ছোট যমুনা নদীর স্লোইচ গেটের লোহার মালামাল চুরি করে বিক্রি অতপর ভাংড়ি ব্যবসিকের নিকট হতে উদ্ধার।
- আপডেট টাইম : ০৪:০০:৫১ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৭ জানুয়ারি ২০২২
- / ২১৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম
বিভাগীয় প্রতিনিধি, রংপুর।
দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার জানিপুর এলাকার ছোট যমুনা নদীর পশ্চিম পার্শে বাঁধের স্লোইচ গেটের ১৯২ কেজি ওজনের তিনটি লোহার বীম আজ ৭/০১/২০২২ ইং তাং রোজ শুক্রবার দৌলতপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মেনাজ মেম্বার ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাহানাজ বেগম অদ্য শুক্রবার বেলা ১২ঘটিকার সময় (মানুষ যখন মসজিদে নামাজ পড়তে যায়) তখন বিরামপুরের পুরাতন ভাংড়ি ব্যবসিক মোঃ নজরুল ইসলাম(৩০) পিতা মোঃ আজগর আলী মোঃ আলমগীর (৩৫) পিতা আঃ হামিদ ও শ্রী অমল চন্দ্র (৩৮) পিতা শ্রী নরেনচন্দ্র উভয় ঠিকানা কাজি পাড়া বিরামপুর এর নিকট ৮৫০০ টাকায় বিক্রি করে। উক্ত মালামাল ব্যবসিকদেরকে মেনাজ মেম্বারের স্ত্রী ও উক্ত পাড়ার মোঃ রাজু পিতা মোঃ মকসেদ আলী ওজন করে বুঝিয়ে দেয় এবং ভাংড়ি ব্যবসিকদেরকে অভয় দিয়ে বলে যদি রাস্তায় পুলিশ বা আর কেউ আটকায় তবে মেনাজ মেম্বারের নাম বললে ছেড়ে দিবে। ভাংড়ি ব্যবসিকদয় চুরি মালামাল ক্রয় করে নিয়ে যাওয়ার সময় কুশলপুর গ্রামের সিডিমোড় নামক স্থানে গ্রামের সাধারন জনগনের নিকট সন্ধেহ হলে বহনকৃত ভ্যান থামিয়ে জিজ্ঞেস করলে ভাংড়ি ব্যাবসিকগন মেনাজ মেম্বার ও তার স্থী এই মালামাল বিক্রি করে বলে যানান। স্থানীয় জনগণ বিসয়টি দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলামকে যানালে চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিক ভাবে ফুলবাড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অবহিত করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার চুরির মালামাল ইউনিয়ন পরিষদের হেপাজতে রাখার জন্য নির্দেশ দেন। চেয়ারম্যান পরিষদের গ্রামপুলিশ ও ৪নং ওয়ার্ড সদস্য আরিফুর রহমান রনি কে উক্ত মালামাল পরিষদে নিয়ে আসার জন্য প্রেরন করলে ঘটনাস্থলে দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যার স্বামী মোঃ সিরাজুল ইসলাম মালামাল পরিষদে আনতে বাধা দেন। পরে ইউপি সদস্য আরিফুর রহমান রনির তোপের মুখে মালামাল ছেড়ে দিতে বাধ্যহন। বর্তমানে উক্ত উদ্ধারকৃত মালামাল ইউপি চেয়ারম্যান পরিষদে হেপাজতে রাখেন। ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি যানান এবিষয়ে ফুলবাড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।