ঠাকুরগাঁওয়ে ভুমি জরিপ কাজে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
- আপডেট টাইম : ১০:০৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৮ এপ্রিল ২০২২
- / ২১৭ ৫০০০.০ বার পাঠক
ঠাকুরগাঁও সদর প্রতিনিধি।।
ঠাকুরগাঁওয়ে ভুমি জরিপ ও নকশার কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এ কাজের সাথে যুক্ত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ভুমি নকশার কাজে আসা সার্ভেয়ার আমিনরা প্রতি শতাংশ জমির বিপরীতে মোটা অংকের ঘুষ বাণিজ্যে নেমেছেন তারা। সম্প্রতি ঘুষের টাকা ফেরত পেতে জরিপ কাজে আসা কর্মকর্তাদের ভাড়াটে বাড়ি ঘেরাও করেন এলাকাবাসি।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ভূমি সেটেলমেন্ট কার্যালয় সূত্রে জানা যায় ২০০৭-২০০৮ সালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর মৌজায় ৫টি নকশা জরিপের কাজ শুরু হয়। ৩টি নকশার কাজ শেষে পরবর্তীতে তা বন্ধ হয়।
এ বছরের মার্চে জগন্নাথপুর মৌজায় ২০৪৪ টি দাগে ৯৩৭ একর জমির জরিপের কাজ শুরু করে ভূমি জরিপ কর্তপক্ষ। সর্দার আমিন, বদর আমিন, চেইনম্যানসহ তিনজন করে ২৮টি গ্রুপে ভাগ হয়ে এই কাজ সম্পাদনে মাঠে নামেন তারা। ভূমি প্রশাসন ঘুষ লেনদেন, অনিয়ম, দূর্নীতি এড়াতে ভূমি জরিপ শুরুর আগেই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মাইকিং করে জনগণকে জরিপের বিষয়টি অবগত করেছেন ।
১৯৫৫ সালে প্রজাস্বত্ব বিধি মোতাবেক জরিপ চলাকালিন সময়ে একজন জমির মালিককে জমির রেকড, দলিল, খাজনা, খারিজ ও দখল শর্ত সাপেক্ষে ঐ মালিকের নামে জমি রেকর্ডভুক্ত হবে বলে জানা যায়।
শহরের শান্তিনগর, মুসলিমনগর ও বিহারিপাড়া মহল্লার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী বলেন প্রতি শতাংশ জমির জন্য সংশ্লিষ্টদের এক হাজার টাকা হিসেবে ঘুষ দিতে হচ্ছে। যে জমির মালিকানায় অসঙ্গতি রয়েছে, সেই জমির জন্য প্রতি শতাংশে পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা আদায় করছেন তারা। টাকা দিলে কাজ হয়, না দিলে কাজ হয় না।
বাড়াবাড়ি করলে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে বলে জানান তারা। এই টাকা হাতিয়ে নিতে প্রতি গ্রুপে রয়েছে একাধিক দালাল চক্র। দিপু, স্বপন, সুলতান, খলিলুর, সুলতানসহ একাধিক সদ্দার আমিনের সাথে মোটা অংকের ঘুষের বিষয়ে কথা বললে বিষয়টি এড়িয়ে যান, তবে কাজের বিনিময়ে সন্তুষ্ট হয়ে কেউ যদি খুশি করালে দোষের কিছু নেই বলে দাবি করেন তারা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন জরিপ কাজে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মো: সামসুজ্জামান বলেন , জরিপ কাজে যথাযথ ভাবে স্বচ্ছতার সাথে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া আছে। অবৈধ ভাবে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ আসলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।