ঢাকা ১২:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বাঘায় সৎ ভাইয়ের হাতে হত্যা হলো সাদেক আলী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিরাপদ জায়গায় রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: আসিফ মাহমুদ ঠাকুরগাঁওয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের পার্টি অফিস দখল আজমিরীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ ৪০ জন আহত, বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লোটপাট। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এই প্রথমবারের মতো আজ নিজ জেলা চট্টগ্রামে আসলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনাবাড়ী ফ্লাইওভার ব্রিজের মাথায় বাসের ধাক্কায় নারী শ্রমিক নিহত কর্নেল সোফিয়াকে ‘জঙ্গিদের বোন’ বলে বিতর্কের মুখে বিজেপি মন্ত্রী কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, নেই প্রধান উপদেষ্টার নাম আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি ঢাবির ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় উপাচার্য–প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

বাড়ির ১০০ মিটার দূরে মিলল নিখোঁজ শিহাবের লাশ

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩৭:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৪৫ ১৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে নিখোঁজ শিশু শিহাবের (৬) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার সকালে পূবাইলের মেট্রোপলিটন থানার ৪০নং ওয়ার্ডে বসতবাড়ির ১০০ মিটার দূরে একটি বাড়ির কলাপসিবল গেটের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত শিহাব পূবাইলের মেট্রোপলিটন থানার ৪০নং ওয়ার্ডের মাজুখান উত্তরপাড়া এলাকার জুয়েলের ছেলে।

এর আগে শনিবার দুপুরে নিখোঁজ হয় শিহাব। সারা দিন খোঁজাখুঁজির পর  রাতেই শিশু শিহাবের নিখোঁজের বিষয়টি জানিয়ে তার বাবা জুয়েল বাদী হয়ে পূবাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

জানা যায়, শনিবার দুপুরে নিখোঁজের পর রোববার ভোরে প্রতিবেশীরা ওই এলাকায় সালাম মুন্সিরবাড়ির পাশে শিহাবের লাশ পড়ে থাকতে দেখে তার দাদা সিরাজ মিয়াকে খবর দেয়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৬-৭ মাস আগে পারিবারিক কলহের জেরে শিশুটির মা হেনাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন শিহাবের বাবা জুয়েল (২৮)। সেই থেকে শিশুটি তার বাবার ও দাদা-দাদির সঙ্গে মাজুখানেই  থাকত।
এ ছাড়া পাশাপাশি শিহাবের মা হেনা বেগম আশুলিয়া বেড়িবাঁধ এলাকায় একটি এমব্রয়ডারি কারখানায় কাজ নিয়ে একই এলাকায় ভাড়া বাসায় পৃথকভাবে বসবাস করতেন। জুয়েল মাজুখান বাজারে একটি ফটোসপ স্টুডিও খুলে ব্যবসা করেন।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে শিহাবের বাবা জুয়েল বাদী হয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন।

শিহাবের বাবা জুয়েল বলেন, ছোট্ট শিহাবের আবদার রক্ষা করতে বাইকে করে শনিবার সকালে পূবাইলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরিয়ে দেখান তিনি। কে জানত এটিই তার বাবার কাছে শেষ আবদার ছিল।

তিনি বলেন, আমার জন্ম এখানে কিন্তু কে বা কারা আমার নিষ্পাপ শিশুকে নির্যাতন করে এভাবে মেরে ফেলবে সেটি আমার বোধগম্য নয়। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

পূবাইল থানার ওসি মহিদুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, নিহত শিশুর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাড়ির ১০০ মিটার দূরে মিলল নিখোঁজ শিহাবের লাশ

আপডেট টাইম : ০৮:৩৭:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে নিখোঁজ শিশু শিহাবের (৬) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার সকালে পূবাইলের মেট্রোপলিটন থানার ৪০নং ওয়ার্ডে বসতবাড়ির ১০০ মিটার দূরে একটি বাড়ির কলাপসিবল গেটের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত শিহাব পূবাইলের মেট্রোপলিটন থানার ৪০নং ওয়ার্ডের মাজুখান উত্তরপাড়া এলাকার জুয়েলের ছেলে।

এর আগে শনিবার দুপুরে নিখোঁজ হয় শিহাব। সারা দিন খোঁজাখুঁজির পর  রাতেই শিশু শিহাবের নিখোঁজের বিষয়টি জানিয়ে তার বাবা জুয়েল বাদী হয়ে পূবাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

জানা যায়, শনিবার দুপুরে নিখোঁজের পর রোববার ভোরে প্রতিবেশীরা ওই এলাকায় সালাম মুন্সিরবাড়ির পাশে শিহাবের লাশ পড়ে থাকতে দেখে তার দাদা সিরাজ মিয়াকে খবর দেয়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৬-৭ মাস আগে পারিবারিক কলহের জেরে শিশুটির মা হেনাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন শিহাবের বাবা জুয়েল (২৮)। সেই থেকে শিশুটি তার বাবার ও দাদা-দাদির সঙ্গে মাজুখানেই  থাকত।
এ ছাড়া পাশাপাশি শিহাবের মা হেনা বেগম আশুলিয়া বেড়িবাঁধ এলাকায় একটি এমব্রয়ডারি কারখানায় কাজ নিয়ে একই এলাকায় ভাড়া বাসায় পৃথকভাবে বসবাস করতেন। জুয়েল মাজুখান বাজারে একটি ফটোসপ স্টুডিও খুলে ব্যবসা করেন।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে শিহাবের বাবা জুয়েল বাদী হয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন।

শিহাবের বাবা জুয়েল বলেন, ছোট্ট শিহাবের আবদার রক্ষা করতে বাইকে করে শনিবার সকালে পূবাইলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরিয়ে দেখান তিনি। কে জানত এটিই তার বাবার কাছে শেষ আবদার ছিল।

তিনি বলেন, আমার জন্ম এখানে কিন্তু কে বা কারা আমার নিষ্পাপ শিশুকে নির্যাতন করে এভাবে মেরে ফেলবে সেটি আমার বোধগম্য নয়। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

পূবাইল থানার ওসি মহিদুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, নিহত শিশুর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।