হাওড়ে কৃষকের কান্না,যেন থামছেই না
- আপডেট টাইম : ০৭:৫৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২
- / ২১৭ ৫০০০.০ বার পাঠক
সুমন গোপ, নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার মেঘনায় অস্বাভাবিক ভাবে পানি বেড়ে গিয়ে নদীর তীর ঘেঁষে ও নীচু জায়গা রোপণ করা কাচা ও আধাপাকা ধানের জমি পানিতে ডুবে গেছে।
তাছাড়াও উপজেলার বেশ কয়েকটি হাওরের ধান তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার শঙ্কা প্রকাশ করে কৃষকরা। এদিকে পানি বাড়ায় অকাল বন্যায় ফসল হারানোর ভয়ে কৃষকরা আধাপাকা বোরো ধান কাটতে শুরু করেছে।শুক্রবার সরেজমিন হাওরে ঘুরে এ সমস্ত তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে,১ ও ২ এপ্রিল ২০২২ ভারতের চেরাপুঞ্জিতে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়। এর ফলে নাসিরনগরের হাওর ও নদ-নদীতে দুই-তিন ফুট পানি বেড়ে যায়। এতে নদীর পাশে নিচু এলাকার বেশ কিছু জমি তলিয়ে যায়।
নাসিরনগর উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, কিশোরগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের নদ-নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ার কারনে নাসিরনগরের বিভিন্ন হাওর ও নদীতে পানি বেড়ে গেছে। এসব এলাকার চরের পাড়ের বাসিন্দাদের ফসলি জমির খবরা খবর নিতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।
পানি কিছুটা বাড়ায় চরের বেশ কিছু জমি তলিয়ে গেছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে হাওরের ধান তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।তারা বলছেন আর মাত্র দশ দিন সময় পেলে ব্রি-২৮ ও ব্রি-১৭ জাতের ধান কাটা শুরু হয়ে যাবে।
সরেজমিন টেকানগর,ভিটাডুবি,নাসিরপুর গিয়ে দেখা গেছে লঙ্গন নদীর উত্তর দিকে বালির হাওড়ে পানি থৈ থৈ করছে। ওই এলাকার কৃষকদের দাবি ওই হাওড়ের প্রায় পাঁচ হাজার বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। অধিকাংশ জমিই পানির নীচে তলিয়ে গেছে। মনোহরপুর গ্রামের কৃষক মোঃ জয়নাল মিয়া জানায়,ওই হাওড়ে তার নিজের ৪ বিঘা জমি সহ প্রায় ৩০০০ হাজার বিঘা জমির আধাপাকা ও কাচা ধান পানির নীচে তলিয়ে গেছে।
নাসিরপুর গ্রামের কৃষক গ্রামের মোঃ মনছুর মিয়া জানায়, তার নিজের জমি সহ এই বালি হাওড়ে প্রায় এপ্রিল মাসের শেষ দিকে পানি উঠে। কিন্তু এ বছর প্রায় ২০ দিন আগে পানি আসায় কাঁচা ধান কাটতে হচ্ছে। যদি আর ৪-৫দিন এ পানি থাকে তাহলে কাঁচা ধানও কাটা যাবে না বলে দাবী করেন কৃষক মনছুর।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল হক বলেন, হাওরের নিচু এলাকার ১০-১৫ হেক্টর জমিতে পানি উঠছে। পাশের উঁচু জমিতে এখনো পানি উঠেনি। তবে প্রধান হাওরগুলো এখনো সুরক্ষিত রয়েছে বলে দাবী এ কর্মকর্তার।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবু সাইদ তারেক হাওরের ফসলি জমির কোন ক্ষতি হয়নি।তবে যে সমস্ত জমিতে পানি উঠেছে তার অধিকাংশই নদীর পাড়ের চর ও নীচি জমি।ওই কর্মকর্তা প্রায় ১০ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবী করছেন।