নীলফামারীতে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ চাষে কৃষকের সফলতা
- আপডেট টাইম : ১১:৩৩:৫৬ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০২২
- / ১৯৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
স্টাফ রিপোর্টারঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের নতুন উদ্ভাবিত বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ যা নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক মোঃআলামিন চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।তিনি জানান এই ধান অন্য অন্য চিকন ধানের মত দেখতে কিন্তু এই ধান জিংক সমৃদ্ধ এবং ফলন ও ভালো। তিনি বরাবরের এই ধান চাষ করবে বলে আমাদের কাছে জানান, তিনি আরো বলেন বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ এর একর প্রতি ফলন হলো ৩টনের অধিক।বঙ্গবন্ধু ধান ১০০হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশর পরিচালনা এবং আরডিআরএস এর সহযোগিতা দেশের প্রান্তিক চাষিরা এই জিংক সমৃদ্ধ ধান চাষ করার পরামর্শ পায়ছে।
‘বঙ্গবন্ধু ধান১০০’ কর্তনের সময় কৃষকের সোনালী মুখের হাসি দেখার জন্য এবং সরজমিনে ধান দেখার জন্য হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের কো-অর্ডিনেটর মোঃমজিবর রহমান ও হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের বিভাগীয় সমন্বয়কারী মোঃরুহুল আমিন মন্ডল ও ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃশাহীন আলম এবং আরডিআরএসের মাঠ কর্মী মোঃআকবার হোসেন ছুটে আসেন।
জানা গেছে, দেশের প্রায় অর্ধেক নারী ও শিশু জিংকের অভাবজনিত নানা রোগে ভুগে থাকেন। সাধারণত জিংকের অভাবে পুষ্টিহীনতা দেখা দেয় এবং শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এই অবস্থার মধ্যেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিআরআরআই) বিজ্ঞানীরা এই জাতের ধান উদ্ভাবন করেন।যা থেকে দেশে জিংকের চাহিদা পূরণের আশা করা যায়।
বিভিন্ন সময়ে ব্রি-৬২, ব্রি-৬৪, ব্রি-৭২, ব্রি-৭৪, ব্রি-৮৪ এবং বঙ্গবন্ধু ব্রি-১০০ এই ছয়টি জিংকসমৃদ্ধ ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে বিআরআরআই। এগুলোর মধ্যে “বঙ্গবন্ধু ১০০” জাতটি অন্যদের তুলনায় উৎকৃষ্ট। মান ও উৎপাদনের দিক দিয়ে ভালো হওয়ায় এটি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রদর্শনী প্লট তৈরির কাজ চলছে। রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ রোধ করার ক্ষমতাগুণের উচ্চফলনশীল এই ধান মূলত বোরো মৌসুমের।
জিংকসমৃদ্ধ ব্রি বঙ্গবন্ধু-১০০ নতুন জাতের এ ধানটি আধুনিক উফশী ধানের বৈশিষ্ট্যসম্বলিত। পূর্ণ বয়স্ক গাছের উচ্চতা হবে ১০১ সেন্টিমিটার। জীবনকাল ১৪৮ দিন। এ ধানে জিংক রয়েছে ২৫৭ মিলিগ্রাম, এটি দেখতে নাজিরশাইল বা জিরা ধানের দানার মতো হবে। বঙ্গবন্ধু ব্রি-১০০ জাত ধানের গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৭ দশমিক ৭ টন। তবে অনুকূল পরিবেশ ও উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে হেক্টর প্রতি ৮ দশমিক ৮ টন পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে, যা সন্তোষজনক।