ঢাকা ০১:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আরও আঘাত পাবে হামাস’, গাজায় গিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন নেতানিয়াহু প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির ৮ শীর্ষ নেতা দায়িত্বে অবহেলা করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, চসিক মেয়র ড. শাহাদাত হোসেন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে দেশটির জনগণ: যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ জানতে যমুনায় বিএনপি নেতারা ডিসি-এসপি, এমনকি থানার ওসিরাও আমাদের কথা শুনে না: কবির আহমেদ ভূঁইয়া শাহ আলম ও কথিত সাংবাদিক পরিচয় দানকারী আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসা -পর্ব ১ সিটি কলেজ-ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হঠাৎ বিসিবিতে অভিযানে দুদক তরমুজ যেভাবে ফিলিস্তিনের সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠল

দায়িত্বে অবহেলা করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, চসিক মেয়র ড. শাহাদাত হোসেন

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪১:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১ ৫০০০.০ বার পাঠক

চট্টগ্রাম নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে অবহেলা করলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় মেয়র বলেন, “বারবার সতর্ক করার পরও মশা ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে গাফিলতি লক্ষ্য করছি। এখন থেকে আমি নিজেই রাতে বের হবো, দেখে আসবো কে কাজ করছে, কে করছে না। যারা কাজে অনুপস্থিত থাকবে, তাদের বরখাস্ত করা হবে। কাজ না করলে চাকরি থাকবে না। গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি ছিল আমার নির্বাচনী ইশতেহারের মূল অঙ্গীকার। আমি তা বাস্তবায়নে কোন ছাড় দেব না।
মেয়র নির্দেশনা দেন, যারা ৩ মাসের বেশি সময় ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন, তাদের তালিকা তৈরি করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। পাশাপাশি, যেসব সুপারভাইজার, জোন প্রধান ও সুপারিন্টেনডেন্ট যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না, তাদের বদলির ব্যবস্থা নিতে বলেন। পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে গতি আনতে মেয়র প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল দ্রুত সংগ্রহের নির্দেশ দেন।
নগরবাসীর প্রতি সচেতনতার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, “পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে শুধু সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীদের দায়িত্ব নয়, নাগরিকদেরও সচেতন ভূমিকা রাখতে হবে। যত্রতত্র ময়লা না ফেলে নির্ধারিত স্থানে ফেলতে হবে এবং পরিবেশবিধ্বংসী পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। আমরা কঠোর অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছি নগরকে পরিচ্ছন্ন করতে। নগরীজুড়ে চসিকের স্পেশাল ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেটরা অভিযান চালাবেন।
মেয়র জানান, ডেঙ্গু ও কিউলেক্স মশার বিস্তার রোধে প্রতিদিন দুইবার করে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে এবং তিনি নিজে মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন। ১০০টি ফগার মেশিন ও ১২০টি স্প্রে মেশিন ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকের সহায়তায় আরও আধুনিক ফগার মেশিন যুক্ত হচ্ছে। এছাড়া, খাল ও নালা পরিষ্কারের জন্য দুটি ব্যাকহো লোডার কেনা হয়েছে, যার ব্যয় ৫ কোটি টাকা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৪০ হাজার বিন (ডাস্টবিন) বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
সিডিএর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কারণে নির্মিত অস্থায়ী বাঁধে কোথাও হঠাৎ করে জলাবদ্ধতা দেখা দিলে চসিককে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে মেয়র নগরবাসীকে অনুরোধ করেন।

মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, “নগরবাসীর মশার কামড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে সফলতা তখনই আসবে, যখন নগরবাসী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সবাই আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, পরিচ্ছন্ন বিভাগের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দায়িত্বে অবহেলা করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, চসিক মেয়র ড. শাহাদাত হোসেন

আপডেট টাইম : ০৬:৪১:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

চট্টগ্রাম নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে অবহেলা করলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় মেয়র বলেন, “বারবার সতর্ক করার পরও মশা ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে গাফিলতি লক্ষ্য করছি। এখন থেকে আমি নিজেই রাতে বের হবো, দেখে আসবো কে কাজ করছে, কে করছে না। যারা কাজে অনুপস্থিত থাকবে, তাদের বরখাস্ত করা হবে। কাজ না করলে চাকরি থাকবে না। গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি ছিল আমার নির্বাচনী ইশতেহারের মূল অঙ্গীকার। আমি তা বাস্তবায়নে কোন ছাড় দেব না।
মেয়র নির্দেশনা দেন, যারা ৩ মাসের বেশি সময় ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন, তাদের তালিকা তৈরি করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। পাশাপাশি, যেসব সুপারভাইজার, জোন প্রধান ও সুপারিন্টেনডেন্ট যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না, তাদের বদলির ব্যবস্থা নিতে বলেন। পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে গতি আনতে মেয়র প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল দ্রুত সংগ্রহের নির্দেশ দেন।
নগরবাসীর প্রতি সচেতনতার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, “পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে শুধু সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীদের দায়িত্ব নয়, নাগরিকদেরও সচেতন ভূমিকা রাখতে হবে। যত্রতত্র ময়লা না ফেলে নির্ধারিত স্থানে ফেলতে হবে এবং পরিবেশবিধ্বংসী পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। আমরা কঠোর অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছি নগরকে পরিচ্ছন্ন করতে। নগরীজুড়ে চসিকের স্পেশাল ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেটরা অভিযান চালাবেন।
মেয়র জানান, ডেঙ্গু ও কিউলেক্স মশার বিস্তার রোধে প্রতিদিন দুইবার করে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে এবং তিনি নিজে মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন। ১০০টি ফগার মেশিন ও ১২০টি স্প্রে মেশিন ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকের সহায়তায় আরও আধুনিক ফগার মেশিন যুক্ত হচ্ছে। এছাড়া, খাল ও নালা পরিষ্কারের জন্য দুটি ব্যাকহো লোডার কেনা হয়েছে, যার ব্যয় ৫ কোটি টাকা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৪০ হাজার বিন (ডাস্টবিন) বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
সিডিএর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কারণে নির্মিত অস্থায়ী বাঁধে কোথাও হঠাৎ করে জলাবদ্ধতা দেখা দিলে চসিককে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে মেয়র নগরবাসীকে অনুরোধ করেন।

মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, “নগরবাসীর মশার কামড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে সফলতা তখনই আসবে, যখন নগরবাসী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সবাই আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, পরিচ্ছন্ন বিভাগের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।