ঢাকা ০১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা? ইমরান খানের হাজারো সমর্থক গ্রেপ্তার প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, বাকিদের কথা ব্যক্তিগত সারাদেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি মডেল উদ্ভাবন করেছেন কাজী আবেদ হোসেন নিখোঁজ সংবাদ  ঠাকুরগাঁওয়ে নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক সভা ও জেলা কমিটি পুনর্গঠন মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা

নগদ’ ডাক বিভাগের সেবা, বিভ্রান্তির সুযোগ নেই ভিডিও বার্তায় ডাক বিভাগের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০১:১০:৫৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ৩৩৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

ঢাকা, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার] দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ডাক বিভাগ ও ‘নগদ’—কে জড়িয়ে বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার না করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন।

আজ বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন বলেছেন, ‘নগদ’ ডাক বিভাগের সঙ্গে রাজস্ব আয়ের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পরিচালিত একটি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবা, যা মাত্র আড়াই বছরে দেশের প্রায় সাড়ে ৫ কোটি মানুষকে আর্থিক লেনদেনের মধ্যে এনেছে। তিনি বলেন, “২০১৭ সালে থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেডের সঙ্গে ডাক বিভাগের চুক্তি হয় এবং তার ভিত্তিতে ‘নগদ’ সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, ‘নগদ’—এর মালিকানা এবং ডাক বিভাগের সঙ্গে অংশীদারিত্বের বিষয়টি নিয়ে অহেতুক মানুষকে বিভ্রান্ত করার কোনো অবকাশ নেই।”
মো. সিরাজ উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে অংশীদারিত্বের জায়গা থেকে ডাক বিভাগ এবং ‘নগদ’ (থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেড) কর্তৃপক্ষ এখন মালিকানার পর্যায়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। দুই পক্ষের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতেই ডাক বিভাগ ৫১ শতাংশ এবং ‘নগদ’ ৪৯ শতাংশের মালিক হচ্ছে। বিষয়টি এখন রাষ্টে্রর আইন অনুসারে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। “আশা করি কেউ এই বিষয়টি নিয়ে মনগড়া তথ্য পরিবেশন করে মানুষকে অহেতুক বিভ্রান্ত করবেন না।” বলেও আহ্বান জানান তিনি।
“শতবর্ষী রাষ্ট্রীয় ডাক বিভাগের নবীন আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’। মাত্র আড়াই বছরে প্রতিষ্ঠানটির অভাবনীয় সাফল্য অনেকের মধ্যে ঈর্ষার জন্ম দিয়েছে, সে কারণে অনেকেই নগদ—কে নিয়ে চক্রান্ত করছেন। যার প্রমাণ হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে,” বলেন মো. সিরাজ উদ্দিন।
ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন তাঁর বার্তায় আরো বলেন, “একমাত্র ‘নগদ’ দেশের এমএফএস বাজারের একচেটিয়াত্ব ভাঙতে সক্ষম হয়েছে। আর সে কারণে অনেকে ‘নগদ’—এর বিরুদ্ধে গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন। আমরা আশা করব এমন হীন ও অপচেষ্টা থেকে সকলে বিরত থাকবেন। রাষ্ট্রীয় একটি সেবার সুন্দর অগ্রযাত্রার জন্য আমরা যেকোনো গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধ করতে সদা প্রস্তুত রয়েছি। মনে রাখবেন, রাষ্ট্রীয় সেবার বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের গুজব ও মিথ্যা রটানো একটি রাষ্ট্রীয় গুরুতর অপরাধ।”
মো. সিরাজ উদ্দিন বলছেন, “ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্ট নিয়েও অনেক গণমাধ্যমে কিছু সংবাদ এসেছে। আমি বলছি, ‘নগদ’ সব সময়ই ডাক বিভাগের অনুমোদন নিয়েই নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলে। আমি মনে করি, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এই চিঠির কারণে কারো বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো অবকাশ নেই।”
বিভ্রান্ত না হয়ে গ্রাহকদের ডাক বিভাগের সেবা ‘নগদ’—এর পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি ইকামার্স প্ল্যাটফর্মের ত্রুটির কারণে কিছু অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে এবং এই তথ্যগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে। পর্যালোচনার পরে অ্যাকাউন্টগুলো খুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অনাকাক্সিক্ষত সাময়িক এই দুর্ভোগের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।”
নানান ধরনের সরকারি ভাতা বিতরনকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুলে আনার কৃতিত্ব দেখানো ‘নগদ’ এখন প্রতিদিন গড়ে ৭০০ কোটি টাকা দৈনিক লেনদেন করছে।
সমাপ্ত

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নগদ’ ডাক বিভাগের সেবা, বিভ্রান্তির সুযোগ নেই ভিডিও বার্তায় ডাক বিভাগের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন

আপডেট টাইম : ০১:১০:৫৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

ঢাকা, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার] দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ডাক বিভাগ ও ‘নগদ’—কে জড়িয়ে বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার না করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন।

আজ বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন বলেছেন, ‘নগদ’ ডাক বিভাগের সঙ্গে রাজস্ব আয়ের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পরিচালিত একটি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবা, যা মাত্র আড়াই বছরে দেশের প্রায় সাড়ে ৫ কোটি মানুষকে আর্থিক লেনদেনের মধ্যে এনেছে। তিনি বলেন, “২০১৭ সালে থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেডের সঙ্গে ডাক বিভাগের চুক্তি হয় এবং তার ভিত্তিতে ‘নগদ’ সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, ‘নগদ’—এর মালিকানা এবং ডাক বিভাগের সঙ্গে অংশীদারিত্বের বিষয়টি নিয়ে অহেতুক মানুষকে বিভ্রান্ত করার কোনো অবকাশ নেই।”
মো. সিরাজ উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে অংশীদারিত্বের জায়গা থেকে ডাক বিভাগ এবং ‘নগদ’ (থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেড) কর্তৃপক্ষ এখন মালিকানার পর্যায়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। দুই পক্ষের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতেই ডাক বিভাগ ৫১ শতাংশ এবং ‘নগদ’ ৪৯ শতাংশের মালিক হচ্ছে। বিষয়টি এখন রাষ্টে্রর আইন অনুসারে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। “আশা করি কেউ এই বিষয়টি নিয়ে মনগড়া তথ্য পরিবেশন করে মানুষকে অহেতুক বিভ্রান্ত করবেন না।” বলেও আহ্বান জানান তিনি।
“শতবর্ষী রাষ্ট্রীয় ডাক বিভাগের নবীন আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’। মাত্র আড়াই বছরে প্রতিষ্ঠানটির অভাবনীয় সাফল্য অনেকের মধ্যে ঈর্ষার জন্ম দিয়েছে, সে কারণে অনেকেই নগদ—কে নিয়ে চক্রান্ত করছেন। যার প্রমাণ হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে,” বলেন মো. সিরাজ উদ্দিন।
ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন তাঁর বার্তায় আরো বলেন, “একমাত্র ‘নগদ’ দেশের এমএফএস বাজারের একচেটিয়াত্ব ভাঙতে সক্ষম হয়েছে। আর সে কারণে অনেকে ‘নগদ’—এর বিরুদ্ধে গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন। আমরা আশা করব এমন হীন ও অপচেষ্টা থেকে সকলে বিরত থাকবেন। রাষ্ট্রীয় একটি সেবার সুন্দর অগ্রযাত্রার জন্য আমরা যেকোনো গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধ করতে সদা প্রস্তুত রয়েছি। মনে রাখবেন, রাষ্ট্রীয় সেবার বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের গুজব ও মিথ্যা রটানো একটি রাষ্ট্রীয় গুরুতর অপরাধ।”
মো. সিরাজ উদ্দিন বলছেন, “ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্ট নিয়েও অনেক গণমাধ্যমে কিছু সংবাদ এসেছে। আমি বলছি, ‘নগদ’ সব সময়ই ডাক বিভাগের অনুমোদন নিয়েই নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলে। আমি মনে করি, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এই চিঠির কারণে কারো বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো অবকাশ নেই।”
বিভ্রান্ত না হয়ে গ্রাহকদের ডাক বিভাগের সেবা ‘নগদ’—এর পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি ইকামার্স প্ল্যাটফর্মের ত্রুটির কারণে কিছু অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে এবং এই তথ্যগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে। পর্যালোচনার পরে অ্যাকাউন্টগুলো খুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অনাকাক্সিক্ষত সাময়িক এই দুর্ভোগের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।”
নানান ধরনের সরকারি ভাতা বিতরনকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুলে আনার কৃতিত্ব দেখানো ‘নগদ’ এখন প্রতিদিন গড়ে ৭০০ কোটি টাকা দৈনিক লেনদেন করছে।
সমাপ্ত