রয়েছে। এর আলোকে কয়েকটি সংস্থায় এ ইউনিট গঠন করেছে। এখন এ ইউনিটগুলোর কার্যক্রম সমন্বয় করার জন্য বিএফআইইউ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ উদ্যোগের বিরোধিতা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও সিআইডি। তারা এ বিষয়ে বিএফআইইউর আইনি ক্ষমতা আছে কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার কথা বলেছে। ফলে তদারকির জন্য কোনো কার্যক্রম হাতে নেওয়া যাচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে বিএফআইইউর এক কর্মকর্তা বলেন, এগমন্ট গ্রুপের মাধ্যমে এবং যেসব দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক আছে ওই দেশ থেকে দ্বিপক্ষীয়ভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সংগৃহীত তথ্য সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে দেওয়া হচ্ছে। এসব তথ্যের বেশিরভাগই সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও আমদানি-রপ্তানির আড়ালে অর্থ পাচার বিষয়ক।

সূত্র জানায়, বিদেশ থেকে পাচার করা টাকা ফেরাতে হলে একেক দেশের আইন একেক রকম। ওইসব আইনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার দেশে যেমন একক কোনো সংস্থা নেই। তেমনি যোগাযোগের কাঠামোও নেই। আন্তঃসংস্থা সমন্বয় টাস্কফোর্স থেকেও এ ব্যাপারে জোরালো উদ্যোগ নেই।

সুইজারল্যান্ডের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট থেকে তথ্য পেতে হলে ব্যক্তির নাম, পাসপোর্ট নাম্বার, কোন ব্যাংকে, অ্যাকাউন্ট নাম্বারসহ দিতে হবে। কিন্তু বিএফআইইউ’র কাছে এ বিষয়ে সব তথ্য নেই। গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে এসব তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। সমন্বয়ের অভাবে সেটিও হচ্ছে না। আর সুইজারল্যান্ড সব ব্যাংক গণহার কোন ব্যক্তির তথ্য অনুসন্ধান করে না।

সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপের অনেক দেশ থেকে তথ্য আনতে হলে পাচারকারীর কর ফাঁকির অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। এ ধরনের কোনো মামলার রায়ের ভিত্তিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে ওই দেশের আয়কর কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য চাইতে হবে। এভাবে তথ্য পাওয়া সহজ। ভারত, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র এই প্রক্রিয়ায় সুইজারল্যান্ড থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। সে কাঠামো এখনও হয়নি।

গত মে মাসে আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স পুনর্গঠন করার পর সেখান থেকে এনবিআরের চেয়ারম্যানকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আগে তিনি ছিলেন। এর পরিবর্তে এনবিআরের দুজন প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। কিন্তু সংস্থায় এনবিআরের চেয়ারম্যান যেভাবে তৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিতে পারতেন সেটি ওই দুই প্রতিনিধির পক্ষে দেওয়া সম্ভব হবে না। এতে মূল কাজ বাধাগ্রস্ত হবে।

যুক্তরাজ্য থেকে তথ্য আনতে হলে বড় ভূমিকা রাখে সে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ওই অফিসের সঙ্গেই যোগাযোগ করে অনেক নামি-দামি রাজনৈতিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে টাকা পাচারের তথ্য সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু বর্তমানে ওই অফিসের সঙ্গে যোগাযোগের কাঠামো নেই। তবে বিএফআইইউ থেকে সব দেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ওইখানে শর্ত থাকছে ওইসব তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। আদালতে সাক্ষী হিসাবে উপস্থাপন করা যাবে না। শুধু তদন্তের কাজে ব্যবহার করা যাবে।

আমদানি-রপ্তানির আড়ালে যেসব অর্থ পাচার হয় সেগুলো ব্যাংক, কাস্টমস ও বন্দরে নিবিড়ভাবে তদন্ত করে বের করা সম্ভব। কিন্তু এমন যৌথ তদন্ত হচ্ছে না। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও কাস্টমস বিচ্ছিন্ন কিছু তদন্তের মাধ্যমে কিছু ঘটনা শনাক্ত করেছে। ওইগুলো নিয়ে মামলা পর্যন্তই শেষ। আর কোনো অগ্রগতি নেই।

এখন পর্যন্ত গত ৮ বছরে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট ৭৯টি দেশের সঙ্গে অর্থ পাচার, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন বিষয়ক তথ্য আদান-প্রদান করার জন্য দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এর আওতায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করছে।