ঢাকা ০৩:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজনা, ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন নাসিরনগরে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নিরাপদে থাকবে সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা/ দীর্ঘ সংগ্রাম আর রক্তের বিনিময়ে আমরা ডাইনি হাসিনা থেকে রেহাই পেয়েছি দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিক সুচিকিৎসা ও সেবা-পরিচর্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দলগুলোর সমর্থন না পেলে সব উদ্যোগ নিষ্ফল হবে: সিইসি ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির সিদ্ধান্ত গাজীপুরে আম ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে গর্ভের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু আহত ৯ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে

ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী ‘বন্দি দশা’ থেকে মুক্তি চাই, অনেক কথা বলার আছে কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৮:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ২৪২ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

বন্দি দশা’ থেকে মুক্ত হতে চান কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ঢাকার গৃহবধূ ও তার স্বামী। গত চার দিন ধরে অসুস্থ ৮ মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে নিরাপত্তা হেফাজতের নামে তাদের এক ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। গতকাল রাতে মুঠোফোনে যুগান্তরকে ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন, ‘আমাদেরকে নিরাপত্তা হেফাজতের নামে ঘটনার পরদিন থেকেই হলিডের মোড় ট্যুরিস্ট পুলিশের রেস্ট হাউজের একটি কক্ষে এক প্রকার ‘বন্দি’ রাখা হয়েছে। কোথাও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ঠিকমতো খাবার দেওয়া হলেও আমরা অসুস্থ সন্তান নিয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরে যেতে চাই।’ তিনি বলেন, বাইরে আমাদের নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে, সব জবাব দেব। আমাদেরও অনেক কথা বলার আছে।

টুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম সাংবাদিকদের জানান, মামলা তদন্তে সহায়তা ও তাদের নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য তাদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাদের ঠিকমতো খাবার দেওয়া হচ্ছে। এর আগে ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়।

গত ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পর্যটন গলফ মাঠ এলাকা থেকে ওই নারীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করে একদল দুর্বৃত্ত এবং তার স্বামী ও সন্তানকে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে র‌্যাব ২৩ ডিসেম্বর রাতে ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মো. আশিক (২৮), মো. বাবু (২৫), ইসরাফিল হুদা জয় (২৮) ও রিয়াজ উদ্দিন ওরফে ছোটন (৩০) এবং অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এর পর থেকে তাদেরকে হেফাজতে রাখা হয়েছে।

মুঠোফোনে ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর সঙ্গে যুগান্তরের কথা হয়। আদালতে নিজের স্ত্রীর দেহ ব্যবসায় জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেওয়ার যে কথা পুলিশ বলেছে, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বন্দি দশা থেকে বের হতে গেলে যেসব কথা বলা দরকার তাই আমার স্ত্রী বলেছেন। এখান থেকে বের হতে পারলে আমার অনেক কথা বলার রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা যদি মাদক বা অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকি তাহলে প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক। আমরা তো আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আসামিদের গ্রেফতার না করে আমাদেরকে কেন বন্দি রাখা হলো? এবং আমার স্ত্রীকে নিয়ে নানা কথা বলা হচ্ছে, যা আইন পরিপন্থি।

এদিকে ট্যুরিস্ট পুলিশ রোববার দুপুরে তাদের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় আসামিদের সঙ্গে ভুক্তভোগী নারীর পূর্ব পরিচয় ও তার চরিত্র নিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের বক্তব্য নিয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম বলেন, ওটা ওই নারীর ব্যক্তিগত বিষয়। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে যারা ক্রাইমটা করছে, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা। পর্যটদের নিরাপত্তার নিশ্চিত করা ও পর্যটন শিল্পের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখা। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা কামনা করে নেতিবাচক কিছু না লেখার অনুরোধ করেন। সভায় কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো.জিল্লু রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী ‘বন্দি দশা’ থেকে মুক্তি চাই, অনেক কথা বলার আছে কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

আপডেট টাইম : ০৭:১৮:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

বন্দি দশা’ থেকে মুক্ত হতে চান কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ঢাকার গৃহবধূ ও তার স্বামী। গত চার দিন ধরে অসুস্থ ৮ মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে নিরাপত্তা হেফাজতের নামে তাদের এক ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। গতকাল রাতে মুঠোফোনে যুগান্তরকে ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন, ‘আমাদেরকে নিরাপত্তা হেফাজতের নামে ঘটনার পরদিন থেকেই হলিডের মোড় ট্যুরিস্ট পুলিশের রেস্ট হাউজের একটি কক্ষে এক প্রকার ‘বন্দি’ রাখা হয়েছে। কোথাও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ঠিকমতো খাবার দেওয়া হলেও আমরা অসুস্থ সন্তান নিয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরে যেতে চাই।’ তিনি বলেন, বাইরে আমাদের নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে, সব জবাব দেব। আমাদেরও অনেক কথা বলার আছে।

টুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম সাংবাদিকদের জানান, মামলা তদন্তে সহায়তা ও তাদের নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য তাদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাদের ঠিকমতো খাবার দেওয়া হচ্ছে। এর আগে ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়।

গত ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পর্যটন গলফ মাঠ এলাকা থেকে ওই নারীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করে একদল দুর্বৃত্ত এবং তার স্বামী ও সন্তানকে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে র‌্যাব ২৩ ডিসেম্বর রাতে ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মো. আশিক (২৮), মো. বাবু (২৫), ইসরাফিল হুদা জয় (২৮) ও রিয়াজ উদ্দিন ওরফে ছোটন (৩০) এবং অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এর পর থেকে তাদেরকে হেফাজতে রাখা হয়েছে।

মুঠোফোনে ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর সঙ্গে যুগান্তরের কথা হয়। আদালতে নিজের স্ত্রীর দেহ ব্যবসায় জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেওয়ার যে কথা পুলিশ বলেছে, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বন্দি দশা থেকে বের হতে গেলে যেসব কথা বলা দরকার তাই আমার স্ত্রী বলেছেন। এখান থেকে বের হতে পারলে আমার অনেক কথা বলার রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা যদি মাদক বা অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকি তাহলে প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক। আমরা তো আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আসামিদের গ্রেফতার না করে আমাদেরকে কেন বন্দি রাখা হলো? এবং আমার স্ত্রীকে নিয়ে নানা কথা বলা হচ্ছে, যা আইন পরিপন্থি।

এদিকে ট্যুরিস্ট পুলিশ রোববার দুপুরে তাদের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় আসামিদের সঙ্গে ভুক্তভোগী নারীর পূর্ব পরিচয় ও তার চরিত্র নিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের বক্তব্য নিয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম বলেন, ওটা ওই নারীর ব্যক্তিগত বিষয়। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে যারা ক্রাইমটা করছে, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা। পর্যটদের নিরাপত্তার নিশ্চিত করা ও পর্যটন শিল্পের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখা। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা কামনা করে নেতিবাচক কিছু না লেখার অনুরোধ করেন। সভায় কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো.জিল্লু রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।