মানব পাচারকারী জহিরুল ইসলামের প্রতারণার শিকার হয়েছে নিরীহ সজল রানা। ৯ মাস যাবত সৌদি আরব কারাগারে
- আপডেট টাইম : ০৪:২২:৫৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২১ মে ২০২২
- / ৩৫৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
বিশেষ প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার ফতেরকান্দির মোশারফ হোসেন এর ছেলে আজ ৯ মাস সৌদি আরবের জেল
খানায়। গত ১০ মাস আগে মোশারফ হোসেন তাদের পাশের বাড়ীর মানব পাচারকারী জহিরুল ইসলামের
মিথ্যে প্রলোভনে পড়ে ছেলে ও পরিবারের সুখের আশায় পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে ছেলে সজল রানাকে
ড্রাইভিং ভিসায় সৌদি আরব পাঠায়। কিন্তু সৌদি আরব যাওয়ার পর থেকে মানব পাচারকারী জহিরুল
ইসলামের আসল রূপ সামনে আসতে থাকে। সৌদি আরব যাওয়ার আগে সজল রানাকে ড্রাইভিং ভিসায়
কাজ দেওয়ার কথা থাকলেও দিয়েছে বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন এর কাজ। যেটা ছোট সজল রানার জন্য খুবই
কষ্টকর ছিলো। তারপরেও পরিবার এবং নিজের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সৌদি আরব থেকে ফিরে
আসতে চায়নি। কিন্তু সজল রানার বেতনের টাকাও মানব পাচারকারী জহিরুল ইসলাম তার লোকজন দিয়ে
তুলে নিয়ে যায়। এমনটাই দেশে বাবার কাছে জানায় সজল রানা। এই দিকে মানব পাচারকারী জহিরুল
ইসলাম সৌদি আরবে মুঠো ফোনে সজল রানার বাবা মোশারফ হোসেন যখন জানতে চায় কেন আমার
ছেলের সাথে এই প্রতারণা করেছো? কেনই বা আমার ছেলের বেতনের টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছো? কেনই বা
আমার ছেলেকে ড্রাইভিং ভিসায় কাজ দেওয়ার কথা বলে বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের কাজ দিয়েছো? মানব
পাচারকারী জহিরুল ইসলাম কোন উত্তর না দিয়ে কল কেটে দেয়। কল কেটে দেওয়ার কিছু সময় পর মানব
পাচারকারী জহিরুল ইসলাম তার ভাই সন্ত্রাসী ফরিদ ও তার বাহিনী দিয়ে সজল রানার পিতা মোশারফ
হোসেন ও তার ভাইয়ের উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে তাদের ডাক চিৎকারে গ্রামবাসী
এগিয়ে এসে সন্ত্রাসী ফরিদ বাহিনী পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় জনতা মোশারফ হোসেন ও তার ভাইকে
উদ্ধার করে হোসনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে তাদের অবস্থা আশংকাজনক। এদিকে সন্ত্রাসী
শেখ ফরিদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর নামে হোমনা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সজল রানার পিতা
মোশারফ হোসেন। থানায় অভিযোগ করার পর থেকে সন্ত্রাসী শেখ ফরিদ তার ও ভুক্তভোগী পরিবারকে
প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে থানা থেকে অভিযোগ তুলে নিতে। এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে
হোমনায় থানার ওসির সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি জেনেছি। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে
মীমাংসা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বলে তিনি লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন। এই দিকে দৈনিক সময়েরকণ্ঠ
পত্রিকার অনুসন্ধানী টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথ কথা বলে জানা যায় মানব পাচারকারী
জহিরুল ইসলাম বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মোশারফ হোসেন এর ছেলে সজল রানাকে ড্রাইভিং ভিসার কাজ
দেওয়ার কথা বলে সৌদি আরব নেয়”। কিন্তু সৌদি আরব নেওয়ার পর আর সজল রানাকে ড্রাইভিং এর
চাকরি না দিয়ে কনস্ট্রাকশন এর কাজ দেয়। পরবতীর্তে এই নিয়ে এলাকায় বহুবার সালিশ হয়। প্রতিটি
শালীসে সজল রানার পিতা মোশারফ হোসেন থেকে সাদা কাগজে লিখিততের মাধ্যমে টাকা নেওয়া হয়
সজল রানাকে সৌদি আরবের জেল থেকে ছাড়ানোর কথা বলে। কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে।
মানব পাচারকারী জহিরুল ইসলামের ভাই সন্ত্রাসী শেখ ফরিদ বাহিনীর গডফাদার । চলবে
https://fb.watch/d8P-tBYsSn/