ঢাকা ০৬:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ভাঙ্গুড়ায় ৫ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকারের ৩২ হাজার জরিমানা কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ যুবকের মৃত্যু সুন্দরবনের সার্বিক নিরাপত্তায় অবদান রেখে চলছে কোস্ট গার্ড দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে: প্রধান উপদেষ্টা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠেই হেরে গেল টাইগাররা কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় মোদিকে যে বার্তা দিলেন ড. ইউনূস শিক্ষা উপদেষ্টার অনুরোধে সাড়া দেয়নি কুয়েট শিক্ষার্থীরা, অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা আদালতে শুনানিতে পলক ৫ আগস্ট সংসদ ভবনে পালিয়ে ছিলেন শিরীন শারমিন-পলকসহ ১২ জন দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে বাফুফের নিবন্ধন লাভ করেছে দক্ষিণ হালিশহর ফুটবল একাডেমি কোস্ট গার্ডের আয়োজনে নৌপথ ও সুন্দরবনের নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা সভা

মানুষের চাপে গাড়ির জায়গা হলো না ফেরিতে!

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৮:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১
  • / ২৬৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

নাড়ির টানে আজ শুক্রবার অনেকেই যাচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে। সেহরি খেয়ে ঢাকা থেকে রওনা দেন। শিমুলিয়া পৌঁছার আগে কোনো ঝামেলা না হলেও ফেরিঘাটে এসে পড়েন চরম বিড়ম্বনায়।

অনেকেই প্রাইভেট পরিবহনে চড়ে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে পৌঁছেন কোনো ঝামেলা ছাড়াই। ঢাকার ওষুধ ব্যবসায়ী আকতারুজ্জামান খান। সকাল সাড়ে ৭টা বা ৮টার সময়ই পৌঁছেন শিমুলিয়া ঘাটে।কিন্তু কোনোভাবেই ফেরিতে গাড়ি উঠাতে পারেননি। যাবেন মাদারীপুরের শিবচরে। অবশেষে গাড়ি ওপারে চালকের কাছে রেখেই চলে আসতে হলো পরিবার পরিজন নিয়ে।

আকতারুজ্জামান খান জানান, লকডাউনের কারণে পদ্মায় চলাচলকারী লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ। তাই ফেরিতে যাত্রী চাপ অনেক বেশি। ফেরিতে গাড়ি উঠানোর জন্য দুপুর ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। যাত্রীদের জন্য কোনোভাবেই গাড়ি ফেরিতে উঠানো সম্ভব হলো না। আমার দেড় মাসের বাচ্চাসহ অবশেষে ফেরিতে চড়ে আসতে হলো। ফেরির মধ্যে একে অপরের শরীরের সাথে দাঁড়িয়ে আসতে হলো। প্রায় দেড় হাজার মানুষ ওই ফেরিতে পার হয়েছেন। মানুষের জন্য কোনোভাবেই ফেরিতে গাড়ি উঠানো সম্ভব হয়নি। তাই গাড়ি চালকের কাছে রেখে আসতে বাধ্য হলাম।

মাদারীপুর জেলার শিবচরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে শুক্রবার সকাল থেকে হঠাৎ করেই ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। ঈদের বাকি আরও এক সপ্তাহ থাকলেও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ঘরমুখো যাত্রা শুক্রবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে। শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে শিমুলিয়া থেকে রো-রো ফেরি এনায়েতপুরী শুধুমাত্র যাত্রী নিয়েই শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে এসে ভিড়ে।

এ সময় ফেরিতে কোনো গাড়ি ছিল না। ফেরিঘাট সূত্র জানা গেছে, যাত্রীদের চাপের কারণেই শিমুলিয়া থেকে ফেরিটিতে কোনো গাড়ি উঠতে পারেনি। ফেরিটিতে ১২শ’ যাত্রী ছিল বলে ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার যাত্রীদের চাপ রয়েছে। হাজার হাজার যাত্রী ঈদের আগেভাগেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। নৌরুটে রো-রোসহ ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। তবে যাত্রীদের সংখ্যা বেশি থাকায় ফেরিতে গাড়ি অপেক্ষাকৃত কম পার হচ্ছে। ফেরিতে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা থেকে শুরু করে যাত্রীদের বসার জায়গাসহ সর্বত্র ছিল উপচেপড়া ভিড়।

বরিশালের যাত্রী ফারজানা আক্তার বলেন, ঈদের আগমুহূর্তে যাত্রীদের আরও ভিড় বেড়ে যায়। বাস চলে না। ভেঙে ভেঙে বাড়ি যেতে হবে। তাই কয়েক দিন আগেই বাড়ি যাচ্ছি।

বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীদের পারাপারের জন্য ফেরির বিকল্প কোনো নৌযান না থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের প্রচুর চাপ রয়েছে। ঘাটে ফেরি ভিড়লেই যাত্রী উঠে যাচ্ছেন। এতে গাড়ি উঠতে পারছে না ফেরিতে। বাধ্য হয়েই শুধু যাত্রীদের নিয়ে ফেরি চলাচল করছে।

এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দূরপাল্লার যাত্রীরা শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে এসে বিপাকে পড়ছেন। মাইক্রোবাস, থ্রি-হুইলার আর মোটরসাইকেলযোগে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়িফেরা যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বেশি। দীর্ঘপথ তাদের কয়েক দফা গাড়ি পাল্টে যেতে হচ্ছে। আর গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।

বাংলাবাজার ঘাটের ম্যানেজার সালাউদ্দিন জানান, শিমুলিয়া প্রান্ত থেকে কোনোভাবেই পরিবহন নিয়ে ফেরি আসতে পারছে না। ফেরিঘাটে নোঙর করার সাথে সাথে মানুষ উঠে যায়। আর কোনো ধরনের গাড়ি ফেরিতে উঠানো সম্ভব হয় না।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মানুষের চাপে গাড়ির জায়গা হলো না ফেরিতে!

আপডেট টাইম : ০৬:১৮:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

নাড়ির টানে আজ শুক্রবার অনেকেই যাচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে। সেহরি খেয়ে ঢাকা থেকে রওনা দেন। শিমুলিয়া পৌঁছার আগে কোনো ঝামেলা না হলেও ফেরিঘাটে এসে পড়েন চরম বিড়ম্বনায়।

অনেকেই প্রাইভেট পরিবহনে চড়ে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে পৌঁছেন কোনো ঝামেলা ছাড়াই। ঢাকার ওষুধ ব্যবসায়ী আকতারুজ্জামান খান। সকাল সাড়ে ৭টা বা ৮টার সময়ই পৌঁছেন শিমুলিয়া ঘাটে।কিন্তু কোনোভাবেই ফেরিতে গাড়ি উঠাতে পারেননি। যাবেন মাদারীপুরের শিবচরে। অবশেষে গাড়ি ওপারে চালকের কাছে রেখেই চলে আসতে হলো পরিবার পরিজন নিয়ে।

আকতারুজ্জামান খান জানান, লকডাউনের কারণে পদ্মায় চলাচলকারী লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ। তাই ফেরিতে যাত্রী চাপ অনেক বেশি। ফেরিতে গাড়ি উঠানোর জন্য দুপুর ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। যাত্রীদের জন্য কোনোভাবেই গাড়ি ফেরিতে উঠানো সম্ভব হলো না। আমার দেড় মাসের বাচ্চাসহ অবশেষে ফেরিতে চড়ে আসতে হলো। ফেরির মধ্যে একে অপরের শরীরের সাথে দাঁড়িয়ে আসতে হলো। প্রায় দেড় হাজার মানুষ ওই ফেরিতে পার হয়েছেন। মানুষের জন্য কোনোভাবেই ফেরিতে গাড়ি উঠানো সম্ভব হয়নি। তাই গাড়ি চালকের কাছে রেখে আসতে বাধ্য হলাম।

মাদারীপুর জেলার শিবচরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে শুক্রবার সকাল থেকে হঠাৎ করেই ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। ঈদের বাকি আরও এক সপ্তাহ থাকলেও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ঘরমুখো যাত্রা শুক্রবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে। শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে শিমুলিয়া থেকে রো-রো ফেরি এনায়েতপুরী শুধুমাত্র যাত্রী নিয়েই শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে এসে ভিড়ে।

এ সময় ফেরিতে কোনো গাড়ি ছিল না। ফেরিঘাট সূত্র জানা গেছে, যাত্রীদের চাপের কারণেই শিমুলিয়া থেকে ফেরিটিতে কোনো গাড়ি উঠতে পারেনি। ফেরিটিতে ১২শ’ যাত্রী ছিল বলে ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার যাত্রীদের চাপ রয়েছে। হাজার হাজার যাত্রী ঈদের আগেভাগেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। নৌরুটে রো-রোসহ ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। তবে যাত্রীদের সংখ্যা বেশি থাকায় ফেরিতে গাড়ি অপেক্ষাকৃত কম পার হচ্ছে। ফেরিতে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা থেকে শুরু করে যাত্রীদের বসার জায়গাসহ সর্বত্র ছিল উপচেপড়া ভিড়।

বরিশালের যাত্রী ফারজানা আক্তার বলেন, ঈদের আগমুহূর্তে যাত্রীদের আরও ভিড় বেড়ে যায়। বাস চলে না। ভেঙে ভেঙে বাড়ি যেতে হবে। তাই কয়েক দিন আগেই বাড়ি যাচ্ছি।

বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীদের পারাপারের জন্য ফেরির বিকল্প কোনো নৌযান না থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের প্রচুর চাপ রয়েছে। ঘাটে ফেরি ভিড়লেই যাত্রী উঠে যাচ্ছেন। এতে গাড়ি উঠতে পারছে না ফেরিতে। বাধ্য হয়েই শুধু যাত্রীদের নিয়ে ফেরি চলাচল করছে।

এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দূরপাল্লার যাত্রীরা শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে এসে বিপাকে পড়ছেন। মাইক্রোবাস, থ্রি-হুইলার আর মোটরসাইকেলযোগে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়িফেরা যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বেশি। দীর্ঘপথ তাদের কয়েক দফা গাড়ি পাল্টে যেতে হচ্ছে। আর গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।

বাংলাবাজার ঘাটের ম্যানেজার সালাউদ্দিন জানান, শিমুলিয়া প্রান্ত থেকে কোনোভাবেই পরিবহন নিয়ে ফেরি আসতে পারছে না। ফেরিঘাটে নোঙর করার সাথে সাথে মানুষ উঠে যায়। আর কোনো ধরনের গাড়ি ফেরিতে উঠানো সম্ভব হয় না।