ঢাকা ১২:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
সয়াবিনের পর অস্থির হচ্ছে ছোলার বাজার ডিসি ব্যবস্থা না নিলে আমাকেই নিতে হবে : রিজওয়ানা হাসান মোংলায় জামায়াতের উদ্যোগে এক বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বিবিসিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে কাশেমপুর থানার ওসির সাইফুল প্রত্যাহার দাবিতে বিএনপি কর্মী ও আমজনতার মানববন্ধন কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুন দুই কলোনির ২০ কক্ষ পুড়ে ছাই ভাঙ্গুড়ায় অবৈধ তিন ইটভাটাকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা সোলাইমান সেলিম রোজা আছি, বই পড়ি, পরিবারের সাথে ফোনে কথা বলা যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বড় সুখবর দিলেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

ডিসি ব্যবস্থা না নিলে আমাকেই নিতে হবে : রিজওয়ানা হাসান

আলামিন ইসলাম গংগাচড়া, রংপুর, প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৬:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • / ১ ৫০০০.০ বার পাঠক

বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বিশেষ করে অবৈধ ইটভাটা ও জলাশয় দখলের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “ডিসি ব্যবস্থা না নিলে আমাকেই নিতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রংপুরে আয়োজিত ‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইনপ্রয়োগ’ বিষয়ক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, “বাংলাদেশের বাতাস পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত। গত ১০ বছর ধরে এই প্রবণতা চলছে। এর পেছনে প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অবৈধ ইটভাটা অন্যতম। পরিবেশবিরোধী এসব কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমি যখন অবৈধ ইটভাটা বন্ধের কথা বলি, তখন অনেকেই শ্রমিকদের স্বার্থের কথা বলেন। কিন্তু দেশের আইন অনুযায়ী যে প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না, সেটা চলবে না।”

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, “আমি কুড়িগ্রামের এক বিশেষ বিল নিয়ে বহুবার জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু তিনি আমার সঙ্গে কথা বলার পর অন্য কারও সঙ্গে আলোচনা করেন, তারপর তার চিন্তাভাবনা বদলে যায়। আমি তাকে স্পষ্ট করে বলেছি, ওই এলাকায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে, না হলে আমাকেই নিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের বনভূমি দখল হয়ে যাচ্ছে, কৃষিজমির মাটি কেটে ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রশাসনকে এসব ঠেকাতে হবে। পরিবেশের বিরুদ্ধে অপরাধকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। এটি গুরুতর অপরাধ।”

পরিবেশ উপদেষ্টা প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “পরিবেশ অধিদপ্তর যদি পুলিশ বা প্রশাসনের সহায়তা চায়, তাহলে তারা বাধ্যতামূলকভাবে সহযোগিতা করবে। কিন্তু আমরা দেখি, অনেক সময় ‘গো স্লো’ নীতি অনুসরণ করা হয়। এই ধীরগতির কারণে আমাদের বনভূমি, নদী ও কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার করতে এখন ২ হাজার কোটি টাকা দরকার। কিন্তু যদি সময়মতো ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করে ট্যানারি শিল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ঠিক করা হতো, তাহলে এত বড় খরচ হতো না। সময়মতো ব্যবস্থা নিলে বড় ক্ষতি এড়ানো সম্ভব।”

কর্মশালায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এছাড়া অংশ নেন রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, মহানগর পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী, ৮ জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা ও দায়রা জজ, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক, পাবলিক প্রসিকিউটর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ডিসি ব্যবস্থা না নিলে আমাকেই নিতে হবে : রিজওয়ানা হাসান

আপডেট টাইম : ০৬:১৬:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বিশেষ করে অবৈধ ইটভাটা ও জলাশয় দখলের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “ডিসি ব্যবস্থা না নিলে আমাকেই নিতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রংপুরে আয়োজিত ‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইনপ্রয়োগ’ বিষয়ক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, “বাংলাদেশের বাতাস পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত। গত ১০ বছর ধরে এই প্রবণতা চলছে। এর পেছনে প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অবৈধ ইটভাটা অন্যতম। পরিবেশবিরোধী এসব কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমি যখন অবৈধ ইটভাটা বন্ধের কথা বলি, তখন অনেকেই শ্রমিকদের স্বার্থের কথা বলেন। কিন্তু দেশের আইন অনুযায়ী যে প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না, সেটা চলবে না।”

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, “আমি কুড়িগ্রামের এক বিশেষ বিল নিয়ে বহুবার জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু তিনি আমার সঙ্গে কথা বলার পর অন্য কারও সঙ্গে আলোচনা করেন, তারপর তার চিন্তাভাবনা বদলে যায়। আমি তাকে স্পষ্ট করে বলেছি, ওই এলাকায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে, না হলে আমাকেই নিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের বনভূমি দখল হয়ে যাচ্ছে, কৃষিজমির মাটি কেটে ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রশাসনকে এসব ঠেকাতে হবে। পরিবেশের বিরুদ্ধে অপরাধকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। এটি গুরুতর অপরাধ।”

পরিবেশ উপদেষ্টা প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “পরিবেশ অধিদপ্তর যদি পুলিশ বা প্রশাসনের সহায়তা চায়, তাহলে তারা বাধ্যতামূলকভাবে সহযোগিতা করবে। কিন্তু আমরা দেখি, অনেক সময় ‘গো স্লো’ নীতি অনুসরণ করা হয়। এই ধীরগতির কারণে আমাদের বনভূমি, নদী ও কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার করতে এখন ২ হাজার কোটি টাকা দরকার। কিন্তু যদি সময়মতো ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করে ট্যানারি শিল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ঠিক করা হতো, তাহলে এত বড় খরচ হতো না। সময়মতো ব্যবস্থা নিলে বড় ক্ষতি এড়ানো সম্ভব।”

কর্মশালায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এছাড়া অংশ নেন রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, মহানগর পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী, ৮ জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা ও দায়রা জজ, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক, পাবলিক প্রসিকিউটর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা