পরিমনির বন্ধু, অমির বাড়ি টাঙ্গাইলে, এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেল তার রহস্য
- আপডেট টাইম : ০৬:২৫:৫৯ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১
- / ৮৭০ ৫০০০.০ বার পাঠক
টাংগাইল প্রতিনিধিঃ-রাইছুল ইসলাম
চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত অমি ওরফে তুহিন। গত সোমবার দুপুরে তাকেসহ পাঁচজনকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। কিন্তু কে এই অমি?
জানা যায়, অমি বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। বাবা-ছেলে দুজনই আদম ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। বাবা-ছেলে গ্রামের মানুষকে আর্থিক সহায়তা, ঘরবাড়ি করে দেওয়াসহ হাসপাতাল, মসজিদ ও মাদরাসাও নির্মাণ করেছেন।
সরেজমিনে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার গুল্ল্যাহ গ্রামে যেয়ে দেখা যায়, বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বাড়িটির বাউন্ডারি দেয়াল বিভিন্ন নকশায় সাজানো হয়েছে। পাশেই সাদা রঙের বাড়িটি তার চাচা আমেরিকা প্রবাসীর। তবে বিশাল এই বাড়িতে কেউ থাকেন না। মাঝেমধ্যে অমি এবং তার বাবা আসেন পর্যবেক্ষণ করতে।
এ ছাড়া ওই গ্রামেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশেই নির্মাণ করা হয়েছে অমির নামে হাসপাতাল। হাসপাতালের পেছনেই মসজিদ ও মাদরাসা নির্মাণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের পাশেই বাসাইলের বয়ড়ার গুল্যাহ এলাকায় ১৮৫ শতাংশ জমির ওপর তৈরি করা হয়েছে অমির নামে একটি জেনারেল হাসপাতাল। পাশেই অমির ছেলে আয়াত ও মেয়ে জান্নাহের নামে সুপার মার্কেট ও রেস্টুরেন্ট যা জান্নাহ গ্রুপ অব কোম্পানি নামে পরিচালিত হচ্ছে। হাসপাতালের পেছনে ২০১১ সালে মক্কা মদীনা হাজী আব্দুল মান্নান ময়মন নেছা কওমি মাদরাসা, এতিমখানা ও মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।
গুল্ল্যাহ গ্রামের সেলিম খান বলেন, যিনি গ্রামে মসজিদ-মাদরাসা নির্মাণ করতে পারেন তিনি লোক হিসেবে খারাপ হতে পারেন না। অমি ও তার বাবা ভাল মানুষ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। কেউ হয়ত শত্রুতা করে ফাঁসিয়েছে অমিকে।
রোববার রাতে ফেসবুক স্ট্যাটাসে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনার পর পরীমনি গণমাধ্যমের সামনে এসে বিস্তারিত খুলে বলেন।
তিনি জানান, অমি তার সঙ্গে একটি কাজের প্রস্তাব নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে যোগাযোগ করছিলেন। তার সেই কাজের জন্য আলোচনা করতেই তিনি বুধবার রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে যান। এরপর সেখানেই ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। পরীমনি সেই রাতেই ধারণা করেন, পুরো ঘটনাটিই পরিকল্পিত। আর এর নেপথ্যে থাকতে পারেন অমি।
সকালে পরী যে মামলা করেন, তাতে প্রধান আসামি হিসেবে নাসিরের নাম উল্লেখ করেন। দ্বিতীয় নামটিই ছিল অমির।