আমেরিকা হামলা চালালে ইরানও ‘কঠোর জবাব’ দেবে: খামেনি

- আপডেট টাইম : ১১:৫২:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫
- / ৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানে বোমা হামলা চালায়, তাহলে ইরানও নিশ্চিতভাবেই কঠোর পাল্টা আঘাত দেবে।
৮৫ বছর বয়স্ক খামেনি সোমবার তেহরানের গ্র্যান্ড মোসাল্লা মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের ইমামতি করেন এবং পরে এক ভাষণে এ হুঁশিয়ারি দেন।খবর রয়টার্সের।
এর আগে, ট্রাম্প রোববার পুনরায় হুমকি দিয়ে বলেন, তেহরান যদি ওয়াশিংটনের সঙ্গে নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে সম্মত না হয়, তাহলে ইরানকে বোমা হামলার সম্মুখীন হতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির জবাবে ইরানের প্রতিক্রিয়া
এদিকে তেহরানে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত, যিনি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং ওয়াশিংটন-তেহরানের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন, তাকে সোমবার ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। সেখানে ইরান ‘যেকোনো হুমকির কঠোর ও তাৎক্ষণিক জবাব দেওয়ার সংকল্প’ ব্যক্ত করে।
ট্রাম্পের হুমকির বিষয়ে খামেনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের শত্রুতা সবসময়ই ছিল। তারা আমাদের ওপর আক্রমণের হুমকি দেয়। যা আমরা তেমন সম্ভাব্য বলে মনে করি না। তবে যদি তারা কোনো দুষ্কর্ম করে, তাহলে তারা অবশ্যই কঠোর পাল্টা আঘাত পাবে।
তিনি আরও বলেন, যদি তারা দেশের ভেতরে ফিতনা সৃষ্টির চেষ্টা করে। তাহলে অতীতের মতোই ইরানি জনগণই তাদের উপযুক্ত জবাব দেবে।
পশ্চিমা বিশ্বের বিরুদ্ধে ইরানের অভিযোগ
ইরানি কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে যে, ২০২২-২৩ সালে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর সৃষ্ট বিক্ষোভ এবং ২০১৯ সালে জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মতো ঘটনাগুলোর জন্য পশ্চিমা দেশগুলোই দায়ী।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিক্রিয়া
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাঘাই সোমবার এক টুইট বার্তায় বলেন, একজন রাষ্ট্রপ্রধানের প্রকাশ্য ‘বোমা হামলার’ হুমকি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার চরম লঙ্ঘন।
তার ভাষায়, সহিংসতা আরও সহিংসতা সৃষ্টি করে, আর শান্তি শান্তি বয়ে আনে। যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই তার পথ বেছে নিতে হবে এবং তার পরিণতি মেনে নিতে হবে।
পারমাণবিক আলোচনা ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান
২০১৭-২১ সালের প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প ২০১৫ সালে ইরানের পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন এবং পুনরায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
এরপর থেকে ইরান চুক্তি-সীমার বাইরে গিয়ে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা অনেক বৃদ্ধি করেছে।
পশ্চিমা শক্তিগুলো অভিযোগ করে আসছে, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। তবে তেহরান বরাবরই দাবি করে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বেসামরিক জ্বালানি উৎপাদনের জন্য।