ঢাকা ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
কাউন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়ি’র ইনচার্জের ছত্রছায়ায় চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা (পর্ব- ১) চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার বিশেষ অভিযানে চোর চক্র ও ১০ ভরিস্বর্ণসহ গ্রেপ্তার, ০৬ নাসিরনগরে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর ৪১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত গাজীপুর জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি এর ঈদ পূর্ণমিলন ও সাংবাদিকদের মিলনমেলা বিরামপুরে ভুয়া সেনা সদস্য আটক ভাঙ্গুড়ায় ৫ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকারের ৩২ হাজার জরিমানা কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ যুবকের মৃত্যু সুন্দরবনের সার্বিক নিরাপত্তায় অবদান রেখে চলছে কোস্ট গার্ড দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে: প্রধান উপদেষ্টা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠেই হেরে গেল টাইগাররা

এনআইডি কার্যক্রম স্থানান্তর নির্বাচনের কফিনে সর্বশেষ পেরেক : মাহবুব তালুকদার

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০২:৩০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১
  • / ৩০৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

সম্প্রতি জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি অনুবিভাগ জনবলসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ যে নির্দেশ জারি করেছে তা নির্বাচনের কফিনে সর্বশেষ পেরেক বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ।

এনআইডি কার্যক্রম স্থানান্তর বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এসময় কেঁদে ওঠেন ইসির এ জ্যেষ্ঠ কমিশনার। কেঁদে কেঁদে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের এনআইডি অনু বিভাগের কাজে আমি গর্ববোধ করি। দেশের ভোটারদের তথ্য আমাদের কাছে আছে।

বুধবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, কী উদ্দেশ্যে এই আত্মঘাতী ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা আমার জানা নেই।

এটি সংবিধানের ১১৯ ধারার পরিপন্থি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমি তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছি।

তিনি বলেন, গত ২৪ মে মন্ত্রিপরিষদের যুগ্মসচিব স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এনআইডি হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় ‘নির্বাচন কমিশনে’র পরবিবর্তে ‘সরকার’ শব্দটি প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে এনআইডির বিদ্যমান অবকাঠামো ও জনবল সুরক্ষা সেবা বিভাগে হস্তান্তর করার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে এ ধরনের নির্দেশ প্রদান কতটা যৌক্তিক তা বিবেচ্য। ভোটের তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র একটি অপরটির সঙ্গে জড়িত। এরফলে নির্ভুল ভোটের তালিকা প্রণয়ন এবং ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণে জটিলতা সৃষ্টি হবে। এটি করা হলে সংবিধানের ১১৯ ধারা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন সম্ভব হবে না।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে এনআইডি স্থানান্তরের নির্দেশ কমিশনের অঙ্গচ্ছেদের নামান্তর। এ বিষয়ে কমিশনকে না জানানো নির্বাচন কমিশনের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশের শামিল। নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে এ যাবৎকালে এমন দুর্দিন আর আসেনি।

সংবিধানের ১০৮ ( ৪ ) ধারায় বলা হয়েছে- ‘নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবেন এবং কেবল এই সংবিধান ও আইনের অধীন হইবেন।’ এটি কমিশনের জন্য রক্ষাকবচ হলেও নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা এখন কোথায়? আমি মনে করি, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগ অন্যত্র স্থানান্তর সামগ্রিক নির্বাচনি ব্যবস্থাপনার অন্তিমযাত্রার আয়োজন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

এনআইডি কার্যক্রম স্থানান্তর নির্বাচনের কফিনে সর্বশেষ পেরেক : মাহবুব তালুকদার

আপডেট টাইম : ০২:৩০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

সম্প্রতি জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি অনুবিভাগ জনবলসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ যে নির্দেশ জারি করেছে তা নির্বাচনের কফিনে সর্বশেষ পেরেক বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ।

এনআইডি কার্যক্রম স্থানান্তর বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এসময় কেঁদে ওঠেন ইসির এ জ্যেষ্ঠ কমিশনার। কেঁদে কেঁদে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের এনআইডি অনু বিভাগের কাজে আমি গর্ববোধ করি। দেশের ভোটারদের তথ্য আমাদের কাছে আছে।

বুধবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, কী উদ্দেশ্যে এই আত্মঘাতী ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা আমার জানা নেই।

এটি সংবিধানের ১১৯ ধারার পরিপন্থি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমি তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছি।

তিনি বলেন, গত ২৪ মে মন্ত্রিপরিষদের যুগ্মসচিব স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এনআইডি হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় ‘নির্বাচন কমিশনে’র পরবিবর্তে ‘সরকার’ শব্দটি প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে এনআইডির বিদ্যমান অবকাঠামো ও জনবল সুরক্ষা সেবা বিভাগে হস্তান্তর করার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে এ ধরনের নির্দেশ প্রদান কতটা যৌক্তিক তা বিবেচ্য। ভোটের তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র একটি অপরটির সঙ্গে জড়িত। এরফলে নির্ভুল ভোটের তালিকা প্রণয়ন এবং ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণে জটিলতা সৃষ্টি হবে। এটি করা হলে সংবিধানের ১১৯ ধারা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন সম্ভব হবে না।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে এনআইডি স্থানান্তরের নির্দেশ কমিশনের অঙ্গচ্ছেদের নামান্তর। এ বিষয়ে কমিশনকে না জানানো নির্বাচন কমিশনের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশের শামিল। নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে এ যাবৎকালে এমন দুর্দিন আর আসেনি।

সংবিধানের ১০৮ ( ৪ ) ধারায় বলা হয়েছে- ‘নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবেন এবং কেবল এই সংবিধান ও আইনের অধীন হইবেন।’ এটি কমিশনের জন্য রক্ষাকবচ হলেও নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা এখন কোথায়? আমি মনে করি, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগ অন্যত্র স্থানান্তর সামগ্রিক নির্বাচনি ব্যবস্থাপনার অন্তিমযাত্রার আয়োজন।