ঢাকা ০২:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নির্বাচনের তিন বছর পর চেয়ারম্যান এর চেয়ার এ বসলেন দুলু নাসিরনগরে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত এখন রাজপথে থাকা বেশি প্রয়োজন, তাই পদত্যাগ করেছি: নাহিদ ইসলাম পিলখানা হত্যাকাণ্ড হুমকির মুখে বাংলাদেশ, সেনাবাহিনীর প্রধান অপারেশন ডেভিল হান্টে মোংলায় ২ জনকে আটক জামায়াত নেতা আজহার লিভ টু আপিলের অনুমতি পাবেন, আদেশ বুধবার শতাধিক সদস্যের কমিটি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করছে ছাত্রদের নতুন দল জেলা বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে ফুলবাড়ীতে মানবন্ধন ভৈরবে সুইচ গিয়ার এক ছিনতাইকারী কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের বিশুদ্ধানন্দ – শুভানন্দ অডিটোরিয়াম অনুষ্ঠিত ২০২৫

২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ট্রাজেডির ৮ বছর আমরা তোমাদের ভুলবোনা।

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১
  • / ২৭৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

দোষীদের ছাড়বো না। শ্রমিকদের প্রতি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হোক, পুরণ হোক তাদের ন্যায্য অধিকার
গত ২৪ এপ্রিল ২০২১ইং ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডাশনের যৌথ উদ্যোগে রানা প্লাজা হত্যাকান্ডের ৮ম বছরে ‘নিহতদের স্মরনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক স্মরন সভা অনুষ্ঠিত। সভার শুরুতে নিহত শ্রমিকদের স্মরনে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভায় সংগঠনের সভাপতি শ্রমিকনেত্রী সুলতানা বেগমসহ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফরিদ উদ্দিন,প্রচার সম্পাদক মোঃ তাহেরুল ইসলাম, ন্যাশনাল ডমেস্টিক ওয়ার্কার্স সেন্টারের সভাপতি সেলিনা বেগম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

সংগঠনের সভাপতি নারী নেত্রী সুলতানা বেগম বলেন, এপ্রিল মাস শ্রমিকদের জন্য সবচেয়ে শোকের মাস। ২০০৫ সালের এপ্রিল মাসের ১১ তারিখ স্পেকটার্ম গার্মেন্টস এ ৬৪জন শ্রমিক হত্যা, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ শ্রমিক হত্যাকান্ডের ঘটনাটি আমাদের চোখের সামনে ঘটছে। যে রক্তের দাগ আজও মুছে নি। যে হত্যাকান্ডের ন্যায্য বিচার শ্রমিজীবি মানুষরা আজও পায়নি তারই মধ্যে ১৭এপ্রিল চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ঘটেছে আরেকটি নারকীয় হত্যাকান্ড। আমরা এ শোকে শোকাবিভুত।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে সারা বিশ্ব আজ শতাব্দির ভয়াবহ করোনা ভাইরাস জীবানুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। সকল মানুষ সুস্থ্য থাকতে ঘরে অবস্থান করলেও শ্রমিকগন চাকুরী রক্ষায় জীবনের ঝুকি নিয়ে কর্মক্ষেত্রে যেতে হচ্ছে। অনেক শ্রমিক কাজ হারানোর  ভয়ে শংকিত। শ্রমিকদের প্রতি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হোক, পুরণ  হোক তাদের ন্যায্য অধিকার। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত বিচার দাবী করে,খুনী রানার ফাঁসি, নিহত শ্রমিক পরিবার ও আহত শ্রমিকদের পূর্নবাসন, রানা প্লাজার সম্পত্তি অধিগ্রহন করে শ্রমিক কলোনী নির্মান এবং নিহত ও আহত শ্রমিক ও তাদের পরিবারের পক্ষে পরিচালিত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ১৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গন্ডামারায় নির্মানাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ এবং রোজার মধ্যে ৮ ঘন্টা কর্মদিবস বাস্তবায়নসহ ১০দফা দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের উপর পুলিশের গুলিবর্ষনে নিহত ৫ শ্রমিকদের আইএলও কনভেনশন -১২১ অনুযায়ী ক্ষতিপূরন, আহতদের উন্নত চিকিৎসা এবং কর্তৃপক্ষ-নিরাপত্তারক্ষী-পুলিশসহ শ্রমিক হত্যার জন্য দায়িদের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দোষীদের শাস্তি দাবী করেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ট্রাজেডির ৮ বছর আমরা তোমাদের ভুলবোনা।

আপডেট টাইম : ০৮:১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

দোষীদের ছাড়বো না। শ্রমিকদের প্রতি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হোক, পুরণ হোক তাদের ন্যায্য অধিকার
গত ২৪ এপ্রিল ২০২১ইং ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডাশনের যৌথ উদ্যোগে রানা প্লাজা হত্যাকান্ডের ৮ম বছরে ‘নিহতদের স্মরনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক স্মরন সভা অনুষ্ঠিত। সভার শুরুতে নিহত শ্রমিকদের স্মরনে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভায় সংগঠনের সভাপতি শ্রমিকনেত্রী সুলতানা বেগমসহ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফরিদ উদ্দিন,প্রচার সম্পাদক মোঃ তাহেরুল ইসলাম, ন্যাশনাল ডমেস্টিক ওয়ার্কার্স সেন্টারের সভাপতি সেলিনা বেগম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

সংগঠনের সভাপতি নারী নেত্রী সুলতানা বেগম বলেন, এপ্রিল মাস শ্রমিকদের জন্য সবচেয়ে শোকের মাস। ২০০৫ সালের এপ্রিল মাসের ১১ তারিখ স্পেকটার্ম গার্মেন্টস এ ৬৪জন শ্রমিক হত্যা, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ শ্রমিক হত্যাকান্ডের ঘটনাটি আমাদের চোখের সামনে ঘটছে। যে রক্তের দাগ আজও মুছে নি। যে হত্যাকান্ডের ন্যায্য বিচার শ্রমিজীবি মানুষরা আজও পায়নি তারই মধ্যে ১৭এপ্রিল চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ঘটেছে আরেকটি নারকীয় হত্যাকান্ড। আমরা এ শোকে শোকাবিভুত।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে সারা বিশ্ব আজ শতাব্দির ভয়াবহ করোনা ভাইরাস জীবানুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। সকল মানুষ সুস্থ্য থাকতে ঘরে অবস্থান করলেও শ্রমিকগন চাকুরী রক্ষায় জীবনের ঝুকি নিয়ে কর্মক্ষেত্রে যেতে হচ্ছে। অনেক শ্রমিক কাজ হারানোর  ভয়ে শংকিত। শ্রমিকদের প্রতি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হোক, পুরণ  হোক তাদের ন্যায্য অধিকার। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত বিচার দাবী করে,খুনী রানার ফাঁসি, নিহত শ্রমিক পরিবার ও আহত শ্রমিকদের পূর্নবাসন, রানা প্লাজার সম্পত্তি অধিগ্রহন করে শ্রমিক কলোনী নির্মান এবং নিহত ও আহত শ্রমিক ও তাদের পরিবারের পক্ষে পরিচালিত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ১৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গন্ডামারায় নির্মানাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ এবং রোজার মধ্যে ৮ ঘন্টা কর্মদিবস বাস্তবায়নসহ ১০দফা দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের উপর পুলিশের গুলিবর্ষনে নিহত ৫ শ্রমিকদের আইএলও কনভেনশন -১২১ অনুযায়ী ক্ষতিপূরন, আহতদের উন্নত চিকিৎসা এবং কর্তৃপক্ষ-নিরাপত্তারক্ষী-পুলিশসহ শ্রমিক হত্যার জন্য দায়িদের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দোষীদের শাস্তি দাবী করেন।