ঢাকা ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ফুলবাড়ী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ জন ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামীকে আটক করেন ঠাকুরগাঁওয়ে বিনামূল্যে অপারেশন ও চক্ষুসেবা পেলেন আড়াইশ রোগী ফার্মেসি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর কিশোরগঞ্জ জেলা নবনির্বাচিত কমিটির সংবর্ধনা ট্রাম্প ও তার প্রশাসনকে কীভাবে সামলাবেন প্রশ্নে যা বললেন ড. ইউনূস আগামীতে সরকারের মেয়াদ ৪ বছর হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ শিক্ষার্থীদের রাজধানীর মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে রেখেছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা খালেদা জিয়াকে সুখবর দিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন: ড. ইউনূস পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুল হকের ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগেও নেই প্রতিকার নেতানিয়াহুর বাসভবনে বোমা হামলা

অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির করা হয়নি ক্যাসিনো সম্রাটকে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫২:১১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১
  • / ৩৮২ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে আদালতে হাজির করা হয়নি।

সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে সম্রাটের উপস্থিতিতে মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। সম্রাট অসুস্থ থাকায় এদিন তাকে আদালতে হাজির করেনি কারা কর্তৃপক্ষ।

আগামী ১০ জানুয়ারি অভিযোগপত্র গ্রহণের নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম যুগান্তরকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে সম্রাটের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য ছিল।

ওই দিনও সম্রাটকে আদালতে উপস্থিত না করার কারণে আদালত সম্রাটের অনুপস্থিতিতে অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। গত বছরের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলেও দেশের বাইরে নামে-বেনামে অন্তত এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তার এ সম্পদ সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও আমেরিকায় রয়েছে।

বিভিন্ন মাধ্যমের তথ্যের বরাত দিয়ে দুদকের অভিযোগে বলা হয়, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল ও ফকিরেরপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন। সেগুলোতে নিজের লোক বসিয়ে প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় নিজের লোক দিয়ে ক্লাবগুলোতে ব্যবসা পরিচালনা করতেন।

এ ছাড়া চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অবৈধ মাদক ব্যবসা পরিচালনারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে তিনি দেশের বাইরে সম্পদ গড়েছেন। দেশেও উত্তরা, ধানমণ্ডি, গুলশানসহ বিভিন্ন স্থানে নামে-বেনামে সম্পদ গড়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, অনুসন্ধানকালে গোয়েন্দা সূত্র, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সম্রাট ক্যাসিনোসহ অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দেশের বাইরে পাচার করে নামে-বেনামে সম্পদ গড়েছেন। দেশেও তিনি ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ি করেছেন, সিনেমায় বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। মামলার তদন্তকালে আইনানুগ পদ্ধতিতে আসামি সম্রাটের অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদের আরও প্রমাণাদি পাওয়া গেলে তা আমলে নেয়া হবে।

দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে সম্রাটের বিরুদ্ধে করা মামলায় আরও বলা হয়, তিনি ২০১৮-১৯ করবর্ষে নিজ নামে ১ কোটি ৮৪ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদের তথ্য দিয়েছেন। তবে অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, সম্রাট তার মালিকানাধীন ‘হিজ মুভিজ’-এর নামে সোনালী ব্যাংক, কাকরাইল শাখায় চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ কোটি ৭৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন। ওই হিসাবে বর্তমান স্থিতি ১৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। বিভিন্ন ব্যাংকে তার এফডিআর আছে ১ কোটি ১০ লাখ ৭৬ হাজার টাকার। সব মিলিয়ে দেশে তার অবৈধ সম্পদের সন্ধান মেলে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার।

২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর কয়েকদফা  রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে। রিমান্ড শেষে বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির করা হয়নি ক্যাসিনো সম্রাটকে

আপডেট টাইম : ০৬:৫২:১১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে আদালতে হাজির করা হয়নি।

সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে সম্রাটের উপস্থিতিতে মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। সম্রাট অসুস্থ থাকায় এদিন তাকে আদালতে হাজির করেনি কারা কর্তৃপক্ষ।

আগামী ১০ জানুয়ারি অভিযোগপত্র গ্রহণের নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম যুগান্তরকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে সম্রাটের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য ছিল।

ওই দিনও সম্রাটকে আদালতে উপস্থিত না করার কারণে আদালত সম্রাটের অনুপস্থিতিতে অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। গত বছরের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলেও দেশের বাইরে নামে-বেনামে অন্তত এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তার এ সম্পদ সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও আমেরিকায় রয়েছে।

বিভিন্ন মাধ্যমের তথ্যের বরাত দিয়ে দুদকের অভিযোগে বলা হয়, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল ও ফকিরেরপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন। সেগুলোতে নিজের লোক বসিয়ে প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় নিজের লোক দিয়ে ক্লাবগুলোতে ব্যবসা পরিচালনা করতেন।

এ ছাড়া চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অবৈধ মাদক ব্যবসা পরিচালনারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে তিনি দেশের বাইরে সম্পদ গড়েছেন। দেশেও উত্তরা, ধানমণ্ডি, গুলশানসহ বিভিন্ন স্থানে নামে-বেনামে সম্পদ গড়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, অনুসন্ধানকালে গোয়েন্দা সূত্র, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সম্রাট ক্যাসিনোসহ অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দেশের বাইরে পাচার করে নামে-বেনামে সম্পদ গড়েছেন। দেশেও তিনি ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ি করেছেন, সিনেমায় বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। মামলার তদন্তকালে আইনানুগ পদ্ধতিতে আসামি সম্রাটের অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদের আরও প্রমাণাদি পাওয়া গেলে তা আমলে নেয়া হবে।

দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে সম্রাটের বিরুদ্ধে করা মামলায় আরও বলা হয়, তিনি ২০১৮-১৯ করবর্ষে নিজ নামে ১ কোটি ৮৪ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদের তথ্য দিয়েছেন। তবে অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, সম্রাট তার মালিকানাধীন ‘হিজ মুভিজ’-এর নামে সোনালী ব্যাংক, কাকরাইল শাখায় চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ কোটি ৭৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন। ওই হিসাবে বর্তমান স্থিতি ১৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। বিভিন্ন ব্যাংকে তার এফডিআর আছে ১ কোটি ১০ লাখ ৭৬ হাজার টাকার। সব মিলিয়ে দেশে তার অবৈধ সম্পদের সন্ধান মেলে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার।

২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর কয়েকদফা  রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে। রিমান্ড শেষে বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।