ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
কালিয়াকৈরে ধর্ষণের অভিযোগে বাড়ির মালিক গ্রেফতার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত কঠিন সময়ে কীভাবে পাশে ছিলেন স্ত্রী, জানালেন কোহলি ইতালিতে জি৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনার তালিকায় নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে আরো যা ‘পদক্ষেপ’ নিতে বললেন নূরুল কবির মেগা মানডে’: ৩ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যাত্রাবাড়ী অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা? ইমরান খানের হাজারো সমর্থক গ্রেপ্তার প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ

ফ্লোরিডায় ভবন ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮, এখনও নিখোঁজ ১৪৭

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১০:০৫:২৭ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই ২০২১
  • / ২৪০ ৫০০০.০ বার পাঠক

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বহুতল একটি ভবন ধসের এক সপ্তাহ পর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৮-তে দাঁড়িয়েছে, এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১৪৭ জন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মায়ামি এলাকায় সার্ফসাইড শহরের ১২তলা ভবনটির ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও ছয়টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে বুধবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

মায়ামি বিচ সংলগ্ন সমুদ্রমুখি চ্যামপ্লেইন টাওয়ার্স সাউথ নামের ভবনটি ধসের পর কংক্রিট, কাঠ ও স্টিলের ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে এ পর্যন্ত জীবিত কাউকে উদ্ধার করা যায়নি।

এক সংবাদ সম্মেলনে মায়ামি-ডেইড কাউন্টির মেয়র ড্যানিয়েলা লেভিন কাভা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ১৪৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন আর তারা চ্যামপ্লেইন টাওয়ার্স সাউথের ধ্বংসাবশেষে আটকা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যে ১৮ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১০ ও চার বছর বয়সী দুটি শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা এখনও জীবিতদের খুঁজে পাওয়ার আশা করছেন।

এক সাক্ষাৎকারে সার্ফসাইডের মেয়র চার্লস বারকেট জানিয়েছেন, উদ্ধারকর্মীরা ‘কাউকে পেছনে ফেলে আসবে না’ বলে নিখোঁজদের পরিবারগুলোকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

বারকেট জানান, ধ্বংসস্তূপের পরিমাণ দৃশ্যমানভাবে কমে আসছে, এতে উদ্ধার তৎপরতায় অগ্রগতি হচ্ছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

প্রায় ২০০ বিশেষজ্ঞ তল্লাশি ও উদ্ধারকর্মী এ কাজে অংশ নিচ্ছে। তারা ১২ ঘণ্টার শিফটে ভাগ হয়ে রাত-দিন কাজ করে চলছেন। দমকল কর্মী, পুলিশ, প্রকৌশলী, পরিবেশ সুরক্ষা বিশেষজ্ঞসহ কয়েকশত লোক তাদের সহায়তা করছেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরের দুটি দলও উদ্ধারকাজে অংশ নিচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে সুউচ্চ ভবনটির বিশাল একটি অংশ ধসে পড়ে। ওই সময় ভবনটির ১৫৬ ইউনিটের অধিকাংশ বাসিন্দাই ঘুমিয়ে ছিলেন। তদন্তকারীরা ৪০ বছরের পুরনো এই ভবনটির ওই অংশটি ধসে পড়ার কারণ এখনও নির্ণয় করতে পারেননি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ফ্লোরিডায় ভবন ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮, এখনও নিখোঁজ ১৪৭

আপডেট টাইম : ১০:০৫:২৭ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই ২০২১

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বহুতল একটি ভবন ধসের এক সপ্তাহ পর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৮-তে দাঁড়িয়েছে, এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১৪৭ জন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মায়ামি এলাকায় সার্ফসাইড শহরের ১২তলা ভবনটির ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও ছয়টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে বুধবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

মায়ামি বিচ সংলগ্ন সমুদ্রমুখি চ্যামপ্লেইন টাওয়ার্স সাউথ নামের ভবনটি ধসের পর কংক্রিট, কাঠ ও স্টিলের ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে এ পর্যন্ত জীবিত কাউকে উদ্ধার করা যায়নি।

এক সংবাদ সম্মেলনে মায়ামি-ডেইড কাউন্টির মেয়র ড্যানিয়েলা লেভিন কাভা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ১৪৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন আর তারা চ্যামপ্লেইন টাওয়ার্স সাউথের ধ্বংসাবশেষে আটকা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যে ১৮ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১০ ও চার বছর বয়সী দুটি শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা এখনও জীবিতদের খুঁজে পাওয়ার আশা করছেন।

এক সাক্ষাৎকারে সার্ফসাইডের মেয়র চার্লস বারকেট জানিয়েছেন, উদ্ধারকর্মীরা ‘কাউকে পেছনে ফেলে আসবে না’ বলে নিখোঁজদের পরিবারগুলোকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

বারকেট জানান, ধ্বংসস্তূপের পরিমাণ দৃশ্যমানভাবে কমে আসছে, এতে উদ্ধার তৎপরতায় অগ্রগতি হচ্ছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

প্রায় ২০০ বিশেষজ্ঞ তল্লাশি ও উদ্ধারকর্মী এ কাজে অংশ নিচ্ছে। তারা ১২ ঘণ্টার শিফটে ভাগ হয়ে রাত-দিন কাজ করে চলছেন। দমকল কর্মী, পুলিশ, প্রকৌশলী, পরিবেশ সুরক্ষা বিশেষজ্ঞসহ কয়েকশত লোক তাদের সহায়তা করছেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরের দুটি দলও উদ্ধারকাজে অংশ নিচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে সুউচ্চ ভবনটির বিশাল একটি অংশ ধসে পড়ে। ওই সময় ভবনটির ১৫৬ ইউনিটের অধিকাংশ বাসিন্দাই ঘুমিয়ে ছিলেন। তদন্তকারীরা ৪০ বছরের পুরনো এই ভবনটির ওই অংশটি ধসে পড়ার কারণ এখনও নির্ণয় করতে পারেননি।