চুমকির এপিএসের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
- আপডেট টাইম : ০৫:৩৪:১৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১
- / ৪০০ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।
গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবং সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) মাজেদুল ইসলাম ওরফে সেলিম। সেলিম বলেন, ‘দুদক এখনও আমাকে কোনো কিছু জানায়নি। তবে আমি অন্য একটি মাধ্যমে জানতে পেরেছি, আমার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির খোঁজ নিচ্ছে দুদক। আমার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। এলাকায় আমার রাজনৈতিক বা পারিবারিক প্রতিপক্ষ থাকতে পারে। তাদের কেউ শত্রুতা করে বেনামে আমার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করেছে, আমি নাকি হাজার হাজার কোটি টাকা ও শত শত বিঘা জমির মালিক।
গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবং সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির ব্যক্তিগত সহকারীর (এপিএস) বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
দুদক থেকে গত ১২ আগস্ট জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে কালীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ১০টি দলিলের জাবেদা কপি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে জানানো হয়েছে, তারা ২০টি দলিলের কপি দুদককে পাঠিয়েছেন।
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার দেওপাড়া গ্রামের মাজেদুল ইসলাম ওরফে সেলিম দীর্ঘদিন ধরে চুমকির এপিএস হিসেবে আছেন।দুদকের উপপরিচালক এসএম রাশেদুর রেজা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, সেলিমের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য সেলিম, তার স্ত্রী রাহিমা বেগম, ভাই কামরুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, মামুনুল ইসলামসহ পরিবারের সাতজনের ১০টি দলিলের জাবেদা কপি সাত কর্মদিবসের মধ্যে সরবরাহ করতে জেলা রেজিস্ট্রারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার শাহিন রেজা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুদকের চিঠি পাওয়ার পর কালীগঞ্জ ও গাজীপুরে তল্লাশি চালিয়ে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ওই সাতজনের নামে ২০টির মতো দলিল পাওয়া গেছে। সবগুলোর কপি এ সপ্তাহের শুরুতে দুদক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সেলিম বলেন, ‘দুদক এখনও আমাকে কোনো কিছু জানায়নি। তবে আমি অন্য একটি মাধ্যমে জানতে পেরেছি, আমার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির খোঁজ নিচ্ছে দুদক।’
তিনি দাবি করেন, ‘আমার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। এলাকায় আমার রাজনৈতিক বা পারিবারিক প্রতিপক্ষ থাকতে পারে। তাদের কেউ শত্রুতা করে বেনামে আমার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করেছে, আমি নাকি হাজার হাজার কোটি টাকা ও শত শত বিঘা জমির মালিক। এই অভিযোগেই দুদক সম্পদের হিসাব চেয়ে থাকতে পারে।
আমাকে বিতর্কিত করতে পারলেই চুমকি আপাকে বিতর্কিত করা যেতে পারে। আমি চাই আইনিভাবে এর সমাধান হোক।’
এ বিষয়ে জানতে সংসদ সদস্য চুমকিকে একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেননি। সময়ের অনুসন্ধানে চোখ রাখেন