ঢাকা ০৭:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা জেলায় শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার নির্বাচিত হলেন সুব্রত দাস বাংলাদেশকে ৮৫ কোটি ডলার দিবে বিশ্বব্যাংক টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ দিতে পারেনি দুদক: আইনজীবী পদত্যাগ করলেন কুয়েটের ভিসি-প্রোভিসি বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ কাউন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়ি’র ইনচার্জের ছত্রছায়ায় চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা (পর্ব- ১) চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার বিশেষ অভিযানে চোর চক্র ও ১০ ভরিস্বর্ণসহ গ্রেপ্তার, ০৬ নাসিরনগরে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর ৪১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত গাজীপুর জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি এর ঈদ পূর্ণমিলন ও সাংবাদিকদের মিলনমেলা বিরামপুরে ভুয়া সেনা সদস্য আটক

তালার খেশরায় নদীর বাঁধ দখল নিয়ে কেটে আবাদি জমি তৈরি, ইউএনও বরাবর অভিযোগ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৩:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২
  • / ২৬২ ৫০০০.০ বার পাঠক

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি : তালা উপজেলার খেশরা গ্রামে শালিখা নদীর বাঁধ জোর জবর দখল নিয়ে বাঁধের মাটি কেটে আবাদি জমি তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জনস্বার্থে তালা উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন একই গ্রামের মৃতঃ আঃ গণি কারিকরের ছেলে মোঃ কামাল কারিকর। উপজেলা নির্বাহি অফিসার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য খেশরা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগকারীর বক্তব্য এবং সরেজমিনে গিয়ে দেখা জানাযায়, খেশরা গ্রামের মৃত: মাদার কারিকরের ছেলে মোঃ লিয়াকত কারিকর কপোতাক্ষের শাখা নদী শালিখা নদীর ভেড়িবাধের বড় একটি অংশ কেটে কয়েক ফুট নিচু করে সমতলভূমি বানিয়েছেন।

শালিখা হতে খেশরা স্কুল যেতে মোঃ এনায়েত আলীর জমি ও মোঃ ইসমাইল সানার মৎস্য ঘেরের পশ্চিম পার্শে নদীর ধারে বিশাল আকারের এই ভেড়ি বাধ অবস্থিত। সরকারী ভাবে কর্তন করা নিষেধ থাকা শর্তেও উক্ত ব্যাক্তি সকল বিধিনিষেধ ও এলাকাবাসীর বাধা অমান্য করে পেশী শক্তির জোরে ভেড়ি বাধ কেটে সমতল ভুমি বানিয়ে অবৈধ দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। একদিকে ভেড়িবাদ কেটে বাধের মারাত্মক ক্ষতি করছে অন্যদিকে বাঁধের মাটি নদীতে ফেলে নদী ভরাট করছে। এর ফলে ভেড়ি ও নদী মারাত্মক হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে এমনটাই মনে করছেন এলাকাবাসী। নদির পাশের ভেড়িবাধ কর্তন করে নিচু করার কারনে বর্ষা মৌসুমে যে কোন সময় বাধ ভেঙ্গে বা ছাপিয়ে এলাকা প্লাবিত হতে পারে। এলাকার লোকজন তাকে বাধ কর্তন করতে নিষেধ করলে সে কোন প্রকার কর্নপাত না করে ভেড়ি বাধ কর্তন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, তার অনুগত লোকদের বাধ কেটে জমি তৈরী করা, বাধ কেটে বিলে লোনাপানি ঢুকানো, রাস্তা ও বাঁধ কেটে পাইপ বসানোর জন্য উৎসাহিত করে আসছে। এ বিষয়ে অভিযোগ কারী, পাশের ঘের মালিক সহ কয়েকজন বলেন, লিয়াকত হুংকার দিয়ে বলছে আমি বাধ কাটবো আমাকে কেউ কিছুই করতে পারবে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা অসীম কুমার হালদার বলেন, আমি ভেড়িবাধ কাটতে নিষেধ করেছি। উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর অভিযোগ ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার সাথে কথা বলার পরও অভিযুক্ত ব্যক্তি ভেড়িবাধ কেটেছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এ বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তালার খেশরায় নদীর বাঁধ দখল নিয়ে কেটে আবাদি জমি তৈরি, ইউএনও বরাবর অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৫:১৩:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি : তালা উপজেলার খেশরা গ্রামে শালিখা নদীর বাঁধ জোর জবর দখল নিয়ে বাঁধের মাটি কেটে আবাদি জমি তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জনস্বার্থে তালা উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন একই গ্রামের মৃতঃ আঃ গণি কারিকরের ছেলে মোঃ কামাল কারিকর। উপজেলা নির্বাহি অফিসার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য খেশরা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগকারীর বক্তব্য এবং সরেজমিনে গিয়ে দেখা জানাযায়, খেশরা গ্রামের মৃত: মাদার কারিকরের ছেলে মোঃ লিয়াকত কারিকর কপোতাক্ষের শাখা নদী শালিখা নদীর ভেড়িবাধের বড় একটি অংশ কেটে কয়েক ফুট নিচু করে সমতলভূমি বানিয়েছেন।

শালিখা হতে খেশরা স্কুল যেতে মোঃ এনায়েত আলীর জমি ও মোঃ ইসমাইল সানার মৎস্য ঘেরের পশ্চিম পার্শে নদীর ধারে বিশাল আকারের এই ভেড়ি বাধ অবস্থিত। সরকারী ভাবে কর্তন করা নিষেধ থাকা শর্তেও উক্ত ব্যাক্তি সকল বিধিনিষেধ ও এলাকাবাসীর বাধা অমান্য করে পেশী শক্তির জোরে ভেড়ি বাধ কেটে সমতল ভুমি বানিয়ে অবৈধ দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। একদিকে ভেড়িবাদ কেটে বাধের মারাত্মক ক্ষতি করছে অন্যদিকে বাঁধের মাটি নদীতে ফেলে নদী ভরাট করছে। এর ফলে ভেড়ি ও নদী মারাত্মক হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে এমনটাই মনে করছেন এলাকাবাসী। নদির পাশের ভেড়িবাধ কর্তন করে নিচু করার কারনে বর্ষা মৌসুমে যে কোন সময় বাধ ভেঙ্গে বা ছাপিয়ে এলাকা প্লাবিত হতে পারে। এলাকার লোকজন তাকে বাধ কর্তন করতে নিষেধ করলে সে কোন প্রকার কর্নপাত না করে ভেড়ি বাধ কর্তন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, তার অনুগত লোকদের বাধ কেটে জমি তৈরী করা, বাধ কেটে বিলে লোনাপানি ঢুকানো, রাস্তা ও বাঁধ কেটে পাইপ বসানোর জন্য উৎসাহিত করে আসছে। এ বিষয়ে অভিযোগ কারী, পাশের ঘের মালিক সহ কয়েকজন বলেন, লিয়াকত হুংকার দিয়ে বলছে আমি বাধ কাটবো আমাকে কেউ কিছুই করতে পারবে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা অসীম কুমার হালদার বলেন, আমি ভেড়িবাধ কাটতে নিষেধ করেছি। উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর অভিযোগ ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার সাথে কথা বলার পরও অভিযুক্ত ব্যক্তি ভেড়িবাধ কেটেছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এ বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।