ঢাকা ০৫:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বাবার থ্রি হুইলারে চড়ে স্কুলে যাওয়া হলোনা রুবাইয়ার// ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়ে নিহত ঘিওর, মানিকগঞ্জের এই জুলুমের বিচারের জন্য আওয়াজ তুলুন, স্থানীয়রা এগিয়ে আসুন! জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে নতুন করে ভাবছে সরকার মালয়েশিয়ায় ১৭০০ রিঙ্গিতের নিচে বেতনপ্রাপ্ত শ্রমিকদের অভিযোগ করার আহ্বান গণঅভ্যুত্থানে মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় ১৬ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে ট্রাইব্যুনাল ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা: কখন কীভাবে কার্যকর হবে কাঠালিয়া গার্ডার ব্রিজ রাতে ঢালাই রাতে ডেবে যায় নাসিরনগরে তিন সংগঠনের তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত সাবেক সিইসির সঙ্গে মব জাস্টিসের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলেকে আটক করেছে থানা পুলিশ

কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়কে মাঝখানে গাছ প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা, আতঙ্কে যাত্রীরা

ইউসুফ আহমেদ তুষার : নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ১০:৫১:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / ৩২ ১৫০.০০০ বার পাঠক

গাজীপুরের কাশিমপুর থেকে জিরানি আঞ্চলিক সড়কের মাঝখানে বনভুক্ত গাছ প্রতিদিন ঘটছে দূর্ঘটনা, আতঙ্কে যাত্রীরা

গাজীপুর মহানগরে কাশিমপুর থেকে জিরানী পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে শত শত যানবাহন—ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, অটোরিকশা,মোটর বাইক,প্রাইভেটকার ও ইজিবাইক। যাত্রীদের বড় অংশই গার্মেন্টস শ্রমিক, স্কুল শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় সাধারণ মানুষ। ব্যস্ত এই সড়কটি এখন মারাত্মক ঝুঁকির মুখে।

সড়কের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে বন বিভাগের কয়েকটি পুরোনো গাছ, যেগুলো বর্তমানে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অংশটি হচ্ছে গোবিন্দাবাড়ি ৩ নং ওয়ার্ডের ফরেস্ট বিট অফিসের সামনের সড়কটি। এখানে একাধিক গাছ সড়কের মাঝ বরাবর দাঁড়িয়ে রয়েছে, যা কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

স্থানীয় এক অটোরিকশাচালক জানান, “রাতে আলো কম থাকে, আর গাছগুলোর চারপাশে কোনো সিগন্যাল বা সতর্কতা চিহ্ন নেই। হঠাৎ করেই অনেক সময় গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে যানবাহনের ক্ষতি হয়।”

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “প্রায় প্রতি সপ্তাহেই এখানে কোনো না কোনো দুর্ঘটনা ঘটছে। ছোট শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সবাই ভয় নিয়ে চলাচল করছে এই সড়কে।”

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় কালিয়াকৈর রেঞ্জের একজন বন কর্মকর্তার সঙ্গে তিনি বলেন, “এই গাছগুলো সরকারি বনভুক্ত, তাই কাটা যাবে না অনুমোদন ছাড়া। তবে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।”

অন্যদিকে, স্থানীয়দের দাবি, যতদিন গাছগুলো অপসারণ না হচ্ছে, ততদিন সড়কটি হয়ে থাকবে এক অঘোষিত বিপদসংকেত।

“এই রাস্তায় নিয়মিত চলাচল করতে হয়। প্রতিদিনই ভয় নিয়ে যাতায়াত করি। কখন যে দুর্ঘটনা ঘটে যায়, বলা যায় না,” বলছিলেন এক যাত্রী।

এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে এসব গাছ অপসারণ করে সড়কটিকে ঝুঁকিমুক্ত করতে হবে, না হলে ভবিষ্যতে ঘটতে পারে বড় ধরনের প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়কে মাঝখানে গাছ প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা, আতঙ্কে যাত্রীরা

আপডেট টাইম : ১০:৫১:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

গাজীপুরের কাশিমপুর থেকে জিরানি আঞ্চলিক সড়কের মাঝখানে বনভুক্ত গাছ প্রতিদিন ঘটছে দূর্ঘটনা, আতঙ্কে যাত্রীরা

গাজীপুর মহানগরে কাশিমপুর থেকে জিরানী পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে শত শত যানবাহন—ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, অটোরিকশা,মোটর বাইক,প্রাইভেটকার ও ইজিবাইক। যাত্রীদের বড় অংশই গার্মেন্টস শ্রমিক, স্কুল শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় সাধারণ মানুষ। ব্যস্ত এই সড়কটি এখন মারাত্মক ঝুঁকির মুখে।

সড়কের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে বন বিভাগের কয়েকটি পুরোনো গাছ, যেগুলো বর্তমানে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অংশটি হচ্ছে গোবিন্দাবাড়ি ৩ নং ওয়ার্ডের ফরেস্ট বিট অফিসের সামনের সড়কটি। এখানে একাধিক গাছ সড়কের মাঝ বরাবর দাঁড়িয়ে রয়েছে, যা কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

স্থানীয় এক অটোরিকশাচালক জানান, “রাতে আলো কম থাকে, আর গাছগুলোর চারপাশে কোনো সিগন্যাল বা সতর্কতা চিহ্ন নেই। হঠাৎ করেই অনেক সময় গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে যানবাহনের ক্ষতি হয়।”

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “প্রায় প্রতি সপ্তাহেই এখানে কোনো না কোনো দুর্ঘটনা ঘটছে। ছোট শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সবাই ভয় নিয়ে চলাচল করছে এই সড়কে।”

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় কালিয়াকৈর রেঞ্জের একজন বন কর্মকর্তার সঙ্গে তিনি বলেন, “এই গাছগুলো সরকারি বনভুক্ত, তাই কাটা যাবে না অনুমোদন ছাড়া। তবে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।”

অন্যদিকে, স্থানীয়দের দাবি, যতদিন গাছগুলো অপসারণ না হচ্ছে, ততদিন সড়কটি হয়ে থাকবে এক অঘোষিত বিপদসংকেত।

“এই রাস্তায় নিয়মিত চলাচল করতে হয়। প্রতিদিনই ভয় নিয়ে যাতায়াত করি। কখন যে দুর্ঘটনা ঘটে যায়, বলা যায় না,” বলছিলেন এক যাত্রী।

এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে এসব গাছ অপসারণ করে সড়কটিকে ঝুঁকিমুক্ত করতে হবে, না হলে ভবিষ্যতে ঘটতে পারে বড় ধরনের প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।