ঢাকা ০১:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৭ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারতের সাময়িক আনন্দ স্থায়ী দুঃখে পরিণত হবে: পাকিস্তান পাক-ভারত সংঘাতের মধ্যে সার্বভৌমত্ব রক্ষার আহ্বান আসিফ-হাসনাতের ভারতের হামলার পর তাৎক্ষণিক যেসব পদক্ষেপ নিলো পাকিস্তান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর আকাশে দেখা গেল টর্নেডো নারী যেমন পুরুষকে বুঝবে পুরুষও নারীকে বুঝতে হবে: এতেই শান্তি আসবে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির মুট কোর্ট সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তরুণদের রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হতে বললেন ড. ইউনূস বাতিল হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি আইনের ৯টি ধারা ও ৯০ শতাংশ মামলা এটিএম আজহারের আপিলের পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার র‍্যাঙ্কিংয়ে অবনতি, সরাসরি বিশ্বকাপে খেলা হবে তো বাংলাদেশের?

দিল্লির ‘মসনদ দখলে’ মমতার পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর ২০২১
  • / ২৯৯ ১৫০০০.০ বার পাঠক

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বৃত্ত পেরিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূল নিজেদের শক্তি বাড়াচ্ছে। রাজনৈতিক দলটি শীর্ষ সাংগঠনিক স্তরের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকেছে আগামী সোমবার।

ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এ তথ্য জানায়।জানা যায়, এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে। ওই বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়সহ ওয়ার্কিং কমিটির ২১ সদস্যকেই উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাতীয় পর্যায়ে দলের পরিকল্পনা কী হবে, সে কথাই বৈঠকে জানাবেন মমতা এবং অভিষেক। এ ছাড়া সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে তৃণমূলের সংসদ সদস্যরা কী ভূমিকা নেবেন, তাও ঠিক করে দেওয়া হবে। সামনে অনুষ্ঠেয় বিভিন্ন রাজ্য নির্বাচনের আগে তৃণমূল নিজেদের গুছিয়ে দিল্লির সিংহাসনে বসার স্বপ্ন দেখছে।

এদিকে গত কয়েকমাসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সর্বভারতীয় স্তরের কয়েক জন গুরুত্বপূর্ণ নেতা।  তাদের অন্যতম হরিয়ানা প্রদেশ কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি অশোক তানওয়ারকে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

তৃণমূলের মুখপত্রে বলা হয়, দলের বাকি নেতাদের সঙ্গে তাকে (অশোক) আলাপ-পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে।

২০২১ সালের মার্চে তৃণমূলে যোগ দিয়েই ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যপদ পান অটলবিহারী সরকারের বিদেশ এবং অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিন্হা। এর পর গোয়ার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো, আসামের সাবেক সংসদ সদস্য সুস্মিতা দেব, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াত সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কমলাপতি ত্রিপাঠীর পৌত্র এবং প্রপৌত্র, রাজেশপতি এবং ললিতেশপতি। এদের মধ্যে ফেলেইরোকে দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি করা হয়। ফেলেইরো এবং সুস্মিতাকে রাজ্যসভায় পাঠান মমতা।

এদিকে মমতার সাম্প্রতিক দিল্লি সফরের সময় অশোক ছাড়াও সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার এবং সাবেক বিজেপি সংসদ সদস্য কীর্তি আজাদ তৃণমূলে যোগ দেন। যদিও বিজেপি থেকে আগেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন আজাদ। এর পর তিনি এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন। এ সময় সাবেক জেডি (ইউ) সংসদ সদস্য পবন বর্মাও তৃণমূলে যোগ দেন।  সবচেয়ে আশ্চর্যের ঘটনা হয়ে এসেছে মেঘালয়ের ১১ জন কংগ্রেস বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে জোড়াফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা।

তৃণমূলের একটি সূত্র জানায়, এ পরিস্থিতিতে দলকে সর্বভারতীয় চেহারা দিতে তৃণমূলে নতুন যোগ দেওয়াদের মধ্য থেকে কাউকে কাউকে শীর্ষ সাংগঠনিক স্তরের সদস্যপদ বা আমন্ত্রিত সদস্য করা হতে পারে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দিল্লির ‘মসনদ দখলে’ মমতার পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক

আপডেট টাইম : ০৮:৩৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বৃত্ত পেরিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূল নিজেদের শক্তি বাড়াচ্ছে। রাজনৈতিক দলটি শীর্ষ সাংগঠনিক স্তরের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকেছে আগামী সোমবার।

ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এ তথ্য জানায়।জানা যায়, এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে। ওই বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়সহ ওয়ার্কিং কমিটির ২১ সদস্যকেই উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাতীয় পর্যায়ে দলের পরিকল্পনা কী হবে, সে কথাই বৈঠকে জানাবেন মমতা এবং অভিষেক। এ ছাড়া সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে তৃণমূলের সংসদ সদস্যরা কী ভূমিকা নেবেন, তাও ঠিক করে দেওয়া হবে। সামনে অনুষ্ঠেয় বিভিন্ন রাজ্য নির্বাচনের আগে তৃণমূল নিজেদের গুছিয়ে দিল্লির সিংহাসনে বসার স্বপ্ন দেখছে।

এদিকে গত কয়েকমাসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সর্বভারতীয় স্তরের কয়েক জন গুরুত্বপূর্ণ নেতা।  তাদের অন্যতম হরিয়ানা প্রদেশ কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি অশোক তানওয়ারকে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

তৃণমূলের মুখপত্রে বলা হয়, দলের বাকি নেতাদের সঙ্গে তাকে (অশোক) আলাপ-পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে।

২০২১ সালের মার্চে তৃণমূলে যোগ দিয়েই ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যপদ পান অটলবিহারী সরকারের বিদেশ এবং অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিন্হা। এর পর গোয়ার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো, আসামের সাবেক সংসদ সদস্য সুস্মিতা দেব, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াত সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কমলাপতি ত্রিপাঠীর পৌত্র এবং প্রপৌত্র, রাজেশপতি এবং ললিতেশপতি। এদের মধ্যে ফেলেইরোকে দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি করা হয়। ফেলেইরো এবং সুস্মিতাকে রাজ্যসভায় পাঠান মমতা।

এদিকে মমতার সাম্প্রতিক দিল্লি সফরের সময় অশোক ছাড়াও সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার এবং সাবেক বিজেপি সংসদ সদস্য কীর্তি আজাদ তৃণমূলে যোগ দেন। যদিও বিজেপি থেকে আগেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন আজাদ। এর পর তিনি এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন। এ সময় সাবেক জেডি (ইউ) সংসদ সদস্য পবন বর্মাও তৃণমূলে যোগ দেন।  সবচেয়ে আশ্চর্যের ঘটনা হয়ে এসেছে মেঘালয়ের ১১ জন কংগ্রেস বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে জোড়াফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা।

তৃণমূলের একটি সূত্র জানায়, এ পরিস্থিতিতে দলকে সর্বভারতীয় চেহারা দিতে তৃণমূলে নতুন যোগ দেওয়াদের মধ্য থেকে কাউকে কাউকে শীর্ষ সাংগঠনিক স্তরের সদস্যপদ বা আমন্ত্রিত সদস্য করা হতে পারে।