ঢাকা ০১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
১২ লাখ শ্রমিকের ভাগ্য নির্ধারণ আজ হত্যা ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী নেতাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ইশরাককে মেয়র পদে বসানোর দাবি, দ্বিতীয় দিনের মতো নগর ভবন অবরুদ্ধ বাঘায় সৎ ভাইয়ের হাতে হত্যা হলো সাদেক আলী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিরাপদ জায়গায় রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: আসিফ মাহমুদ ঠাকুরগাঁওয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের পার্টি অফিস দখল আজমিরীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ ৪০ জন আহত, বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লোটপাট। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এই প্রথমবারের মতো আজ নিজ জেলা চট্টগ্রামে আসলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনাবাড়ী ফ্লাইওভার ব্রিজের মাথায় বাসের ধাক্কায় নারী শ্রমিক নিহত কর্নেল সোফিয়াকে ‘জঙ্গিদের বোন’ বলে বিতর্কের মুখে বিজেপি মন্ত্রী

রাণীশংকৈলে অধিকাংশ বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার শহীদ

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৫:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ২০৪ ১৫০০০.০ বার পাঠক

আল মামুন, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি।।

৭০ বছর আগের ভাষা আন্দালনের পথ ধরে স্বাধীনতা ৫০ বছর পেরিয়েছে দেশে। এরপরও ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাষাশহিদদের স্মরণে তৈরি করা হয়নি শহীদ মিনার। এ অবস্থা রানীশংকৈল উপজেলা শহর থেকে শুরু করে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজগুলোতে। কোনো মাদরাসায় নেই শহীদ মিনার। এতে যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে পারেনা শিক্ষার্থীরা। রাণীশংকৈল উপজেলায় কিন্ডারগার্টেন বাদে ২৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহীদ মিনার আছে মাত্র ৪৫ টিতে। ভাষা দিবসটি দায়সারাভাবে পালন করা হচ্ছে। এতে ভাষা সংগ্রামের ইতিহাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। রানীশংকৈল উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে জানা গেছে, রানীশংকৈল উপজেলার ১৫৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে নেকমরদ, গাজীর হাট, বনগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ৮ টিতে রয়েছে শহীদ মিনার। অপরদিকে রানীশংকৈল উপজেলার ৫২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫ টিতে ও ১২টি কলেজের মধ্যে ৩ টিতে শহীদ মিনার রয়েছে। অপরদিকে ১৯টি মাদ্রাসার মধ্যে একটিতেও শহীদ মিনার নেই। এ ছাড়া রয়েছে অর্ধশতাধিক কিন্ডারগার্টেন। একটিতেও শহীদমিনার নেই কিন্ডারগার্ডেন গুলোর। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাঁশ, কাঠ, ককসিট দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় তারা।প্রশাসন বলছে সরকারি বরাদ্দের কথা। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরির জন্য সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ নেই। এ ছাড়া নির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি যে, শহীদ মিনার করতেই হবে, তাই নিজ উদ্যোগে প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরি করতে হচ্ছে তাদের। শহীদ মিনার না থাকা প্রসঙ্গে রাণীশংকৈল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মহাদেব বসাক বলেন, ‘মূলত একুশে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচিগুলো রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের সঙ্গে প্রশাসন যৌথভাবে করে দেয়। এ জন্য আমাদের কলেজে তেমন কোনো কর্মসূচি পালন হয় না।’ রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি প্রত্যাশা করি আমাদের রানীশংকৈল উপজেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হোক। তাহলে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগের ইতিহাস ও তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নতুন প্রজন্মের মাঝে সৃষ্টি হবে।’রানীশংকৈল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাহিম উদ্দীন জানান, সরকারিভাবে নির্দেশনা রয়েছে প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করার। এই রানীশংকৈল উপজেলায় এখনো যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন হয়নি সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খুব দ্রুত শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের তাগাদা দেওয়া হবে।’ রানীশংকৈল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলী শাহরিয়ার জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।
আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাণীশংকৈলে অধিকাংশ বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার শহীদ

আপডেট টাইম : ০৫:২৫:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আল মামুন, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি।।

৭০ বছর আগের ভাষা আন্দালনের পথ ধরে স্বাধীনতা ৫০ বছর পেরিয়েছে দেশে। এরপরও ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাষাশহিদদের স্মরণে তৈরি করা হয়নি শহীদ মিনার। এ অবস্থা রানীশংকৈল উপজেলা শহর থেকে শুরু করে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজগুলোতে। কোনো মাদরাসায় নেই শহীদ মিনার। এতে যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে পারেনা শিক্ষার্থীরা। রাণীশংকৈল উপজেলায় কিন্ডারগার্টেন বাদে ২৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহীদ মিনার আছে মাত্র ৪৫ টিতে। ভাষা দিবসটি দায়সারাভাবে পালন করা হচ্ছে। এতে ভাষা সংগ্রামের ইতিহাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। রানীশংকৈল উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে জানা গেছে, রানীশংকৈল উপজেলার ১৫৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে নেকমরদ, গাজীর হাট, বনগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ৮ টিতে রয়েছে শহীদ মিনার। অপরদিকে রানীশংকৈল উপজেলার ৫২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫ টিতে ও ১২টি কলেজের মধ্যে ৩ টিতে শহীদ মিনার রয়েছে। অপরদিকে ১৯টি মাদ্রাসার মধ্যে একটিতেও শহীদ মিনার নেই। এ ছাড়া রয়েছে অর্ধশতাধিক কিন্ডারগার্টেন। একটিতেও শহীদমিনার নেই কিন্ডারগার্ডেন গুলোর। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাঁশ, কাঠ, ককসিট দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় তারা।প্রশাসন বলছে সরকারি বরাদ্দের কথা। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরির জন্য সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ নেই। এ ছাড়া নির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি যে, শহীদ মিনার করতেই হবে, তাই নিজ উদ্যোগে প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরি করতে হচ্ছে তাদের। শহীদ মিনার না থাকা প্রসঙ্গে রাণীশংকৈল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মহাদেব বসাক বলেন, ‘মূলত একুশে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচিগুলো রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের সঙ্গে প্রশাসন যৌথভাবে করে দেয়। এ জন্য আমাদের কলেজে তেমন কোনো কর্মসূচি পালন হয় না।’ রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি প্রত্যাশা করি আমাদের রানীশংকৈল উপজেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হোক। তাহলে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগের ইতিহাস ও তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নতুন প্রজন্মের মাঝে সৃষ্টি হবে।’রানীশংকৈল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাহিম উদ্দীন জানান, সরকারিভাবে নির্দেশনা রয়েছে প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করার। এই রানীশংকৈল উপজেলায় এখনো যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন হয়নি সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খুব দ্রুত শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের তাগাদা দেওয়া হবে।’ রানীশংকৈল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলী শাহরিয়ার জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।