রক্ষক যেখানে ভক্ষক বন সেখানে কতটা নিরাপদ ? জবর দখলের শীর্ষে মৌচাক বনবিট
- আপডেট টাইম : ০৪:১৯:৫৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৩ অক্টোবর ২০২১
- / ২৩৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
রক্ষক যেখানে ভক্ষক বন সেখানে কতটা নিরাপদ ? জবর দখলের শীর্ষে মৌচাক বনবিট
মানসুরা আক্তার কাকলী স্টাফ রিপোর্টার।।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর রেঞ্জের আওতাধীন মৌচাক বিটে বিগত এক বছরে বিপুল পরিমাণ সরকারি বনের জমি জবরদখল হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় লোকজনের দাবি বিট কর্মকর্তার যোগসাজশেই এসব জবরদখল হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, মৌচাক বিট কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান মানিক বিট এলাকায় টাকার বিনিময়ে নির্দিষ্ট দালাল অলিখিতভাবে নিয়োগ দিয়েছেন। তাদের মাধ্যমে বনের দখলবাজদের সাথে উৎকোচ লেনদেন করেন। একাধিকবার স্থানীয় লোকজন বনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কে জানানোর পরও অজ্ঞাত কারনে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সরে জমিনে দেখা যায়, বিট এলাকায় ঘেষুর টেকে বনের জমি দখল করে বাবুল, হারুন, ইয়াসিন, জয়নাল, আমির মুন্সী নামে পাচ ব্যক্তি ঘর নির্মাণ করছে। আলিফ কম্পোজিট থেকে বনের জমি উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে পরবর্তীতে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে ওই কারখানাকে বনের জমি ছেড়ে দেয়। আফরোজা আজম নামক একটি কারখানার বাউন্ডারির ভেতরে বনের জমি উদ্ধার করে গাছ লাগিয়ে দেয়। পরে মোটা অংকের টাকায় রফাদফা করে পুনরায় দখল দেয়।বিট কর্মকর্তার সহায়তায় সান প্যাকেজিং কারখানায় জমি দখল করতে সহযোগিতা করে। উর্মি গার্মেন্টস কারখানায় গাড়ি পার্কিং এর জন্য বনের জমি ছেড়ে দিয়েছে। ফজর আলী নামে এক ব্যক্তিকে বিপুল পরিমাণ বনের জমি দখল করতে দিয়েছেন। গেসুর টেক একসময় গজারি বনের অরণ্য ছিল কিন্তু সেখানে ঘেসো মিয়া দ্বীপ বিভিন্ন লোকদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পরে জায়গা বিক্রি করে বাড়িঘর তৈরি করে দিচ্ছে দেধারছে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রাখালিয়াচালা গেসুর টেক এলাকা আমজাদ হোসেনের ২০হাত আধাপাকা ঘর, শুকুর আলীর ২৫হাত টিনশেড ঘর এবং ফাতেমার মা নামের ব্যক্তি ৩০হাত ঘর নির্মাণ করছে এছাড়াও মৌচাক সাহেব আলী মার্কেট এলাকায় বাচ্চু ১২ হাত ছাপড়া, উজ্জল ডিমারকেশন ছাড়া ঘরের কাজ করছে , ভান্নারা সাব্বির এর আওতায় আলিফ গার্মেন্টস এলাকায় শাহাদাত বনের জায়গার গজারি গাছ কেটে দোকানঘর এবং সিরাজ ১৪হাত ছাপড়া ঘর নির্মাণ করেছে এবং মৌচাক বিট অফিসার খুব নিকটে জাহাঙ্গীরের মাদ্রাসার পাশে রফিক স্বর্ণকার নামের এক ব্যক্তি ইট দিয়ে সরকারি বনের জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করছে।
এ ব্যপারে বিট কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান মানিকের মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
তবে রেঞ্জ কর্মকর্তা আশরাফুল আলম দোলন বলেন, এসব বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।