ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে বাফুফের নিবন্ধন লাভ করেছে দক্ষিণ হালিশহর ফুটবল একাডেমি কোস্ট গার্ডের আয়োজনে নৌপথ ও সুন্দরবনের নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা সভা রুলার সরকার না থাকায় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন রকম অসুবিধায় রয়েছে।। ঠাকুরগাঁওয়ে ভার্চুয়ালি মির্জা ফখরুল ইসলাম ৫ আগস্টের পর সব রাজবন্দি মুক্তি পেলেন, আজহার পেলেন না এবার করা হলো শ্রমিকদের আইনি সুরক্ষা ও জাতীয় ন্যূনতম মজুরির সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন কাকরাইল আগুরাগলি এলাকায় মজুমদার ভিলা—৯৪ নং আবাসিক ভবন রাজউক কর্তক অবৈধ নকশায় নির্মাণ করার প্রমাণিত হওয়ায় মালিককে চিঠি পর্ব ২ শ্রীপুরে ওসি’র ঘুষ লেনদেনের অডিও ভাইরাল গুলশানে র‍্যাবের ক্যাশিয়ার শাহ আলমের ইস্পায় গড়ে তুলেছে অপরাধের আখড়া। পর্ব ২ জানাযায় প্রধান উপদেষ্টার কাতার সফরে গুরুত্ব পাবে কতটুকু নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রী সমমান করার দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থান কর্মসূচি

গাজীপুর কোনাবাড়ীতে আমবাগ এলাকায় শাহজাহান নামে এক সন্রাসী,ভুমি দস্যু ও চাঁদাবাজি জমি দখলের অভিযোগ। 

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:২৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১
  • / ৩৪০ ৫০০০.০ বার পাঠক
  • (মানসুরা আক্তার স্টাফ রিপোর্টে)

গাজীপুর কোনাবাড়ীতে আমবাগএলাকায় কে এই শাহজাহান একের পর এক জমি দখলের অভিযোগ ! দেশের প্রচলিত আইন-কানুনের তোয়াক্কা করেন না, অঢেল সম্পদের প্রভাব দেখিয়ে জমিদখল করা তাঁর পেশা, রাজনৈতিক তেমন প্রভাব নেই, যখন যে দল ক্ষমতায় ঠিক তখনি ওই দলেরই গুনো-গান গেয়ে বেড়ান. স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভিআইপি ভাবে থাকেন উত্তরাতে, চলাফেরাও দামী গাড়িতে । আমবাগ দক্ষিণপাড়া এলাকার মৃত আমীর আলীর ছেলে মো: শাহজাহান সিরাজের কথা। তিনি দেশের প্রচলিত আইন-কানুন ও প্রশাসনকে বার বার বোকা বানিয়ে জমি দখল করাই তার পেশা। তাই ধারাবাহীক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের দ্বিতীয় পর্বে এবার তার বিরুদ্ধে আরো একটি জমিদখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় প্রায়ই বিভিন্ন লোকের জমি জবর দখল করেন তিনি । চলতি বছরের (৭-মার্চ) গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জমি জবর দখলের অভিযোগে এনে তার বিরুদ্ধে মিতালী ক্লাবের শরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি একটি মামলা দায়ের করেন । এছাড়াও কোনাবাড়ি থানায় আরও কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে সম্রাট শাহজাহানের বিরুদ্ধে। সবশেষ গেল-৭ জুন (জিএমপি) কোনাবাড়ি থানায় আরো একটি নতুন করে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী আঃ সাত্তার মিয়া । অভিযোগ সূত্রে জানায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশন এর কোনাবাড়ি বাঘিয়া মৌজার এস এ খতিয়ান (নং- ১১৪) সিএস ও এস এ দাগ (নং -৯৮৯) মোট জমি (৩০০) শতাংশ ইহার কাতে (২৮.৩৮) শতাংশ। সামসুল হক, আসাদুল হক, আশরাফুল হকদের কাজ থেকে (৫.৫১) শতাংশ কিনে নেন বাঘিয়ার সাত্তার মোল্লা । যাহার দলিল (নং -৭৩৮৬) । (২০১৫) সনের (১৭ সেপ্টেম্বর) (২২.৮৭) শতাংশ জমি নূর মোহাম্মদ, নূরুল ইসলাম, মান্নান, মোসারফ, মোরসেদ, হুমায়ুন হামিদ পালোয়ান গংদের নিকট থেকে বায়না সূত্রে মালিক হন সাত্তার। অভিযোগ সূত্রে আরও জানায়, কোনাবাড়ি আমবাগ এলাকায় শাহজাহান সিরাজ (৫০) ও তার সহযোগী কাদের (৫৪), কথিত ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান সজিব (৩০) এবং বাবু (৪৫) চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ভূমি দস্যু ও সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ দলের সক্রিয় সদস্য বলে থানার অভিযোগে জানা গেছে। সাত্তার মোল্লা আরো জানান, বিবাদীরা দীর্ঘদিন যাবৎ আমার ক্রয় ও বায়নাকৃত সম্পত্তি রাতের আধারে দখল করে নিয়েছে । ইতিপূর্বে জমি দখলে নিতে স্থানীয়দের নিয়ে বসা হলেও কোন কাজ হয়নি। তারা বসবার কথা বলে রাতের আধারে জমি দখল করে নেয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরকেও জানাই। কাউন্সিলর শাহজাহানকে বিষয়টি নিয়ে বসার কথা বললে এড়িয়ে যান এবং কারো কথা তোয়াক্কা না করে আমার জমি দখল করে নিয়েছে। জোর করে জমি জবর দখল করাই বর্তমানে তার কাজ । চলতি বছরের (২৩ মে) ওই জমিতে উন্নয়ন মূলক কাজ করতে গেলে শাহজাহান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগীরা দলবদ্ধ ভাবে আক্রমণ করে এবং বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখায়। তার মধ্যে কথিত ছাত্র্রলীগ নেতা সজিব রয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসের ৭ তারিখে জমি দখলের অভিযোগ এনে শাহজাহান এর বিরুদ্ধে কোনাবাড়ি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্তার মোল্লা। এ ব্যাপারে শাহজাহান এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয় কাউন্সিলর (১১নং ওয়ার্ড) আবুল কালাম আজাদ জানান, (১০ নং) ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আমি দুইজনে মিলে বেশিকিছু জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্থানীয় ভাবে বসে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু সে শাহজাহান মিয়া আমাদের কথা তোয়াক্কা না করে রাতের অন্ধকারে জমি দখল করে নিয়েছে। (জিএমপি) কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ১০ নং ওয়ার্ড উন্সিলর দেলোয়ার হোসেন দুলাল জানান, উনিতো কাউকে মানেন না। তিনি না মানেন পুলিশ প্রশাসন, না মানেন স্থানীয় কাউন্সিলরদের। তবে নিজের ইচ্ছে মত অঢেল সম্পদের মালিক হওয়ায় বেপরোয়া ভাবে জমিদখল করে আসছে। শুধু জমিদখল করেই ক্ষ্যান্ত হননি। শাহজাহান , তিনি কাউন্সিলর দুলালের কাছ থেকেও একটি জমির রাস্তা ব্যবহার করাকে কেন্দ্র করে (১০ লাখ) টাকা চাঁদা দাবী করেন। পরে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আহাইল্যা (মেম্বারের মাধ্যমে ৫ লাখ) টাকার রফাদ হলেও তা না  মেনে  তিনি রাস্তা বন্ধ করে দেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজীপুর কোনাবাড়ীতে আমবাগ এলাকায় শাহজাহান নামে এক সন্রাসী,ভুমি দস্যু ও চাঁদাবাজি জমি দখলের অভিযোগ। 

আপডেট টাইম : ০৬:২৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১
  • (মানসুরা আক্তার স্টাফ রিপোর্টে)

গাজীপুর কোনাবাড়ীতে আমবাগএলাকায় কে এই শাহজাহান একের পর এক জমি দখলের অভিযোগ ! দেশের প্রচলিত আইন-কানুনের তোয়াক্কা করেন না, অঢেল সম্পদের প্রভাব দেখিয়ে জমিদখল করা তাঁর পেশা, রাজনৈতিক তেমন প্রভাব নেই, যখন যে দল ক্ষমতায় ঠিক তখনি ওই দলেরই গুনো-গান গেয়ে বেড়ান. স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভিআইপি ভাবে থাকেন উত্তরাতে, চলাফেরাও দামী গাড়িতে । আমবাগ দক্ষিণপাড়া এলাকার মৃত আমীর আলীর ছেলে মো: শাহজাহান সিরাজের কথা। তিনি দেশের প্রচলিত আইন-কানুন ও প্রশাসনকে বার বার বোকা বানিয়ে জমি দখল করাই তার পেশা। তাই ধারাবাহীক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের দ্বিতীয় পর্বে এবার তার বিরুদ্ধে আরো একটি জমিদখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় প্রায়ই বিভিন্ন লোকের জমি জবর দখল করেন তিনি । চলতি বছরের (৭-মার্চ) গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জমি জবর দখলের অভিযোগে এনে তার বিরুদ্ধে মিতালী ক্লাবের শরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি একটি মামলা দায়ের করেন । এছাড়াও কোনাবাড়ি থানায় আরও কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে সম্রাট শাহজাহানের বিরুদ্ধে। সবশেষ গেল-৭ জুন (জিএমপি) কোনাবাড়ি থানায় আরো একটি নতুন করে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী আঃ সাত্তার মিয়া । অভিযোগ সূত্রে জানায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশন এর কোনাবাড়ি বাঘিয়া মৌজার এস এ খতিয়ান (নং- ১১৪) সিএস ও এস এ দাগ (নং -৯৮৯) মোট জমি (৩০০) শতাংশ ইহার কাতে (২৮.৩৮) শতাংশ। সামসুল হক, আসাদুল হক, আশরাফুল হকদের কাজ থেকে (৫.৫১) শতাংশ কিনে নেন বাঘিয়ার সাত্তার মোল্লা । যাহার দলিল (নং -৭৩৮৬) । (২০১৫) সনের (১৭ সেপ্টেম্বর) (২২.৮৭) শতাংশ জমি নূর মোহাম্মদ, নূরুল ইসলাম, মান্নান, মোসারফ, মোরসেদ, হুমায়ুন হামিদ পালোয়ান গংদের নিকট থেকে বায়না সূত্রে মালিক হন সাত্তার। অভিযোগ সূত্রে আরও জানায়, কোনাবাড়ি আমবাগ এলাকায় শাহজাহান সিরাজ (৫০) ও তার সহযোগী কাদের (৫৪), কথিত ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান সজিব (৩০) এবং বাবু (৪৫) চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ভূমি দস্যু ও সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ দলের সক্রিয় সদস্য বলে থানার অভিযোগে জানা গেছে। সাত্তার মোল্লা আরো জানান, বিবাদীরা দীর্ঘদিন যাবৎ আমার ক্রয় ও বায়নাকৃত সম্পত্তি রাতের আধারে দখল করে নিয়েছে । ইতিপূর্বে জমি দখলে নিতে স্থানীয়দের নিয়ে বসা হলেও কোন কাজ হয়নি। তারা বসবার কথা বলে রাতের আধারে জমি দখল করে নেয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরকেও জানাই। কাউন্সিলর শাহজাহানকে বিষয়টি নিয়ে বসার কথা বললে এড়িয়ে যান এবং কারো কথা তোয়াক্কা না করে আমার জমি দখল করে নিয়েছে। জোর করে জমি জবর দখল করাই বর্তমানে তার কাজ । চলতি বছরের (২৩ মে) ওই জমিতে উন্নয়ন মূলক কাজ করতে গেলে শাহজাহান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগীরা দলবদ্ধ ভাবে আক্রমণ করে এবং বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখায়। তার মধ্যে কথিত ছাত্র্রলীগ নেতা সজিব রয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসের ৭ তারিখে জমি দখলের অভিযোগ এনে শাহজাহান এর বিরুদ্ধে কোনাবাড়ি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্তার মোল্লা। এ ব্যাপারে শাহজাহান এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয় কাউন্সিলর (১১নং ওয়ার্ড) আবুল কালাম আজাদ জানান, (১০ নং) ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আমি দুইজনে মিলে বেশিকিছু জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্থানীয় ভাবে বসে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু সে শাহজাহান মিয়া আমাদের কথা তোয়াক্কা না করে রাতের অন্ধকারে জমি দখল করে নিয়েছে। (জিএমপি) কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ১০ নং ওয়ার্ড উন্সিলর দেলোয়ার হোসেন দুলাল জানান, উনিতো কাউকে মানেন না। তিনি না মানেন পুলিশ প্রশাসন, না মানেন স্থানীয় কাউন্সিলরদের। তবে নিজের ইচ্ছে মত অঢেল সম্পদের মালিক হওয়ায় বেপরোয়া ভাবে জমিদখল করে আসছে। শুধু জমিদখল করেই ক্ষ্যান্ত হননি। শাহজাহান , তিনি কাউন্সিলর দুলালের কাছ থেকেও একটি জমির রাস্তা ব্যবহার করাকে কেন্দ্র করে (১০ লাখ) টাকা চাঁদা দাবী করেন। পরে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আহাইল্যা (মেম্বারের মাধ্যমে ৫ লাখ) টাকার রফাদ হলেও তা না  মেনে  তিনি রাস্তা বন্ধ করে দেন।