ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি লক্ষ্মীপুরের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন, ইলেভেন ষ্টার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংঘের ২০২৫ সালের নতুন কমিটি গঠন যেখানেই আইন লঙ্ঘন হবে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থানিতে পিছু হটবেনা-ওসি কোতয়ালী টাঙ্গাইলে সমন্বয়ক পরিচয়ধারীদের পদ স্হগিত করলেন হাসনাত আবদুল্লাহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রোববার পাকিস্তানের ‘জেএফ-১৭ থান্ডার’ যুদ্ধবিমানে আগ্রহ বাংলাদেশের

মানব পাচারকারী জহিরুল ইসলামের প্রতারণার শিকার হয়েছে নিরীহ সজল রানা। ৯ মাস যাবত সৌদি আরব কারাগারে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:২২:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০২২
  • / ৩৭০ ৫০০০.০ বার পাঠক

বিশেষ প্রতিনিধি।।

কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার ফতেরকান্দির মোশারফ হোসেন এর ছেলে আজ ৯ মাস সৌদি আরবের জেল
খানায়। গত ১০ মাস আগে মোশারফ হোসেন তাদের পাশের বাড়ীর মানব পাচারকারী জহিরুল ইসলামের
মিথ্যে প্রলোভনে পড়ে ছেলে ও পরিবারের সুখের আশায় পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে ছেলে সজল রানাকে
ড্রাইভিং ভিসায় সৌদি আরব পাঠায়। কিন্তু সৌদি আরব যাওয়ার পর থেকে মানব পাচারকারী জহিরুল
ইসলামের আসল রূপ সামনে আসতে থাকে। সৌদি আরব যাওয়ার আগে সজল রানাকে ড্রাইভিং ভিসায়
কাজ দেওয়ার কথা থাকলেও দিয়েছে বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন এর কাজ। যেটা ছোট সজল রানার জন্য খুবই
কষ্টকর ছিলো। তারপরেও পরিবার এবং নিজের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সৌদি আরব থেকে ফিরে
আসতে চায়নি। কিন্তু সজল রানার বেতনের টাকাও মানব পাচারকারী জহিরুল ইসলাম তার লোকজন দিয়ে
তুলে নিয়ে যায়। এমনটাই দেশে বাবার কাছে জানায় সজল রানা। এই দিকে মানব পাচারকারী জহিরুল
ইসলাম সৌদি আরবে মুঠো ফোনে সজল রানার বাবা মোশারফ হোসেন যখন জানতে চায় কেন আমার
ছেলের সাথে এই প্রতারণা করেছো? কেনই বা আমার ছেলের বেতনের টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছো? কেনই বা
আমার ছেলেকে ড্রাইভিং ভিসায় কাজ দেওয়ার কথা বলে বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের কাজ দিয়েছো? মানব
পাচারকারী জহিরুল ইসলাম কোন উত্তর না দিয়ে কল কেটে দেয়। কল কেটে দেওয়ার কিছু সময় পর মানব
পাচারকারী জহিরুল ইসলাম তার ভাই সন্ত্রাসী ফরিদ ও তার বাহিনী দিয়ে সজল রানার পিতা মোশারফ
হোসেন ও তার ভাইয়ের উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে তাদের ডাক চিৎকারে গ্রামবাসী
এগিয়ে এসে সন্ত্রাসী ফরিদ বাহিনী পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় জনতা মোশারফ হোসেন ও তার ভাইকে
উদ্ধার করে হোসনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে তাদের অবস্থা আশংকাজনক। এদিকে সন্ত্রাসী
শেখ ফরিদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর নামে হোমনা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সজল রানার পিতা
মোশারফ হোসেন। থানায় অভিযোগ করার পর থেকে সন্ত্রাসী শেখ ফরিদ তার ও ভুক্তভোগী পরিবারকে
প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে থানা থেকে অভিযোগ তুলে নিতে। এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে
হোমনায় থানার ওসির সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি জেনেছি। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে
মীমাংসা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বলে তিনি লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন। এই দিকে দৈনিক সময়েরকণ্ঠ
পত্রিকার অনুসন্ধানী টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথ কথা বলে জানা যায় মানব পাচারকারী
জহিরুল ইসলাম বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মোশারফ হোসেন এর ছেলে সজল রানাকে ড্রাইভিং ভিসার কাজ
দেওয়ার কথা বলে সৌদি আরব নেয়”। কিন্তু সৌদি আরব নেওয়ার পর আর সজল রানাকে ড্রাইভিং এর
চাকরি না দিয়ে কনস্ট্রাকশন এর কাজ দেয়। পরবতীর্তে এই নিয়ে এলাকায় বহুবার সালিশ হয়। প্রতিটি
শালীসে সজল রানার পিতা মোশারফ হোসেন থেকে সাদা কাগজে লিখিততের মাধ্যমে টাকা নেওয়া হয়
সজল রানাকে সৌদি আরবের জেল থেকে ছাড়ানোর কথা বলে। কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে।


মানব পাচারকারী জহিরুল ইসলামের ভাই সন্ত্রাসী শেখ ফরিদ বাহিনীর গডফাদার । চলবে

https://fb.watch/d8P-tBYsSn/

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মানব পাচারকারী জহিরুল ইসলামের প্রতারণার শিকার হয়েছে নিরীহ সজল রানা। ৯ মাস যাবত সৌদি আরব কারাগারে

আপডেট টাইম : ০৪:২২:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি।।

কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার ফতেরকান্দির মোশারফ হোসেন এর ছেলে আজ ৯ মাস সৌদি আরবের জেল
খানায়। গত ১০ মাস আগে মোশারফ হোসেন তাদের পাশের বাড়ীর মানব পাচারকারী জহিরুল ইসলামের
মিথ্যে প্রলোভনে পড়ে ছেলে ও পরিবারের সুখের আশায় পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে ছেলে সজল রানাকে
ড্রাইভিং ভিসায় সৌদি আরব পাঠায়। কিন্তু সৌদি আরব যাওয়ার পর থেকে মানব পাচারকারী জহিরুল
ইসলামের আসল রূপ সামনে আসতে থাকে। সৌদি আরব যাওয়ার আগে সজল রানাকে ড্রাইভিং ভিসায়
কাজ দেওয়ার কথা থাকলেও দিয়েছে বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন এর কাজ। যেটা ছোট সজল রানার জন্য খুবই
কষ্টকর ছিলো। তারপরেও পরিবার এবং নিজের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সৌদি আরব থেকে ফিরে
আসতে চায়নি। কিন্তু সজল রানার বেতনের টাকাও মানব পাচারকারী জহিরুল ইসলাম তার লোকজন দিয়ে
তুলে নিয়ে যায়। এমনটাই দেশে বাবার কাছে জানায় সজল রানা। এই দিকে মানব পাচারকারী জহিরুল
ইসলাম সৌদি আরবে মুঠো ফোনে সজল রানার বাবা মোশারফ হোসেন যখন জানতে চায় কেন আমার
ছেলের সাথে এই প্রতারণা করেছো? কেনই বা আমার ছেলের বেতনের টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছো? কেনই বা
আমার ছেলেকে ড্রাইভিং ভিসায় কাজ দেওয়ার কথা বলে বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের কাজ দিয়েছো? মানব
পাচারকারী জহিরুল ইসলাম কোন উত্তর না দিয়ে কল কেটে দেয়। কল কেটে দেওয়ার কিছু সময় পর মানব
পাচারকারী জহিরুল ইসলাম তার ভাই সন্ত্রাসী ফরিদ ও তার বাহিনী দিয়ে সজল রানার পিতা মোশারফ
হোসেন ও তার ভাইয়ের উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে তাদের ডাক চিৎকারে গ্রামবাসী
এগিয়ে এসে সন্ত্রাসী ফরিদ বাহিনী পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় জনতা মোশারফ হোসেন ও তার ভাইকে
উদ্ধার করে হোসনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে তাদের অবস্থা আশংকাজনক। এদিকে সন্ত্রাসী
শেখ ফরিদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর নামে হোমনা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সজল রানার পিতা
মোশারফ হোসেন। থানায় অভিযোগ করার পর থেকে সন্ত্রাসী শেখ ফরিদ তার ও ভুক্তভোগী পরিবারকে
প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে থানা থেকে অভিযোগ তুলে নিতে। এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে
হোমনায় থানার ওসির সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি জেনেছি। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে
মীমাংসা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বলে তিনি লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন। এই দিকে দৈনিক সময়েরকণ্ঠ
পত্রিকার অনুসন্ধানী টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথ কথা বলে জানা যায় মানব পাচারকারী
জহিরুল ইসলাম বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মোশারফ হোসেন এর ছেলে সজল রানাকে ড্রাইভিং ভিসার কাজ
দেওয়ার কথা বলে সৌদি আরব নেয়”। কিন্তু সৌদি আরব নেওয়ার পর আর সজল রানাকে ড্রাইভিং এর
চাকরি না দিয়ে কনস্ট্রাকশন এর কাজ দেয়। পরবতীর্তে এই নিয়ে এলাকায় বহুবার সালিশ হয়। প্রতিটি
শালীসে সজল রানার পিতা মোশারফ হোসেন থেকে সাদা কাগজে লিখিততের মাধ্যমে টাকা নেওয়া হয়
সজল রানাকে সৌদি আরবের জেল থেকে ছাড়ানোর কথা বলে। কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে।


মানব পাচারকারী জহিরুল ইসলামের ভাই সন্ত্রাসী শেখ ফরিদ বাহিনীর গডফাদার । চলবে

https://fb.watch/d8P-tBYsSn/