ঢাকা ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন: মুরাদ কবির সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত কুরআনে যাদেরকে আল্লাহর ওলি বলা হয়েছে। দুধরচকী। পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার পুলিশ স্ত্রীর দাপটে বেপরোয়া জালাল উদ্দিন সাগর, সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা মোংলায় মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৪০০ গ্রাম গাঁজা সহ ১ আসামী গ্রেফতার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার-১

মিয়ানমারের ওপর অব্যাহত চাপ দরকার

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪৪:৪৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি ২০২১
  • ৩৪২ ০.০০০ বার পাঠক

সম্পাদকীয়।।

২০১৭ সালের আগস্টে প্রায় এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে। মূলত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় গ্রহণ পৃথিবীর অল্পসংখ্যক গণহত্যা ও নির্মম ঘটনার একটি। ১০ লাখ রোহিঙ্গা কী অবস্থায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, তা পৃথিবীর মানুষ সংবাদমাধ্যমে দেখেছে। যুক্তরাজ্য ও সুইডেনের আহ্বানে মিয়ানমার সরকারকে গণহত্যা ও নির্যাতন বন্ধে চাপ দিতে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে চীন ও রাশিয়া মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নেয়। ইতোমধ্যে ২০১৮ সালের নভেম্বর ও ২০১৯ সালের আগস্টে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।

somoyerkontha

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর প্রশ্নে গত মঙ্গলবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দেড় ঘণ্টার বৈঠকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার শুরু নিয়ে জট খোলেনি। উল্টো ভিন্ন প্রস্তাব এসেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পক্ষ থেকে। তবে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। ফেব্রুয়ারিতে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের ব্যাপারেও বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একমত হয়েছে বলে জানা যায়।

বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে মানবিক কারণে। রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ক্ষেত্রে যে মূল চেতনাটি গুরুত্বপূর্ণ, তা হচ্ছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সব রোহিঙ্গার রাখাইনে নিরাপদ প্রত্যাবাসন ও বসবাস নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার আরও প্রত্যক্ষ ও জোরালো ভূমিকা পালনের জন্য বৈশ্বিক চাপ সৃষ্টি করার কোনো বিকল্প নেই। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক তৎপরতা এখন পর্যন্ত খুব বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। তাই বহুপক্ষীয় কূটনৈতিক তৎপরতা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের কার্যকর কৌশল হতে পারে। মোট কথা, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি অব্যাহত রাখতে হবে। অব্যাহত ও কঠোর চাপ ছাড়া মিয়ানমার যে কাজের কাজ কিছু করবে না, তা অনেকটাই পরিষ্কার।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

মিয়ানমারের ওপর অব্যাহত চাপ দরকার

আপডেট টাইম : ০৪:৪৪:৪৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি ২০২১

সম্পাদকীয়।।

২০১৭ সালের আগস্টে প্রায় এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে। মূলত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় গ্রহণ পৃথিবীর অল্পসংখ্যক গণহত্যা ও নির্মম ঘটনার একটি। ১০ লাখ রোহিঙ্গা কী অবস্থায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, তা পৃথিবীর মানুষ সংবাদমাধ্যমে দেখেছে। যুক্তরাজ্য ও সুইডেনের আহ্বানে মিয়ানমার সরকারকে গণহত্যা ও নির্যাতন বন্ধে চাপ দিতে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে চীন ও রাশিয়া মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নেয়। ইতোমধ্যে ২০১৮ সালের নভেম্বর ও ২০১৯ সালের আগস্টে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।

somoyerkontha

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর প্রশ্নে গত মঙ্গলবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দেড় ঘণ্টার বৈঠকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার শুরু নিয়ে জট খোলেনি। উল্টো ভিন্ন প্রস্তাব এসেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পক্ষ থেকে। তবে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। ফেব্রুয়ারিতে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের ব্যাপারেও বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একমত হয়েছে বলে জানা যায়।

বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে মানবিক কারণে। রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ক্ষেত্রে যে মূল চেতনাটি গুরুত্বপূর্ণ, তা হচ্ছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সব রোহিঙ্গার রাখাইনে নিরাপদ প্রত্যাবাসন ও বসবাস নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার আরও প্রত্যক্ষ ও জোরালো ভূমিকা পালনের জন্য বৈশ্বিক চাপ সৃষ্টি করার কোনো বিকল্প নেই। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক তৎপরতা এখন পর্যন্ত খুব বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। তাই বহুপক্ষীয় কূটনৈতিক তৎপরতা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের কার্যকর কৌশল হতে পারে। মোট কথা, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি অব্যাহত রাখতে হবে। অব্যাহত ও কঠোর চাপ ছাড়া মিয়ানমার যে কাজের কাজ কিছু করবে না, তা অনেকটাই পরিষ্কার।