ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
সখিপুরে ব্যবসায়াী আঃ সালামকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ৩৮ লাখ টাকা নিয়ে হজ্ব কাফেলা এজেন্সির পরিচালক জাকারিয়া উধাও জেলে পল্লীর নীরব কান্না , দুশ্চিন্তাই এখন নিত্যদিনের সঙ্গী! বাঁচতে চায় জামিলা সকলের নিকট মানবিক সাহায্যের আবেদন মধ্যরাতে রাবি ক্যাম্পাসে বহিরাগত শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু এখনো ঊর্ধ্বমুখী তেল-চালের দাম, অস্থির মসলার বাজার ট্রাম্প ২.০: বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের ‘নাক গলানো’ কী কমবে? ভৈরবে ট্রেন থেকে ছিনতাইকারী তিন নারী গ্রেপ্তার গাজীপুরের শ্রীপুরে বিপ্লব হত্যা মামলার আসামী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অসহায় পুলিশ প্রশাসন জেনেও নীরব স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আর ফ্যাসিবাদী সহযোগীর মিলনে গণতন্ত্র পরিপুষ্ট হবেনা ।।ঠাকুরগাঁওয়ে শামসুজ্জামান দুদু

সিয়াচেনে তুষার ধসে প্রাণ গেল ২ ভারতীয় সেনার

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩৭:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১
  • / ২৭৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

ভয়াবহ তুষারপাতের ধসে দুই ভারতীয় সেনা সদস্যের মৃত্যু হল সিয়াচেন হিমবাহে। লাদাখ সেনা সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। যেখানে তুষারপাত হয়েছে সেখানে আরও সেনা সদস্য ছিলেন। তবে তারা অক্ষত আছেন। তাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ঠিক কী হয়েছিল?

সেনা সূত্র জানাচ্ছে, সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ সিয়াচেনের হানিফ সেক্টরে টহল দিচ্ছিল ওই সেনার দল। দলটির সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন কুলিও। আচমকাই ভয়াবহ তুষারপাত শুরু হলে বরফের ধস নেমে আসে। ফলে ওখানে আটকে পড়েন সকলে। উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকলকে উদ্ধার করে। সকলকেই নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হলেও পরে তুষারপাতের ফলে আহত দুই সেনা সদস্য মারা যায়।

আবহাওয়া সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় সিয়াচেন হিমবাহে সেনামৃত্যুর ঘটনা বহুবারই ঘটতে দেখা গিয়েছে। কেবল এই মাসেই এমন দুর্ঘটনা ঘটল তৃতীয়বার। এর আগে গত ১৪ এপ্রিল তুষারধসের ফলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান এক ভারতীয় সেনা অফিসার।

তুষারপাতের কবলে কেবল টহলরত সেনারাই নয়, সেনা পোস্টগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে ২০১৬ সালে উত্তর সিয়াচেনে সেনাবাহিনীর একটি শিবিরে তুষারপাতের ধাক্কায় দশজন সেনা বরফের ভিতরে তলিয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, কারাকোরাম পর্বতমালার অন্তর্গত সিয়াচেন হিমবাহ ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত। এটিই পৃথিবীর উচ্চতম সামরিক ক্ষেত্র। এমন উচ্চতায় তুষারপাত ও ভূমিধস খুবই সাধারণ ঘটনা। শীতের কামড়ে তাপমাত্রা মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও নেমে যায়। এমন প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করেই এখানে জীবনধারণ করতে হয় মোতায়েন সেনা সদস্যদের। ৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই হিমবাহে সারা বছরই প্রহরারত থাকে ভারতীয় সেনারা। নিচে নামার কোনও উপায় থাকে না। কেননা সেক্ষেত্রে শত্রুদেশ এসে দখল করে নিতে পারে এই হিমবাহ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সিয়াচেনে তুষার ধসে প্রাণ গেল ২ ভারতীয় সেনার

আপডেট টাইম : ০৭:৩৭:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

ভয়াবহ তুষারপাতের ধসে দুই ভারতীয় সেনা সদস্যের মৃত্যু হল সিয়াচেন হিমবাহে। লাদাখ সেনা সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। যেখানে তুষারপাত হয়েছে সেখানে আরও সেনা সদস্য ছিলেন। তবে তারা অক্ষত আছেন। তাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ঠিক কী হয়েছিল?

সেনা সূত্র জানাচ্ছে, সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ সিয়াচেনের হানিফ সেক্টরে টহল দিচ্ছিল ওই সেনার দল। দলটির সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন কুলিও। আচমকাই ভয়াবহ তুষারপাত শুরু হলে বরফের ধস নেমে আসে। ফলে ওখানে আটকে পড়েন সকলে। উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকলকে উদ্ধার করে। সকলকেই নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হলেও পরে তুষারপাতের ফলে আহত দুই সেনা সদস্য মারা যায়।

আবহাওয়া সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় সিয়াচেন হিমবাহে সেনামৃত্যুর ঘটনা বহুবারই ঘটতে দেখা গিয়েছে। কেবল এই মাসেই এমন দুর্ঘটনা ঘটল তৃতীয়বার। এর আগে গত ১৪ এপ্রিল তুষারধসের ফলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান এক ভারতীয় সেনা অফিসার।

তুষারপাতের কবলে কেবল টহলরত সেনারাই নয়, সেনা পোস্টগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে ২০১৬ সালে উত্তর সিয়াচেনে সেনাবাহিনীর একটি শিবিরে তুষারপাতের ধাক্কায় দশজন সেনা বরফের ভিতরে তলিয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, কারাকোরাম পর্বতমালার অন্তর্গত সিয়াচেন হিমবাহ ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত। এটিই পৃথিবীর উচ্চতম সামরিক ক্ষেত্র। এমন উচ্চতায় তুষারপাত ও ভূমিধস খুবই সাধারণ ঘটনা। শীতের কামড়ে তাপমাত্রা মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও নেমে যায়। এমন প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করেই এখানে জীবনধারণ করতে হয় মোতায়েন সেনা সদস্যদের। ৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই হিমবাহে সারা বছরই প্রহরারত থাকে ভারতীয় সেনারা। নিচে নামার কোনও উপায় থাকে না। কেননা সেক্ষেত্রে শত্রুদেশ এসে দখল করে নিতে পারে এই হিমবাহ।