পদ্মা সেতু নিয়ে ভিডিও বার্তা চীনা রাষ্ট্রদূতের, যা বললেন
- আপডেট টাইম : ০১:৪৫:৩২ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২
- / ২১৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু কাল (শনিবার) মহাধুমধামে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
চীনা রাষ্ট্রদূত পদ্মা সেতু নিয়ে তার মূল্যায়ন তুলে ধরেছেন ভিডিও বার্তায়। রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘পদ্মা সেতু আমার কাছে সাহসের একটি প্রতীক, সংকল্পের প্রতীক এবং সমৃদ্ধির প্রতীক।’
ঢাকায় চীনা দূতাবাসের ফেসবুক পেজের নিয়মিত আয়োজন ‘রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এক মিনিট’ অনুষ্ঠানে শুক্রবার রাষ্ট্রদূতের এই ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়েছে। তাতে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আগামীকাল একটি মহৎ দিন! বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা বহুমুখী সেতু অবশেষে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে, আর এক দশকের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে! এ পর্যায়ে আমি এই অসামান্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশের জনগণকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে চাই!’
‘আজ আমার কাছে রয়েছে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি এই ক্ষুদ্রাকৃতির পদ্মা সেতু। সেতুটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়নকারী কোম্পানি চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ বা এমবিইসি এটিকে আমার কাছে একটি স্মারক হিসেবে পাঠিয়েছে।’
ভিডিও বার্তায় চীনা রাষ্ট্রদূত নিজস্ব অর্থে বাংলাদেশের পদ্মা সেতু নির্মাণে সাহসিকতার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘সেতুটি আমার কাছে সাহসের একটি প্রতীক। স্বল্পোন্নত দেশ বাংলাদেশ এমন সেতু নির্মাণ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। তারপরও বাংলাদেশের মানুষ তাদের স্বপ্ন অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। আজ সেতুটি শুধু বাস্তবায়নই হয়নি, বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে এর শতভাগ নির্মিত হয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে যদি সাহসের কোনো সীমা না থাকে, তবে আকাশ তার সীমা।’
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু একটি সংকল্পের প্রতীক। সেতুটি নির্মাণে সময় লেগেছে আট বছর। শক্তিশালী পদ্মার স্রোতধারার ওপর এর অবয়ব একটি গল্প বলছে যে, কীভাবে মানব প্রকৌশল প্রকৃতির শক্তিকে জয় করেছে। নদী হয়ত হাজার বছর ধরে বহমান, কিন্তু এর চেয়ে বেশি টেকসই হলো সেই মানুষের অধ্যবসায়, যারা একদম শূন্য থেকে সেতুটি তৈরি করেছেন।’
লি জিমিং তার ভিডিও বার্তায় আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতু সমৃদ্ধিরও প্রতীক। বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে সেতুটি বাংলাদেশের জিডিপি ১ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করতে পারে এবং বাংলাদেশের অর্ধেক জনসংখ্যাকে উপকৃত করতে পারে।’
‘এটি কেবল এ দেশ এবং অঞ্চলকে সংযুক্ত করবে না, বরং অভিন্ন সমৃদ্ধি এবং একটি সমন্বিত ভবিষ্যতের পথে পরিচালিত করার মাধ্যমে আমাদের দুই দেশের মানুষকে হৃদয় দিয়ে সংযুক্ত করবে।’