ঢাকা ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

আসামির স্ত্রীকে”লাথি মেরে টাকা ছিনতাই”সেই “এসআই মাহাবুব” ক্লোজড

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০২:৩৪:৫৬ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২
  • / ২৪৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

মোঃ শহিদুল ইসলাম

বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান চট্রগ্রাম।।

আসামি ধরতে গিয়ে না পেয়ে স্ত্রীকে লাতি মারা ও তল্লাশির নামে দেড় লাখ টাকা জব্দ করার অভিযোগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড মডেল থানার এস আই মাহাবুব মোরশেদকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

রোববার রাতে এ প্রত্যাহার আদেশ হয় বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম।
এর আগে রোববার খালেদা আক্তার নামের এক গৃহিণী পুলিশ সুপার বরাবর এসআই মাহবুব মোর্শেদের বিরুদ্ধে মারধর ও টাকা লুটের অভিযোগ আনেন। লিখিত অভিযোগে খালেদা আক্তার উল্লেখ করেন, শনিবার দুপুর আড়াইটায় এস আই মাহাবুব মোরশেদ ৫জন পুলিশ কন্সটেবলসহ খালেদা আক্তারের স্বামী পরোয়ানাভূক্ত আসামি নুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করতে যান। তাকে না পেয়ে এস আই মাহবুব আলমারির চাবি দিতে বলেন। খালেদা আক্তার চাবি দিতে অস্বীকার করলে তাকে লাথি মারেন। এরপর চাবি নিয়ে ঘরের আলমারি তল্লাশি করে গরু বিক্রি করা দেড় লাখ টাকা ও ছেলে রিয়াজ উদ্দিন হৃদয়ের স্কুল-কলেজের সার্টিফিকেট জব্দ করে নিয়ে যায়।

পর দিন রোববার খালেদা আক্তার ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ পত্র দায়ের করেন। অভিযোগ পত্র গ্রহণ করার পর কপি সীতাকুণ্ড সার্কেল অফিসে জমা দিতে বলা হয়। জমা দিতে গেলে থানা থেকে সমঝোতার প্রস্তাব দেওয়া হয় তাকে। তবে তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।

যদিও অভিযুক্ত এসআই মাহবুব মোরশেদ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। আপনারা ঘটনার গভীরে গিয়ে দেখতে পারেন। পরোয়ানাভূক্ত আসামি ধরতে গিয়ে এরকম ষড়যন্ত্রের শিকার হলে চাকরি করা যাবেনা। চাকরিতে থেকে আসামি ধরা যাবে না।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আসামির স্ত্রীকে”লাথি মেরে টাকা ছিনতাই”সেই “এসআই মাহাবুব” ক্লোজড

আপডেট টাইম : ০২:৩৪:৫৬ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২

মোঃ শহিদুল ইসলাম

বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান চট্রগ্রাম।।

আসামি ধরতে গিয়ে না পেয়ে স্ত্রীকে লাতি মারা ও তল্লাশির নামে দেড় লাখ টাকা জব্দ করার অভিযোগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড মডেল থানার এস আই মাহাবুব মোরশেদকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

রোববার রাতে এ প্রত্যাহার আদেশ হয় বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম।
এর আগে রোববার খালেদা আক্তার নামের এক গৃহিণী পুলিশ সুপার বরাবর এসআই মাহবুব মোর্শেদের বিরুদ্ধে মারধর ও টাকা লুটের অভিযোগ আনেন। লিখিত অভিযোগে খালেদা আক্তার উল্লেখ করেন, শনিবার দুপুর আড়াইটায় এস আই মাহাবুব মোরশেদ ৫জন পুলিশ কন্সটেবলসহ খালেদা আক্তারের স্বামী পরোয়ানাভূক্ত আসামি নুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করতে যান। তাকে না পেয়ে এস আই মাহবুব আলমারির চাবি দিতে বলেন। খালেদা আক্তার চাবি দিতে অস্বীকার করলে তাকে লাথি মারেন। এরপর চাবি নিয়ে ঘরের আলমারি তল্লাশি করে গরু বিক্রি করা দেড় লাখ টাকা ও ছেলে রিয়াজ উদ্দিন হৃদয়ের স্কুল-কলেজের সার্টিফিকেট জব্দ করে নিয়ে যায়।

পর দিন রোববার খালেদা আক্তার ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ পত্র দায়ের করেন। অভিযোগ পত্র গ্রহণ করার পর কপি সীতাকুণ্ড সার্কেল অফিসে জমা দিতে বলা হয়। জমা দিতে গেলে থানা থেকে সমঝোতার প্রস্তাব দেওয়া হয় তাকে। তবে তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।

যদিও অভিযুক্ত এসআই মাহবুব মোরশেদ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। আপনারা ঘটনার গভীরে গিয়ে দেখতে পারেন। পরোয়ানাভূক্ত আসামি ধরতে গিয়ে এরকম ষড়যন্ত্রের শিকার হলে চাকরি করা যাবেনা। চাকরিতে থেকে আসামি ধরা যাবে না।