বাংলাদেশ দ্রুত জয়ী হবে করোনা মোকাবেলায়
- আপডেট টাইম : ০৬:২৭:০৬ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৩০ জুলাই ২০২১
- / ২৫৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
- অকৃত্রিম বন্ধুত্বে পাশে দাঁড়িয়েছে উন্নয়ন সহযোগী বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা
- এ পর্যন্ত উপহার হিসেবে ১ কোটি ১ লাখ ৪৫ হাজার ৮২০ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভেন্টিলেটর, ভারত থেকে আসছে তরল অক্সিজেন
সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট ॥ করোনা মহামারী মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়ন-সহযোগী দেশ ও সংস্থা। এর মধ্যে ভারত, চীন, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ থেকে এসেছে টিকা বা ভ্যাকসিন, ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম ও রোগীদের শরীরের অক্সিজেন মাত্রা নিরূপণের যন্ত্র অক্সিমিটার, কিট, আইসিইউ ভেন্টিলেটর, তরল অক্সিজেনসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী। বিভিন্ন দেশ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে গড়ে উঠা প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে এ পর্যন্ত উপহার হিসেবে ১ কোটি ১ লাখ ৪৫ হাজার ৮২০ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। দুই দফায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩৫০টি ভেন্টিলেটর এসেছে দেশে। ভারত থেকে রেল ও সড়ক পথে আসছে বিপুল পরিমাণে তরল অক্সিজেন। এছাড়া করোনা মোকাবেলায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াসহ দাতাসংস্থা আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও এডিবির কাছ থেকে বৈদেশিক সহায়তা পেয়েছে বাংলাদেশ। করোনা মোকাবেলায় ব্যক্তি উদ্যোগেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। এদের মধ্যে কেউ কেউ নিজ দেশের প্রতি ভালবাসা থেকেই বাংলাদেশের জন্য টিকার ব্যবস্থা করতে সহযোগিতা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশী একদল চিকিৎসক সহায়তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য ইতোমধ্যে ২৫ লাখ ডোজ মডার্নার টিকা পাঠাতে সহযোগিতা করেছেন। আরও ৩০ লাখ ডোজ টিকা পাঠাতে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। শুধু তাই নয়, করোনা মহামারীতে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশী চিকিৎসকদের জুম মিটিং ও সেমিনারের মাধ্যমে পরামর্শও দিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ দ্রুত জয়ী হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এই সহযোগিতার মধ্য দিয়ে অকৃত্রিম বন্ধুত্বের সেই সম্পর্ক নতুন মাত্রা লাভ করেছে।
জানা গেছে, ভারত, চীন, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র এই চার দেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে ২ কোটি ৪১ লাখ ৪৫ হাজার ৮২০ ডোজ টিকা বা ভ্যাকসিন এসেছে দেশে। এর মধ্যে উপহার হিসেবে ১ কোটি ১ লাখ ৪৫ হাজার ৮২০ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে করোনার গণটিকাদান কর্মসূচী শুরু করে সরকার। টিকার স্বল্পতার কারণে আড়াই মাস ধরে টিকাদান চলার পর ২৫ এপ্রিল সরকার প্রথম ডোজ টিকাদান বন্ধের ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়। সপ্তাহখানেক পর একই কারণে সারাদেশের সব কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়াও বন্ধ করে দেয়া হয়। দুই মাস সাতদিন বন্ধ থাকার পর গত ১ জুলাই ঢাকাসহ সারাদেশে আবারও গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে ২০২০ সালের ৫ নবেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে টিকা আমদানির বিষয়ে চুক্তি হয়। এরপর ২১ জানুয়ারি ভারত সরকারের উপহার হিসেবে দেশে আসে ২০ লাখ ডোজ টিকা। ২৫ জানুয়ারি কেনা টিকার প্রথম চালান আসে। ওই সময় ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসে দেশে। কেনা টিকার দ্বিতীয় চালান আসে ২২ ফেব্রুয়ারি। প্রতি চালানে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা থাকলেও ওইদিন ২০ লাখ ডোজ টিকা আসে। ২৬ মার্চ ভারত সরকার আবারও ১২ লাখ ডোজ উপহার হিসেবে দেয় বাংলাদেশকে। ৮ এপ্রিল ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরভানে ঢাকায় বাংলাদেশের (তৎকালীন) সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের কাছে ১ লাখ অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন হস্তান্তর করেন। সব মিলিয়ে ভারত থেকে মোট ১ কেটি ২ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসেছে। এরপর কোভিশিল্ডের আর কোন টিকা দেশে আসেনি।