ঢাকা ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত দুর্নীতির সীমা পেরিয়ে প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর ফটিকছড়িতে অবৈধভাবে মাটি পাচার,বালু উত্তোলন ,পরিবেশ বিপন্ন দেখার মত কেউ নেই।। মদনায় ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যা, আহত ও অপহরণ মামলার আসামির টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলন আগামীকাল মোংলায় জামায়াতের উদ্যোগে এক বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বাংলাদেশে পা রাখলেন হামজা চৌধুরী, সিলেটে উচ্ছ্বাস ডিএমপি কমিশনারের দুঃখ প্রকাশ ২০১৪ সালে আ.লীগ ও বিএনপি-জামায়াতের কী সমঝোতা হয়েছিল জানালেন সাবেক সেনাপ্রধান ট্রাম্পের নির্দেশে ইয়েমেনে মুহুর্মুহু হামলা চলছে, নিহত বেড়ে ৫৩ দিনাজপুর জেলা জামায়াতের রুকন শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত

দুর্নীতির সীমা পেরিয়ে প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর ফটিকছড়িতে অবৈধভাবে মাটি পাচার,বালু উত্তোলন ,পরিবেশ বিপন্ন দেখার মত কেউ নেই।।

তালহা চৌধুরী রুদ্র : নিজস্ব প্রতিনিধি।।
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৩:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • / ১ ৫০০০.০ বার পাঠক

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় প্রায় বিভিন্ন গ্রামে অবৈধ কার্যক্রম কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছে না।। এর কারণে কৃষি জমি, সড়ক এবং পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উপজেলাটির বিশেষ করে আজাদী বাজার নানুপুর এবং ধর্মপুর অবৈধ বিভিন্ন কর্মকান্ড গড়ে উঠেছে, যেখানে কৃষি জমির টপসয়েল, নদীর পাড় ও টিলা থেকে বালি,মাটি কেটে পাচার করা হচ্ছে। এই সিন্ডিকেটের কারণে ফসল উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে, রাস্তা ও সড়কের কার্পেট নষ্ট হচ্ছে এবং পরিবেশে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

স্থানীয়রা রাত-দিন ২৪ ঘন্টায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে তারা এবং অন্ধকারে স্ক্যাভেটর, পেলুডার এবং মাটি বোঝাই গাড়ি ব্যবহার করে কৃষি জমি এবং ছোট টিলা বা পাহাড় থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।।

এবং প্রতিনিয়ত চলছে চোখের সামনে দিয়ে বালু উত্তোলন অবৈধভাবে। আজাদী বাজার ধর্মপুর ইউনিয়নের এক কৃষক নাম গোপন রেখে বলেন, আমাদের জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়ার কারণে ফসলের উৎপাদন কমে গেছে, আর ধুলাবালি বসতবাড়িতে ঢুকে যাচ্ছে।

প্রতিবাদ করতে গেলে সিন্ডিকেট সদস্যরা ভয়ভীতি দেখায়।

এছাড়া, বালি, মাটি বহনকারী গাড়ির চলাচল কৃষি জমি ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত করছে, ফলে কৃষকদের কাছে সমস্যা বেড়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, রাস্তায় বড় বড় গাড়ি চলতে থাকে, যার কারণে সড়ক ও ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে।

এদিকে সম্প্রতি আজাদী বাজার পূর্ব ধর্মপুরের এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, হালদা নদীর পাড় কেটে গভীরভাবে মাটি সরানো হচ্ছে। একটি বড় এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি খনন করা হচ্ছে ,যেখানে স্পষ্টভাবে কাটা অংশের চিহ্ন রয়েছে। আশপাশের জমিতে ঘাস ও ঝোপঝাড় থাকলেও খনন করা অংশ একদম মাটি শূন্য হয়ে গেছে। গভীরভাবে মাটি কাটা হয়েছে এবং কাঁদামাটির স্তর বেরিয়ে এসেছে।

হালদা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের অপরিকল্পিত মাটি কাটার ফলে নদীর পাড় ধসে পড়ার আশঙ্কা থাকে। হালদার মতো সংবেদনশীল নদীর পাড় এভাবে কেটে নেওয়া পরিবেশের জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।

কৃষিবিদরা বলছেন, অবৈধভাবে মাটি কাটা জমির উর্বরা শক্তি কমিয়ে দেয় এবং সেখানে দীর্ঘমেয়াদে ফসল উৎপাদন অসম্ভব হয়ে পড়ে। টপসয়েল কেটে নেওয়া জমির উর্বরা শক্তি কমে যায় এবং মাটির গঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে, সেখানে ফসলের উৎপাদন অসম্ভব হয়ে পড়ে।

পরিবেশবিদরাও এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পরিবেশবিদরা বলেন, বালু উত্তোলনের কারণে নদী আস্তে আস্তে মরে যাবে ,মাটি কাটা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে, যা জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

এদিকে সাংবাদিক বা মানবাধিকার কর্মী থাকলেও তারা বাধা দিলে বা প্রতিবাদ করলে, তাদের উপর হামলা এমন কি তাদের পরিবারের উপর হামলার হুমকি প্রতিনিয়ত দেওয়া হচ্ছে ।।
এ বিষয়ে প্রশাসনকে এবং সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তাদের জানানোর পরেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এখন পর্যন্ত।।

এ নিয়ে হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা নজরদারি করে রাখছে।।

নদী, পাড় ও টিলা কাটার ফলে এবং বালু উত্তোলনের কারণে জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং পরিবেশের ওপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়ছে। বর্ষার সময় বালু এবং মাটির কারণে রাস্তা ধ্বংস হয়ে যায় মানুষ হাটার মত অবস্থা থাকে না।।

প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার পরিবার এ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত।।
গোপন সূত্রে জানা যায় এই অবৈধ কর্মকান্ডের সাথে লিপ্ত এক ব্যক্তির নাম (আক্তার- মূল হোতা) যে কিনা অনেক বছর ধরে এই অবৈধ কর্মকান্ড করে আসছে এবং তার প্রভাব বিস্তার করে চলছে।।

এলাকাবাসী সব সময় ভীত থাকে কারণ প্রশাসনের সামনে দিয়ে তারা সবকিছু করছে অবৈধভাবে তাই তারা কিছু বলতেও পারে না। এলাকার মানুষের একটাই দাবি এই অবৈধ কর্মকান্ড গুলো অতি দ্রুত যেন বন্ধ হয় এবং রাস্তার কাজ দ্রুত যেন শুরু করা হয়।।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দুর্নীতির সীমা পেরিয়ে প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর ফটিকছড়িতে অবৈধভাবে মাটি পাচার,বালু উত্তোলন ,পরিবেশ বিপন্ন দেখার মত কেউ নেই।।

আপডেট টাইম : ০৫:১৩:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় প্রায় বিভিন্ন গ্রামে অবৈধ কার্যক্রম কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছে না।। এর কারণে কৃষি জমি, সড়ক এবং পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উপজেলাটির বিশেষ করে আজাদী বাজার নানুপুর এবং ধর্মপুর অবৈধ বিভিন্ন কর্মকান্ড গড়ে উঠেছে, যেখানে কৃষি জমির টপসয়েল, নদীর পাড় ও টিলা থেকে বালি,মাটি কেটে পাচার করা হচ্ছে। এই সিন্ডিকেটের কারণে ফসল উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে, রাস্তা ও সড়কের কার্পেট নষ্ট হচ্ছে এবং পরিবেশে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

স্থানীয়রা রাত-দিন ২৪ ঘন্টায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে তারা এবং অন্ধকারে স্ক্যাভেটর, পেলুডার এবং মাটি বোঝাই গাড়ি ব্যবহার করে কৃষি জমি এবং ছোট টিলা বা পাহাড় থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।।

এবং প্রতিনিয়ত চলছে চোখের সামনে দিয়ে বালু উত্তোলন অবৈধভাবে। আজাদী বাজার ধর্মপুর ইউনিয়নের এক কৃষক নাম গোপন রেখে বলেন, আমাদের জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়ার কারণে ফসলের উৎপাদন কমে গেছে, আর ধুলাবালি বসতবাড়িতে ঢুকে যাচ্ছে।

প্রতিবাদ করতে গেলে সিন্ডিকেট সদস্যরা ভয়ভীতি দেখায়।

এছাড়া, বালি, মাটি বহনকারী গাড়ির চলাচল কৃষি জমি ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত করছে, ফলে কৃষকদের কাছে সমস্যা বেড়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, রাস্তায় বড় বড় গাড়ি চলতে থাকে, যার কারণে সড়ক ও ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে।

এদিকে সম্প্রতি আজাদী বাজার পূর্ব ধর্মপুরের এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, হালদা নদীর পাড় কেটে গভীরভাবে মাটি সরানো হচ্ছে। একটি বড় এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি খনন করা হচ্ছে ,যেখানে স্পষ্টভাবে কাটা অংশের চিহ্ন রয়েছে। আশপাশের জমিতে ঘাস ও ঝোপঝাড় থাকলেও খনন করা অংশ একদম মাটি শূন্য হয়ে গেছে। গভীরভাবে মাটি কাটা হয়েছে এবং কাঁদামাটির স্তর বেরিয়ে এসেছে।

হালদা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের অপরিকল্পিত মাটি কাটার ফলে নদীর পাড় ধসে পড়ার আশঙ্কা থাকে। হালদার মতো সংবেদনশীল নদীর পাড় এভাবে কেটে নেওয়া পরিবেশের জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।

কৃষিবিদরা বলছেন, অবৈধভাবে মাটি কাটা জমির উর্বরা শক্তি কমিয়ে দেয় এবং সেখানে দীর্ঘমেয়াদে ফসল উৎপাদন অসম্ভব হয়ে পড়ে। টপসয়েল কেটে নেওয়া জমির উর্বরা শক্তি কমে যায় এবং মাটির গঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে, সেখানে ফসলের উৎপাদন অসম্ভব হয়ে পড়ে।

পরিবেশবিদরাও এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পরিবেশবিদরা বলেন, বালু উত্তোলনের কারণে নদী আস্তে আস্তে মরে যাবে ,মাটি কাটা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে, যা জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

এদিকে সাংবাদিক বা মানবাধিকার কর্মী থাকলেও তারা বাধা দিলে বা প্রতিবাদ করলে, তাদের উপর হামলা এমন কি তাদের পরিবারের উপর হামলার হুমকি প্রতিনিয়ত দেওয়া হচ্ছে ।।
এ বিষয়ে প্রশাসনকে এবং সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তাদের জানানোর পরেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এখন পর্যন্ত।।

এ নিয়ে হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা নজরদারি করে রাখছে।।

নদী, পাড় ও টিলা কাটার ফলে এবং বালু উত্তোলনের কারণে জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং পরিবেশের ওপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়ছে। বর্ষার সময় বালু এবং মাটির কারণে রাস্তা ধ্বংস হয়ে যায় মানুষ হাটার মত অবস্থা থাকে না।।

প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার পরিবার এ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত।।
গোপন সূত্রে জানা যায় এই অবৈধ কর্মকান্ডের সাথে লিপ্ত এক ব্যক্তির নাম (আক্তার- মূল হোতা) যে কিনা অনেক বছর ধরে এই অবৈধ কর্মকান্ড করে আসছে এবং তার প্রভাব বিস্তার করে চলছে।।

এলাকাবাসী সব সময় ভীত থাকে কারণ প্রশাসনের সামনে দিয়ে তারা সবকিছু করছে অবৈধভাবে তাই তারা কিছু বলতেও পারে না। এলাকার মানুষের একটাই দাবি এই অবৈধ কর্মকান্ড গুলো অতি দ্রুত যেন বন্ধ হয় এবং রাস্তার কাজ দ্রুত যেন শুরু করা হয়।।