ঢাকা ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

চট্রগ্রাম কাষ্টমস হাউজকে দ্রততম সময়ে পণ্য খালাস করতে বিজিএমইএ’র অনুরোধ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) আমদানিকৃত পণ্য খালাস দ্রুততর করার জন্য খালাস প্রক্রিয়া সহজীকরণের বিষয়ে কমিশনার, কাস্টম হাউজ, চট্টগ্রামকে অনুরোধ জানিয়েছে। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ কমিশনার এম. ফখরুল আলমের সঙ্গে তার চট্রগ্রামস্থ কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এ আনুরোধ জানান।

 

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কোভিড-১৯ মহামারিজনিত ক্ষতি সামলে উঠার জন্য বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এখনও সংগ্রাম করে চলেছে। পোশাক শিল্পের এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠা ও সর্বোপরি, বিশ্ব বাজারে শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখার জন্য কাষ্টমস হাউজ, চট্রগ্রাম এর সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

 

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারনে ইতিমধ্যে অনেক তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি আদেশ বাতিল / স্থগিত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য ক্রেতাদের আস্থা ধরে রাখা ও রপ্তানি আদেশ অনুযায়ী নির্ধারিত লীডটাইমের মধ্যে রপ্তানীর লক্ষ্যে আমদানিকৃত পণ্য (কাঁচামাল) চালান দ্রুত খালাস করা আবশ্যক। বিজিএমইএ সভাপতি চট্রগ্রাম বন্দর জেটিতে পোশাক শিল্পের আমদানিকৃত পণ্য পরীক্ষণের প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও আমদানিকৃত পণ্যচালান শুল্কায়নপূর্বক স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ডেলিভারী প্রদানের অনুরোধ জানান।

 

বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের প্রধান রপÍানি গন্তব্য স্থলগুলো বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে গন টিকাদান কর্মসূচীর কারনে ঐসব দেশে দোকানপাট খুলছে, খুচরা বিক্রি বেড়ে গেছে। ফলশ্রুতিতে, বর্তমানে ঐসব দেশ থেকে প্রচুর অর্ডার বাংলাদেশে আসছে। তিনি এই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য কাস্টম হাউজ, চট্টগ্রামকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ জানান।

 

কাস্টম হাউজ, চট্টগ্রামের কমিশনার জনাব এম. ফখরুল আলম বলেন যে কোভিড -১৯ এর প্রভাব কাটিয়ে পোশাক শিল্প যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেজন্য কাস্টম হাউজ, চট্টগ্রাম সার্বিকভাবে কাজ করে চলেছে।

 

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালকবৃন্দ তানভীর আহমেদ, আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, হারুন অর রশিদ, নাভিদুল হক, রাজীব চৌধুরী, মোঃ ইমরানুর রহমান, মোঃ এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ আবদুস সালাম, তানভির হাবিব, এ.এম. শফিউল করিম (খোকন), মোঃ হাসান (জ্যাকি), এম, এহসানুল হক, মোহাম্মদ মিরাজ-ই-মোস্তফা (কায়সার), সাবেক ১ম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক ১ম সহ-সভাপতি মঈন উদ্দিন আহমেদ (মিন্ট)ু, সাবেক পরিচালক ও কাস্টমস (সমুদ্র) বিষয়ক বিজিএমইএ এর স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান অঞ্জন শেখর দাশ, সাবেক পরিচালক ও কাস্টম (বন্ড) বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান জনাব লিয়াকত আলী চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

কাস্টম হাউস, চট্টগ্রামের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিঃ কমিশনার ড. আবু নুর রাশেদ, মোহাম্মদ শফি উদ্দিনসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ ।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্রগ্রাম কাষ্টমস হাউজকে দ্রততম সময়ে পণ্য খালাস করতে বিজিএমইএ’র অনুরোধ

আপডেট টাইম : ০১:২৪:৩৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট ২০২১

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) আমদানিকৃত পণ্য খালাস দ্রুততর করার জন্য খালাস প্রক্রিয়া সহজীকরণের বিষয়ে কমিশনার, কাস্টম হাউজ, চট্টগ্রামকে অনুরোধ জানিয়েছে। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ কমিশনার এম. ফখরুল আলমের সঙ্গে তার চট্রগ্রামস্থ কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এ আনুরোধ জানান।

 

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কোভিড-১৯ মহামারিজনিত ক্ষতি সামলে উঠার জন্য বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এখনও সংগ্রাম করে চলেছে। পোশাক শিল্পের এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠা ও সর্বোপরি, বিশ্ব বাজারে শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখার জন্য কাষ্টমস হাউজ, চট্রগ্রাম এর সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

 

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারনে ইতিমধ্যে অনেক তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি আদেশ বাতিল / স্থগিত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য ক্রেতাদের আস্থা ধরে রাখা ও রপ্তানি আদেশ অনুযায়ী নির্ধারিত লীডটাইমের মধ্যে রপ্তানীর লক্ষ্যে আমদানিকৃত পণ্য (কাঁচামাল) চালান দ্রুত খালাস করা আবশ্যক। বিজিএমইএ সভাপতি চট্রগ্রাম বন্দর জেটিতে পোশাক শিল্পের আমদানিকৃত পণ্য পরীক্ষণের প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও আমদানিকৃত পণ্যচালান শুল্কায়নপূর্বক স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ডেলিভারী প্রদানের অনুরোধ জানান।

 

বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের প্রধান রপÍানি গন্তব্য স্থলগুলো বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে গন টিকাদান কর্মসূচীর কারনে ঐসব দেশে দোকানপাট খুলছে, খুচরা বিক্রি বেড়ে গেছে। ফলশ্রুতিতে, বর্তমানে ঐসব দেশ থেকে প্রচুর অর্ডার বাংলাদেশে আসছে। তিনি এই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য কাস্টম হাউজ, চট্টগ্রামকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ জানান।

 

কাস্টম হাউজ, চট্টগ্রামের কমিশনার জনাব এম. ফখরুল আলম বলেন যে কোভিড -১৯ এর প্রভাব কাটিয়ে পোশাক শিল্প যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেজন্য কাস্টম হাউজ, চট্টগ্রাম সার্বিকভাবে কাজ করে চলেছে।

 

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালকবৃন্দ তানভীর আহমেদ, আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, হারুন অর রশিদ, নাভিদুল হক, রাজীব চৌধুরী, মোঃ ইমরানুর রহমান, মোঃ এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ আবদুস সালাম, তানভির হাবিব, এ.এম. শফিউল করিম (খোকন), মোঃ হাসান (জ্যাকি), এম, এহসানুল হক, মোহাম্মদ মিরাজ-ই-মোস্তফা (কায়সার), সাবেক ১ম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক ১ম সহ-সভাপতি মঈন উদ্দিন আহমেদ (মিন্ট)ু, সাবেক পরিচালক ও কাস্টমস (সমুদ্র) বিষয়ক বিজিএমইএ এর স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান অঞ্জন শেখর দাশ, সাবেক পরিচালক ও কাস্টম (বন্ড) বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান জনাব লিয়াকত আলী চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

কাস্টম হাউস, চট্টগ্রামের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিঃ কমিশনার ড. আবু নুর রাশেদ, মোহাম্মদ শফি উদ্দিনসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ ।