জাতীয় ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল, প্রধান জামাত শুরু সকাল সাড়ে ৮টায়

- আপডেট টাইম : ০২:৪২:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫
- / ৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
জাতীয় ঈদগাহ। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে দুই ঘণ্টা আগে থেকেই মুসল্লিরা রাজধানীর হাইকোর্টসংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করছেন।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল থেকে পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন এবং হাইকোর্টের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মুসল্লিরা ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করছেন। একইভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্তেও দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রায় ৩ লাখ ২২ হাজার ৮০০ বর্গফুট আয়তনের এই মাঠে একসাথে ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
প্রধান জামাতে উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক ইমাম হিসেবে এ জামাতে দায়িত্ব পালন করবেন, এবং ক্বারী হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
এ ছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারি বিকল্প ইমাম এবং বাংলাদেশ বেতারের বিশিষ্ট ক্বারী এমদাদুল ইসলাম বিকল্প মোকাব্বির হিসেবে প্রস্তুত থাকবেন। ইমাম বা মোকাব্বিরের অনুপস্থিতিতে তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
বৈরি আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠানের সকল আয়োজন এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া জানান, জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির জন্য নামাজের স্থান প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদের জামাতে অংশ নেবেন।
ঢাকাবাসীকে প্রধান ঈদ জামাতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছি, যাতে মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন।’
মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য পদক্ষেপের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক জানান, বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পুলিশ, র্যাব অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। ওজু ও টয়লেটের সুব্যবস্থার জন্য মুসল্লিদের সুবিধায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, জরুরি স্বাস্থ্য সেবার জন্য মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকবে। সুপেয় পানির সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। নামাজ আদায়ের জন্য পবিত্র ও আরামদায়ক কার্পেট ও খাওয়ার পানির ব্যবস্থা থাকবে, সেহেতু মুসল্লিদের জায়নামাজ এবং পানি নিয়ে আসার কোনো প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, মুসল্লিদের প্রবেশের জন্য দুইটি এবং নির্বিঘ্নে বাহির হওয়ার জন্য পাঁচটি গেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও মহিলাদের প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য সম্পূর্ণ পৃথক একটি গেট থাকবে।