পাথরঘাটা রূপধন বন্দর আমিরীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় চলছে দুর্নীতি
- আপডেট টাইম : ০৮:৪২:৩৭ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৯ মে ২০২১
- / ৮৮৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
নুর এ আলম,পাথরঘাটা (প্রতিনিধি)
বরগুনার পাথরঘাটা রূপধন বন্দর আমিরীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম কবির এর নামে ছাত্র ছাত্রীরা বরিশাল বিডি নিউজ এর কাছে অভিযোগ জানান, যে স্টুডেন্ট কার্ডের জন্য ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে টাকা চাইতেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এছাড়া ও ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা জানান, এই মহামারী করোনা কালীন সময় এইতো কিছুদিন আগে দশম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপের জন্য প্রতি জন ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা করে নিয়েছেন। যেখানে সরকারি চাট অনুযায়ী প্রতি জন নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞান বিভাগের থাকে ১৯৭০টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ১৮৫০ ও মানবিক বিভাগের ১৮৫০এছাড়াও ১ থেকে ৪ বিষয়ে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীসহ সকল প্রকার পরীক্ষার্থী যাদের ব্যবহারিক নেই তাদের জনপ্রতি ৩৫০ টাকা আর যাদের ব্যবহারিক আছে তাদের জনপ্রতি ৪০০ টাকা সরকার নির্ধারণ করেছেন। উপবৃত্তি নামের ফরমের জন্য প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নিয়েছেন, যেখানে সরকারিভাবে উপবৃত্তির ফরম সম্পূর্ণ ফ্রি। আর এখন বর্তমানে স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোলাম কবির স্টুডেন্ট কার্ড এর জন্য প্রতিটি ছাত্র ছাত্রীর কাছে ১২০ টাকা চাইতেছে,এই স্টুডেন্ট কার্ড এর ফরম ও সরকারি ভাবে সম্পন্ন ফ্রী। এই স্কুলটিতে প্রায় ৬৫০জন ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞেস করলে, তিনি বলেন করোনা মহামারী কালীন সময়ে তাদের কোন ইনকাম নেই ও তাদের সরকার কোনো বেতন দিচ্ছে না। এই জন্য ছাত্র ছাত্রীর কাছ থেকে আমরা এই টাকাগুলো নেই, এই কথা বলে তিনি স্কুল থেকে চলে জান। পরবর্তীতে স্কুলের অ্যাসিস্ট্যান্ট স্যার এবং অন্যান্য স্যার কে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, এই সমস্ত কার্যাবলী সব প্রধান শিক্ষকের নির্দেশেই হয় । আর তার অধীনেই আমরা চাকরি করি, তাই আমরা তার বাইরে কিছু বলতে গেলে আমাদের পরবর্তীতে সমস্যা হতে পারে তারা। তারপর এলাকার গণ্যমান্য ও স্কুল প্রতিষ্ঠাতার লোকজনকে স্কুলের এসব কর্মকাণ্ডের কথা জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন যে,স্কুল মাঠের বরাদ্দের টাকা প্রধান শিক্ষক তার সহকারীরা ভাগাভাগি নেয়, পরবর্তীতে স্থানীয় কিছু লোকজন নিজেদের অর্থ ব্যয় করে স্কুল মাঠ বালু দিয়ে ভরাট দেন ও জয়নুল আবেদিন টুকু তিনি নিজ অর্থায়নে ফুটবল খেলার জন্য দুটি গোল পোস্ট দেয়। তারা আরো বলেন ১৫ বছর ধরে এই স্কুলটি এভাবে কেনা বেচা করতেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও তার সহকারীরা। এভাবেই ছাত্র-ছাত্রীদের রক্ত চুষে খাচ্ছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোলাম কবির।