ঢাকা ০৪:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম,২৯ নভেম্বর ২০২৪ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্মেলন হতে যাচ্ছে চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গ ভারতের উদ্বেগ নিয়ে পিনাকীর পোস্ট আবারও হাসনাতের গাড়ি চাপা দেওয়ার চেষ্টা জামিন পেলেন বরখাস্ত হওয়া সেই ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি ইসকন ইস্যুতে সিদ্ধান্ত জানাল হাইকোর্ট মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স:) কে কটুক্তি করে ফেইসবুক লাইভে ক্ষমা চাইলেন সিংগার পোজা গোপ। হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ নোয়াগড় গ্রামে কোটি টাকার হিসাব নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত।। সেনাবাহিনীর হাতে ১১ জন আটক ভৈরবে রেলওয়ে থানা পুলিশের হাতে মাদক দ্রব্য গাঁজাসহ হিজরা গ্রেফতার পীরগঞ্জে জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা ধুলাউড়ি বাজারে শুরু হয়েছে পাঁচটি সেলুন পাঠাগার

রাণীশংকৈলে অধিকাংশ বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার শহীদ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৫:৩৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২
  • / ১৭৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

আল মামুন, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি।।

৭০ বছর আগের ভাষা আন্দালনের পথ ধরে স্বাধীনতা ৫০ বছর পেরিয়েছে দেশে। এরপরও ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাষাশহিদদের স্মরণে তৈরি করা হয়নি শহীদ মিনার। এ অবস্থা রানীশংকৈল উপজেলা শহর থেকে শুরু করে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজগুলোতে। কোনো মাদরাসায় নেই শহীদ মিনার। এতে যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে পারেনা শিক্ষার্থীরা। রাণীশংকৈল উপজেলায় কিন্ডারগার্টেন বাদে ২৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহীদ মিনার আছে মাত্র ৪৫ টিতে। ভাষা দিবসটি দায়সারাভাবে পালন করা হচ্ছে। এতে ভাষা সংগ্রামের ইতিহাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। রানীশংকৈল উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে জানা গেছে, রানীশংকৈল উপজেলার ১৫৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে নেকমরদ, গাজীর হাট, বনগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ৮ টিতে রয়েছে শহীদ মিনার। অপরদিকে রানীশংকৈল উপজেলার ৫২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫ টিতে ও ১২টি কলেজের মধ্যে ৩ টিতে শহীদ মিনার রয়েছে। অপরদিকে ১৯টি মাদ্রাসার মধ্যে একটিতেও শহীদ মিনার নেই। এ ছাড়া রয়েছে অর্ধশতাধিক কিন্ডারগার্টেন। একটিতেও শহীদমিনার নেই কিন্ডারগার্ডেন গুলোর। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাঁশ, কাঠ, ককসিট দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় তারা।প্রশাসন বলছে সরকারি বরাদ্দের কথা। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরির জন্য সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ নেই। এ ছাড়া নির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি যে, শহীদ মিনার করতেই হবে, তাই নিজ উদ্যোগে প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরি করতে হচ্ছে তাদের। শহীদ মিনার না থাকা প্রসঙ্গে রাণীশংকৈল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মহাদেব বসাক বলেন, ‘মূলত একুশে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচিগুলো রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের সঙ্গে প্রশাসন যৌথভাবে করে দেয়। এ জন্য আমাদের কলেজে তেমন কোনো কর্মসূচি পালন হয় না।’ রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি প্রত্যাশা করি আমাদের রানীশংকৈল উপজেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হোক। তাহলে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগের ইতিহাস ও তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নতুন প্রজন্মের মাঝে সৃষ্টি হবে।’রানীশংকৈল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাহিম উদ্দীন জানান, সরকারিভাবে নির্দেশনা রয়েছে প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করার। এই রানীশংকৈল উপজেলায় এখনো যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন হয়নি সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খুব দ্রুত শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের তাগাদা দেওয়া হবে।’ রানীশংকৈল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলী শাহরিয়ার জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।
আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাণীশংকৈলে অধিকাংশ বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার শহীদ

আপডেট টাইম : ০৫:২৫:৩৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

আল মামুন, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি।।

৭০ বছর আগের ভাষা আন্দালনের পথ ধরে স্বাধীনতা ৫০ বছর পেরিয়েছে দেশে। এরপরও ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাষাশহিদদের স্মরণে তৈরি করা হয়নি শহীদ মিনার। এ অবস্থা রানীশংকৈল উপজেলা শহর থেকে শুরু করে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজগুলোতে। কোনো মাদরাসায় নেই শহীদ মিনার। এতে যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে পারেনা শিক্ষার্থীরা। রাণীশংকৈল উপজেলায় কিন্ডারগার্টেন বাদে ২৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহীদ মিনার আছে মাত্র ৪৫ টিতে। ভাষা দিবসটি দায়সারাভাবে পালন করা হচ্ছে। এতে ভাষা সংগ্রামের ইতিহাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। রানীশংকৈল উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে জানা গেছে, রানীশংকৈল উপজেলার ১৫৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে নেকমরদ, গাজীর হাট, বনগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ৮ টিতে রয়েছে শহীদ মিনার। অপরদিকে রানীশংকৈল উপজেলার ৫২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫ টিতে ও ১২টি কলেজের মধ্যে ৩ টিতে শহীদ মিনার রয়েছে। অপরদিকে ১৯টি মাদ্রাসার মধ্যে একটিতেও শহীদ মিনার নেই। এ ছাড়া রয়েছে অর্ধশতাধিক কিন্ডারগার্টেন। একটিতেও শহীদমিনার নেই কিন্ডারগার্ডেন গুলোর। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাঁশ, কাঠ, ককসিট দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় তারা।প্রশাসন বলছে সরকারি বরাদ্দের কথা। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরির জন্য সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ নেই। এ ছাড়া নির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি যে, শহীদ মিনার করতেই হবে, তাই নিজ উদ্যোগে প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরি করতে হচ্ছে তাদের। শহীদ মিনার না থাকা প্রসঙ্গে রাণীশংকৈল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মহাদেব বসাক বলেন, ‘মূলত একুশে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচিগুলো রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের সঙ্গে প্রশাসন যৌথভাবে করে দেয়। এ জন্য আমাদের কলেজে তেমন কোনো কর্মসূচি পালন হয় না।’ রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি প্রত্যাশা করি আমাদের রানীশংকৈল উপজেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হোক। তাহলে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগের ইতিহাস ও তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নতুন প্রজন্মের মাঝে সৃষ্টি হবে।’রানীশংকৈল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাহিম উদ্দীন জানান, সরকারিভাবে নির্দেশনা রয়েছে প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করার। এই রানীশংকৈল উপজেলায় এখনো যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন হয়নি সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খুব দ্রুত শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের তাগাদা দেওয়া হবে।’ রানীশংকৈল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলী শাহরিয়ার জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।