ঢাকা ০৭:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
কাঠালিয়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবক গ্রেফতার সীমান্তের ওপারে ঝুলছে বাংলাদেশির মরদেহ; ৩ দিনের যুগলজীবনের ইতি দেড় বছরে ঠাকুরগাঁয়ে গ্রাম আদালতে ২ হাজারেরও বেশি মামলা নিষ্পত্তি হাসিনার আদালত অবমাননার মামলায় অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ আরও এক সেশন শ্রীলংকার, চাপে পড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষকদের ফেসবুক ব্যবহারে অধিদপ্তরের কঠোর নজরদারি ইরানের আরাক পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাল ইসরাইল কোস্ট গার্ডের উদ্যোগে তারুন্যের উৎসব ২০২৫” শীর্ষক মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন এম.সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা দুর্নীতি অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার সাবেক সেনা ও বিমান বাহিনীর প্রধানসহ সাবেক ১০ জেনারেলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান-তদন্ত করছে দুদক

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে দেশটির জনগণ: যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৮:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৫৯ ১৫০.০০০ বার পাঠক

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কেবল বাংলাদেশের জনগণের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, আর এসব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় জনগণের ভূমিকাই হবে মূল নির্ধারক।’ স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ট্যামি ব্রুস।

এদিনের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকারী বাংলাদেশে সাম্প্রতিক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও বিভিন্ন দোকান ও ব্র্যান্ডে হামলার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে সম্প্রতি উগ্র ইসলামপন্থি সন্ত্রাসবাদের আশঙ্কাজনক বৃদ্ধির বিষয়ে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এও এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওই রিপোর্টে বলা হয়, ড. ইউনূস সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থার উত্থান ঘটেছে। প্রতিবাদকারীরা প্রকাশ্যে ওসামা বিন লাদেনের ছবি প্রদর্শন করছে, এমনকি নাৎসি প্রতীক- যেমন ঢাকার একটি ছবিতে দেখা গেছে; তাও প্রকাশ্যে তুলে ধরা হচ্ছে। মার্কিন ব্র্যান্ড যেমন কেএফসি ও কোকাকোলাকে লক্ষ্য করে ইহুদি-বিরোধী (অ্যান্টিসেমিটিক) প্রচার চালানো হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু উপদেষ্টা বা ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা এসব উত্তেজনা উসকে দিচ্ছেন।

এছাড়া এদিনের ব্রিফিংয়ে সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে ও যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন তিনি।

জবাবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, আমি আপনার বক্তব্য শুনেছি এবং আপনার উদ্বেগের প্রশংসা করি। বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ এবং দেশটির কিছু বিশেষ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই দেশ নিয়ে আমরা আগেও বহুবার আলোচনা করেছি, বিশেষ করে এখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই, তা হলো- ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাংলাদেশের আদালতের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে। অবশ্যই, এই সমস্ত বিষয় এবং আপনি যা আলোচনা করছেন- এমনকি প্রতিবাদ ইত্যাদি — বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষেরই বিষয়, এবং অবশ্যই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং আলোচনা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে এখানকার জনগণ। তারা অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে- যেমনটা আপনারা উল্লেখ করেছেন এবং আমরা বিভিন্ন রিপোর্টেও দেখেছি। নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি এখানে এটাকে তুচ্ছ বলে উল্লেখ করতে চাই না, কিন্তু এটা সত্যি।

ট্যামি ব্রুস আরও বলেন, গণতন্ত্রও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের কর্মকাণ্ডই ঠিক করবে তারা কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করবে। গত ২০-২৫ বছর ধরে আমরা দেখেছি, ভুল সিদ্ধান্ত কীভাবে জনগণের জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে। কাজেই অনেক দেশের সামনে এখন স্পষ্ট পথ রয়েছে- তারা কী বিকল্প বেছে নেবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে দেশটির জনগণ: যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট টাইম : ০৬:৩৮:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কেবল বাংলাদেশের জনগণের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, আর এসব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় জনগণের ভূমিকাই হবে মূল নির্ধারক।’ স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ট্যামি ব্রুস।

এদিনের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকারী বাংলাদেশে সাম্প্রতিক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও বিভিন্ন দোকান ও ব্র্যান্ডে হামলার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে সম্প্রতি উগ্র ইসলামপন্থি সন্ত্রাসবাদের আশঙ্কাজনক বৃদ্ধির বিষয়ে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এও এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওই রিপোর্টে বলা হয়, ড. ইউনূস সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থার উত্থান ঘটেছে। প্রতিবাদকারীরা প্রকাশ্যে ওসামা বিন লাদেনের ছবি প্রদর্শন করছে, এমনকি নাৎসি প্রতীক- যেমন ঢাকার একটি ছবিতে দেখা গেছে; তাও প্রকাশ্যে তুলে ধরা হচ্ছে। মার্কিন ব্র্যান্ড যেমন কেএফসি ও কোকাকোলাকে লক্ষ্য করে ইহুদি-বিরোধী (অ্যান্টিসেমিটিক) প্রচার চালানো হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু উপদেষ্টা বা ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা এসব উত্তেজনা উসকে দিচ্ছেন।

এছাড়া এদিনের ব্রিফিংয়ে সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে ও যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন তিনি।

জবাবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, আমি আপনার বক্তব্য শুনেছি এবং আপনার উদ্বেগের প্রশংসা করি। বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ এবং দেশটির কিছু বিশেষ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই দেশ নিয়ে আমরা আগেও বহুবার আলোচনা করেছি, বিশেষ করে এখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই, তা হলো- ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাংলাদেশের আদালতের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে। অবশ্যই, এই সমস্ত বিষয় এবং আপনি যা আলোচনা করছেন- এমনকি প্রতিবাদ ইত্যাদি — বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষেরই বিষয়, এবং অবশ্যই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং আলোচনা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে এখানকার জনগণ। তারা অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে- যেমনটা আপনারা উল্লেখ করেছেন এবং আমরা বিভিন্ন রিপোর্টেও দেখেছি। নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি এখানে এটাকে তুচ্ছ বলে উল্লেখ করতে চাই না, কিন্তু এটা সত্যি।

ট্যামি ব্রুস আরও বলেন, গণতন্ত্রও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের কর্মকাণ্ডই ঠিক করবে তারা কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করবে। গত ২০-২৫ বছর ধরে আমরা দেখেছি, ভুল সিদ্ধান্ত কীভাবে জনগণের জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে। কাজেই অনেক দেশের সামনে এখন স্পষ্ট পথ রয়েছে- তারা কী বিকল্প বেছে নেবে।