ঢাকা ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৯০ ইলা লালালালা: সবুজ ঘাসের লাল দ্রোহের সুর যার কন্ঠে তরুণ আইনজীবী সাইফুলকে যেভাবে হত্যা করা হয় গাজীপুরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দুর্নীতিত অতিষ্ঠ জনসাধারণ সমাবেশে গিয়ে টাকা না পেয়ে বাড়ি ঘেরাও, ৫ প্রতারক আটক অভিনব সিন্ডিকেট: সয়াবিন তেলের সঙ্গে চাল-ডাল কেনা বাধ্যতামূলক! সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন হাসনাত ডেপুটি রেজিস্ট্রার হয়েও নার্সিং ইনস্টিটিউট ব্যবসা নিলুফার ইয়াসমিনের অভিযোগ তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তলব পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি

সাগর-রুনী হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন ৮২ বার পেছাল

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৪:১৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১
  • / ৩৯৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

আইন আদালত রিপোর্ট।।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এ দিন র‌্যাব তা দাখিল করেনি। এ জন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৮২ বার পেছাল।

সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার পরও দীর্ঘদিনেও চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার কোনো ক্লু উদ্ঘাটন করতে পারেনি তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সরোয়ার ওরফে সাগর সরোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনী দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের নিজ বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন। এ ঘটনায় রুনীর ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

প্রথমে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক এসআই। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওপর ন্যস্ত করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল এই হত্যা মামলার তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মামলায় মোট পাঁচটি তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে। প্রথমে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর, এরপর ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি, ওই বছরের ৭ জুন, ২০১৬ সালের ২ অক্টোবর ও সর্বশেষ গত বছরের ২১ মার্চ তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

সর্বশেষ তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো আলামতের ডিএনএ পরীক্ষা করে ঘটনাস্থলে দুজন অজ্ঞাত পুরুষ ব্যক্তির ডিএনএ পাওয়া গেছে। ওই দুই অজ্ঞাত আসামিকে শনাক্ত করতে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রিল কাটা অপরাধে চোর-ডাকাতদের বিষয়েও নিবিড়ভাবে তদন্ত অব্যাহত আছে। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্বে থাকা র্যা ব এ পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে দুজন জামিনে ও বাকি ছয় আসামি কারাগারে আছেন।

 

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাগর-রুনী হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন ৮২ বার পেছাল

আপডেট টাইম : ১১:৩৪:১৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১

আইন আদালত রিপোর্ট।।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এ দিন র‌্যাব তা দাখিল করেনি। এ জন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৮২ বার পেছাল।

সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার পরও দীর্ঘদিনেও চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার কোনো ক্লু উদ্ঘাটন করতে পারেনি তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সরোয়ার ওরফে সাগর সরোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনী দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের নিজ বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন। এ ঘটনায় রুনীর ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

প্রথমে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক এসআই। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওপর ন্যস্ত করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল এই হত্যা মামলার তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মামলায় মোট পাঁচটি তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে। প্রথমে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর, এরপর ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি, ওই বছরের ৭ জুন, ২০১৬ সালের ২ অক্টোবর ও সর্বশেষ গত বছরের ২১ মার্চ তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

সর্বশেষ তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো আলামতের ডিএনএ পরীক্ষা করে ঘটনাস্থলে দুজন অজ্ঞাত পুরুষ ব্যক্তির ডিএনএ পাওয়া গেছে। ওই দুই অজ্ঞাত আসামিকে শনাক্ত করতে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রিল কাটা অপরাধে চোর-ডাকাতদের বিষয়েও নিবিড়ভাবে তদন্ত অব্যাহত আছে। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্বে থাকা র্যা ব এ পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে দুজন জামিনে ও বাকি ছয় আসামি কারাগারে আছেন।