ঢাকা ০৭:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
এইবারে ঈদুল আযহারঃকুরবানির পশু চামড়া ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত আশুলিয়ার জিরাবো বাজারে কাপড়ের দোকানে আগুন ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন ট্রাম্প, নতুন দল করছেন মাস্ক! ৩৫ হাজার মানুষের পরিশ্রমে পরিচ্ছন্ন সব সিটি কর্পোরেশন: আসিফ মাহমুদ ঈদের দ্বিতীয় দিনে ৭৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল মুসলমানদের ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন পুতিন দেশের মঙ্গলে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ছেলের মুখে হাসি ফোটাতে ২১ ঘণ্টায় সাইকেলে ২০০ কিমি পাড়ি দিলেন বাবা মোংলায় যৌথ অভিযানে প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ অবৈধ পলিথিন ও সিমফ্রাই জাল জব্দ

টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড, ৪৩৫ ঘর পুড়ে ছাই

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৬:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৩৮২ ১৫০.০০০ বার পাঠক

কক্সবাজার অফিস।।
কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে হোস্ট কমিউনিটির দু’টি ঘর ও কমিউনিটি সেন্টারসহ ৪৩৫ টি পরিবারের সমন্বয়ে একটি ব্লক সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

Nogod
ফায়ার সার্ভিসসহ উপস্থিত রোহিঙ্গাদের সহায়তায় সকাল নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় কারো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও ১৫-২০ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১ টা ২৯ মিনিটে টেকনাফ নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের ই-ব্লকে জনৈক বুইগ্গানীর ঘর থেকে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। প্রত্যেক বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার থাকার কারণে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং এক ঘণ্টার মধ্যে পুরো ব্লকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস ইউনিটসহ রোহিঙ্গারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। দীর্ঘ চেষ্টার পর ভোরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের ৪৩২টি রোহিঙ্গা বসতির রোম, ১ টি ইউএনএইচসিআরের কমিউনিটি সেন্টার এবং পার্শ্ববর্তী ২টি স্থানীয় জনবসতির ঘরসহ ৪৩৫ টি ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী ভাসমান আরও কিছু ঝুপড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে বেশ কয়েকজন দাবি করেন। এই অগ্নিকাণ্ডে আগুনের উৎস সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে অনেকে ধারণা করছেন রোহিঙ্গাদের ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে। ধ্বংসাত্মক মনোভাব নিয়ে কেউ অগ্নিসংযোগ করছেন বলে অনেকে আশংকাও প্রকাশ করছেন।এই ব্যাপারে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ আব্দুল হান্নান জানান, হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং উৎস সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

এদিকে সকাল ১০ টার দিকে কক্সবাজার ত্রাণ শরণার্থী ও পুনর্বাসন বিষয়ক কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড, ৪৩৫ ঘর পুড়ে ছাই

আপডেট টাইম : ০৬:৪৬:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১

কক্সবাজার অফিস।।
কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে হোস্ট কমিউনিটির দু’টি ঘর ও কমিউনিটি সেন্টারসহ ৪৩৫ টি পরিবারের সমন্বয়ে একটি ব্লক সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

Nogod
ফায়ার সার্ভিসসহ উপস্থিত রোহিঙ্গাদের সহায়তায় সকাল নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় কারো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও ১৫-২০ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১ টা ২৯ মিনিটে টেকনাফ নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের ই-ব্লকে জনৈক বুইগ্গানীর ঘর থেকে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। প্রত্যেক বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার থাকার কারণে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং এক ঘণ্টার মধ্যে পুরো ব্লকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস ইউনিটসহ রোহিঙ্গারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। দীর্ঘ চেষ্টার পর ভোরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের ৪৩২টি রোহিঙ্গা বসতির রোম, ১ টি ইউএনএইচসিআরের কমিউনিটি সেন্টার এবং পার্শ্ববর্তী ২টি স্থানীয় জনবসতির ঘরসহ ৪৩৫ টি ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী ভাসমান আরও কিছু ঝুপড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে বেশ কয়েকজন দাবি করেন। এই অগ্নিকাণ্ডে আগুনের উৎস সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে অনেকে ধারণা করছেন রোহিঙ্গাদের ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে। ধ্বংসাত্মক মনোভাব নিয়ে কেউ অগ্নিসংযোগ করছেন বলে অনেকে আশংকাও প্রকাশ করছেন।এই ব্যাপারে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ আব্দুল হান্নান জানান, হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং উৎস সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

এদিকে সকাল ১০ টার দিকে কক্সবাজার ত্রাণ শরণার্থী ও পুনর্বাসন বিষয়ক কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।