শোকাবহ ১৫ই আগষ্টে বরগুনায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, আহত শতাধিক
- আপডেট টাইম : ১১:১৩:৪৮ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৫ আগস্ট ২০২২
- / ১৮২ ৫০০০.০ বার পাঠক
বরগুনায় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ সময়ে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছে শতাধিক। বর্তমানে পৌর শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৭ তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে ফুল দিতে যায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার পর দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভায় যোগ দিতে গেলে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালান। এ সময়ে নতুন কমিটির সভাপতির সমর্থক এবং পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
এ ঘটনায় কয়েকটি মোটরসাইকেল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার সময়ে বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম তারেক রহমান বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শিল্পকলা একাডেমি এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা জানান, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শিল্পকলায় প্রবেশের সময় শিল্পকলার ছাদ থেকে আমাদের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। তাদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপের কারণে পুলিশের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠিচার্জ শুরু করে।
এ ব্যাপারে সভাপতি পদবঞ্চিত জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সবুজ মোল্লার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে এড়িয়ে যান।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ আট বছর পর গত ১৭ জুলাই বরগুনা শহরের সিরাজ উদ্দীন টাউন হল মিলানায়তনে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২৪ জুলাই রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেন। এতে জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৩ সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়।
এরপর থেকেই সদ্য ঘোষিত এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে পদবঞ্চিতরা বরগুনা শহরে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।