ঢাকা ০১:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
কুইক রেন্টাল আইনের দুটি ধারা অবৈধ: হাইকোর্ট মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক হচ্ছেন কংগ্রেসের প্রথম হিন্দু সদস্য তুলসী মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প যেন অপরাধের স্বর্গরাজ্য সম্প্রতি জেনেভা ক্যাম্পে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী ঠিকাদার খালেক ও সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল দুর্নীতির,,মহারাজ নির্যাতিতরা এলাকা ছাড়া।থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে শান্তিপুর আমতলীতে রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত ৪২শ’ পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরন কার্যক্রমের উদ্বোধন কপ-২৯ সম্মেলন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কাঠামোই পরিবেশ ধ্বংসের কারণ: ড. ইউনূস মঠবাড়ীয়ায় কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার সরবরাহের নিমিত্তে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় চাষীদের রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ করা হয় ডাকাতি সংগঠিতো হওয়া’র ০৫ (পাঁচ) দিনের মধ্যে ডাকাত দলের ০৫ ডাকাত গ্রেফতার সহ শেখদের পতন’ শীর্ষক পোস্টে যা বললেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

দুবলার শুটকি থেকে পাওয়া যাবে ৩ কোটি ২২ লাখ টাকা

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:১৭:৩০ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর ২০২১
  • / ২৩৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

ওমর ফারুক মোংলা বন্দর।।

বঙ্গোপসাগরের দুবলার চরে শুরু হয়েছে শুটকি মৌসুম। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কয়েক হাজার জেলে সেখানে জড়ো হয়েছে। সমুদ্র মোহনা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আহরণ শেষে তা রোদে শুকিয়ে শুটকি প্রক্রিয়া করবেন তারা। আর এই মাছ চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এমনকি বিদেশেও বাজার জাত করা হবে। চরের অভ্যন্তরে ১৩ টি মৎস্য আহরণ, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকরণ কেন্দ্র নিয়ে গঠিত দুবলার জেলে পল্লী।

এবার এই শুটকি মাছ তৈরীতে তিন কোটি ২২ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে বনবিভাগ। গত মৌসুমে শুঁটকি আহরিত হয়েছিল ৪৫ হাজার মেট্রিক টন এবং তা থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে তিন কোটি ২২ লাখ টাকা। যদিও সে বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন কোটি ২০ লাখ টাকা। দুই লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হওয়ায় এবছর তা লক্ষ্য আদায় ধরে তিন কোটি ২২ লাখ টাকা আদায় ঠিক করেছে তারা। পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ২৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই পাঁচ মাস বঙ্গোপসাগর পাড়ের দুবলা, মেহের আলীর, আলোরকোল, অফিস কিল্লা, মাঝের কিল্লা, শেলার চর, নারকেল বাড়িয়া, ছোট আম বাড়িয়া, বড় আম বাড়িয়া, মানিক খালী, কবর খালী, চাপড়া খালী, কোকিলমনি ও হলদা খালীর চরে জেলেরা শুটকি প্রক্রিয়া করবেন জেলেরা। এ কারণে তাদের বনবিভাগ থেকে পাস পারমিট দেওয়া হয়েছে। যদিও জেলেরা নির্ধারিত সময়ের এক সপ্তাহ আগেই সেখোনে চলে গেছেন।

এবার মোংলা, রামপাল, খুলনা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, চট্রগ্রামসহ সুন্দরবন উপকূলের কয়েক হাজার জেলে মাছ আহরণ ও শুঁটকি তৈরির জন্য সাগরপাড়ে অস্থায়ী বসতি গড়ে তুলবে। এ জন্য জেলেদের ৯৮৫ টি ঘর এবং ৬৬ টি ডিপো তৈরীর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে পূর্ব সুন্দরবনের হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা সত্যজিৎ সাহা বলেন, এসব ঘর বা ডিপোতে ওঠা প্রতি কুইন্টাল রুপচাঁদা ও লাটক্ষা মাছের শুটকি থেকে ১৫০০ টাকা এবং অন্য সাধারণ মাছের শুটকি মাছ থেকে প্রতি কুইন্টাল ৫০০ টাকা রেভিনিউ (রাজস্ব) আদায় করা হবে। এছাড়া জেলেদের ঘর ও ডিপো প্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা রাজস্ব আদায় করা হবে বলেও জানান সত্যজিৎ।

শুটকির তৈরীর জেলে শহিদ মল্লিক, বোরহান উদ্দিন, বেল্লাল হোসেন বলেন, সমুদের লোনা পানি থেকে লইট্রা, ছুরি, খলিসা, ভেদা, চিংড়ি, ইছা ও ররুপচাঁদা মাছ আহরণ করেন তারা। এরপর টানা তিন থেকে চারদিন সেই কাঁচা মাছে রোদে শুকিয়ে প্রায় এক’শ প্রজতির শুটকি তৈরী করেন তারা। এই শুটকি মাছ তৈরী করতে আগামী পাঁচ মাস সেখানে অবস্থানের অনুমতি মিলেছে। এই পাঁচ মাসে তাদের প্রয়োজনীয় রসদসহ যাবতীয় সবকিছু তারা সঙ্গে নিয়ে দুবলার চরে গেছেন প্রায় ১৫ হাজার জেলে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দুবলার শুটকি থেকে পাওয়া যাবে ৩ কোটি ২২ লাখ টাকা

আপডেট টাইম : ১১:১৭:৩০ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর ২০২১

ওমর ফারুক মোংলা বন্দর।।

বঙ্গোপসাগরের দুবলার চরে শুরু হয়েছে শুটকি মৌসুম। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কয়েক হাজার জেলে সেখানে জড়ো হয়েছে। সমুদ্র মোহনা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আহরণ শেষে তা রোদে শুকিয়ে শুটকি প্রক্রিয়া করবেন তারা। আর এই মাছ চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এমনকি বিদেশেও বাজার জাত করা হবে। চরের অভ্যন্তরে ১৩ টি মৎস্য আহরণ, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকরণ কেন্দ্র নিয়ে গঠিত দুবলার জেলে পল্লী।

এবার এই শুটকি মাছ তৈরীতে তিন কোটি ২২ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে বনবিভাগ। গত মৌসুমে শুঁটকি আহরিত হয়েছিল ৪৫ হাজার মেট্রিক টন এবং তা থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে তিন কোটি ২২ লাখ টাকা। যদিও সে বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন কোটি ২০ লাখ টাকা। দুই লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হওয়ায় এবছর তা লক্ষ্য আদায় ধরে তিন কোটি ২২ লাখ টাকা আদায় ঠিক করেছে তারা। পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ২৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই পাঁচ মাস বঙ্গোপসাগর পাড়ের দুবলা, মেহের আলীর, আলোরকোল, অফিস কিল্লা, মাঝের কিল্লা, শেলার চর, নারকেল বাড়িয়া, ছোট আম বাড়িয়া, বড় আম বাড়িয়া, মানিক খালী, কবর খালী, চাপড়া খালী, কোকিলমনি ও হলদা খালীর চরে জেলেরা শুটকি প্রক্রিয়া করবেন জেলেরা। এ কারণে তাদের বনবিভাগ থেকে পাস পারমিট দেওয়া হয়েছে। যদিও জেলেরা নির্ধারিত সময়ের এক সপ্তাহ আগেই সেখোনে চলে গেছেন।

এবার মোংলা, রামপাল, খুলনা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, চট্রগ্রামসহ সুন্দরবন উপকূলের কয়েক হাজার জেলে মাছ আহরণ ও শুঁটকি তৈরির জন্য সাগরপাড়ে অস্থায়ী বসতি গড়ে তুলবে। এ জন্য জেলেদের ৯৮৫ টি ঘর এবং ৬৬ টি ডিপো তৈরীর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে পূর্ব সুন্দরবনের হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা সত্যজিৎ সাহা বলেন, এসব ঘর বা ডিপোতে ওঠা প্রতি কুইন্টাল রুপচাঁদা ও লাটক্ষা মাছের শুটকি থেকে ১৫০০ টাকা এবং অন্য সাধারণ মাছের শুটকি মাছ থেকে প্রতি কুইন্টাল ৫০০ টাকা রেভিনিউ (রাজস্ব) আদায় করা হবে। এছাড়া জেলেদের ঘর ও ডিপো প্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা রাজস্ব আদায় করা হবে বলেও জানান সত্যজিৎ।

শুটকির তৈরীর জেলে শহিদ মল্লিক, বোরহান উদ্দিন, বেল্লাল হোসেন বলেন, সমুদের লোনা পানি থেকে লইট্রা, ছুরি, খলিসা, ভেদা, চিংড়ি, ইছা ও ররুপচাঁদা মাছ আহরণ করেন তারা। এরপর টানা তিন থেকে চারদিন সেই কাঁচা মাছে রোদে শুকিয়ে প্রায় এক’শ প্রজতির শুটকি তৈরী করেন তারা। এই শুটকি মাছ তৈরী করতে আগামী পাঁচ মাস সেখানে অবস্থানের অনুমতি মিলেছে। এই পাঁচ মাসে তাদের প্রয়োজনীয় রসদসহ যাবতীয় সবকিছু তারা সঙ্গে নিয়ে দুবলার চরে গেছেন প্রায় ১৫ হাজার জেলে।