ঢাকা ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ৪৫ বছরের পুরানো এ প্রতিষ্ঠান নাম হলো আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ অথচ কলেজ শাখায় একজন ছাত্র/ছাত্রীও নেই মঠবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বনিক সমিতির ক‌মি‌টি গঠনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন গাজীপুরে দুর্নীতিবাজ ভূমি কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ এটিএম আজহারুলের মুক্তির দাবিতে গণঅবস্থানের ডাক জামায়াতের চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩ বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার কারা পেয়েছে? যা বললেন ট্রাম্প অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল বাংলা ৫২ নিউজ ডটকম এর ৯ম বর্ষপূর্তি আজশনিবার সকাল দশটায় পিরোজপুর মঠবাড়িয়ায় উদযাপিত হয় কোনাবাড়িতে বিএনপি’র দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া: আতঙ্কে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ ৩৬ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মায়ের সন্ধান পেল সাংবাদিক আশিকুর রহমান জামাল শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন মোংলা পৌর শাখার উদ্যোগে মোংলা আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসায় দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

৩৬ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মায়ের সন্ধান পেল সাংবাদিক আশিকুর রহমান জামাল

সাদ্দাম হোসেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৩:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুর উপজেলা থেকে গত ৩৬ বছর আগে ৩ বছরের শিশুপুত্র রেখে হারিয়ে গিয়েছিলেন আইয়ুবপুর গ্রামের মোঃ আক্কাস মিয়ার স্ত্রী ১ সন্তানের জননী ঝরনা বেগম।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে প্রায় ৩৬ বছর পর হারিয়ে যাওয়া ঝরনা বেগমকে (৬০) খোঁজে পেয়েছেন তার সন্তান সাংবাদিক আশিকুর রহমান জামাল।
খোজ নিয়ে জানা গেছে ১৯৮৮ সালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দূর্গারামপুর গ্রামের দারগা আলী ডিলার বাড়ি থেকে ৩ বছরের শিশুপুত্র রেখে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে নিখোঁজ হয়েছিলেন ঝরনা বেগম। আত্মীয়স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ঝরনা বেগমের কোনো সন্ধান পায় নি।

ঝরনা বেগম এর সন্তান সাংবাদিক আশিকুর রহমান জামাল বলেন আমার বয়স যখন ৩ বছর তখন মাকে হারিয়েছি, মায়ের মুখটাও মনে নেই,নেই কোন স্মৃতি, নেই কোন ভরসা।
এখন আমার বয়স প্রায় ৪০ বছর, গত ৩০ বছর যাবৎ আমি মাকে খুঁজে বেড়াতাম, যদি শুনতাম পাকিস্তান থেকে কোনো লোক দেশে এসেছে সেখানেই যাইতাম আশিক রহমান জামাল এই ভাবে তার মার খোজ খবর নিতেন, পাকিস্তানেও বিভিন্নভাবে খোজ খবর নিতেন। যখন বুঝতে শিখেছি তখন জানতে পারলাম মাকে কোন একজন চাকরীর লোভ দেখিয়ে পাকিস্তান বিক্রি করে দিয়েছে তখন থেকে পাকিস্তানের বিভিন্ন লোকজনের সাথে যোগাযোগ শুরু করি। ভাগ্যের কি নিরমর্ম ইতিহাস হঠাৎ জানতে পারি দেশফেরা গ্রুপে মা জরিনা বেগম তার আদরের সেই ছোট জামাল কে খুজতেছে, দেশে আসতে চায় মা জরিনা বেগম তার ছেলে, বাবা, ভাই, বোনের সন্ধান চায়, দেশে ফিরতে চায়, এরই মাঝে বাঞ্ছারামপুর প্রতিদিন গ্রুপের নজরে আসে একটি পোস্ট। বাঞ্ছারামপুর এলাকা বাসির দৃষ্টিতে পড়লে অন্য একটি ভিডিও আশিকুর রহমান জামাল কে দেখাতে আসে তার এক খালাতো বোন। তখন সে দেশফেরার সাথে আবার যোগাযোগ করতে থাকে। আজকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মায়ের সাথে কথা বলি। আমার আত্মীয়স্বজন সবাই কথা বলে নিশ্চিত হই এটাই আমার মা ঝরনা বেগম, ফেসবুকের কল্যাণে মায়ের সন্ধান পেয়েছি । তিনি আরও বলেন, মাকে খোঁজে পেয়ে যেন আমি নতুন পৃথিবী খোঁজে পেয়েছি। আমাকে ছোট রেখেই হারিয়ে যান জনম দুখি মা। এখন আমার সংসারে ২ ছেলে ১ মেয়ে আছে। মায়ের মুখটি কখনও দেখতে পাবো কখনও মনে হয় নি। ৩৬ বছর পর খোঁজে পাওয়ায় বাঞ্ছারামপুর প্রতিদিন ও দেশ ফেরা গ্রুপের প্রতি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আশিকুর রহমান জামাল।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

৩৬ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মায়ের সন্ধান পেল সাংবাদিক আশিকুর রহমান জামাল

আপডেট টাইম : ০৬:০৩:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুর উপজেলা থেকে গত ৩৬ বছর আগে ৩ বছরের শিশুপুত্র রেখে হারিয়ে গিয়েছিলেন আইয়ুবপুর গ্রামের মোঃ আক্কাস মিয়ার স্ত্রী ১ সন্তানের জননী ঝরনা বেগম।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে প্রায় ৩৬ বছর পর হারিয়ে যাওয়া ঝরনা বেগমকে (৬০) খোঁজে পেয়েছেন তার সন্তান সাংবাদিক আশিকুর রহমান জামাল।
খোজ নিয়ে জানা গেছে ১৯৮৮ সালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দূর্গারামপুর গ্রামের দারগা আলী ডিলার বাড়ি থেকে ৩ বছরের শিশুপুত্র রেখে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে নিখোঁজ হয়েছিলেন ঝরনা বেগম। আত্মীয়স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ঝরনা বেগমের কোনো সন্ধান পায় নি।

ঝরনা বেগম এর সন্তান সাংবাদিক আশিকুর রহমান জামাল বলেন আমার বয়স যখন ৩ বছর তখন মাকে হারিয়েছি, মায়ের মুখটাও মনে নেই,নেই কোন স্মৃতি, নেই কোন ভরসা।
এখন আমার বয়স প্রায় ৪০ বছর, গত ৩০ বছর যাবৎ আমি মাকে খুঁজে বেড়াতাম, যদি শুনতাম পাকিস্তান থেকে কোনো লোক দেশে এসেছে সেখানেই যাইতাম আশিক রহমান জামাল এই ভাবে তার মার খোজ খবর নিতেন, পাকিস্তানেও বিভিন্নভাবে খোজ খবর নিতেন। যখন বুঝতে শিখেছি তখন জানতে পারলাম মাকে কোন একজন চাকরীর লোভ দেখিয়ে পাকিস্তান বিক্রি করে দিয়েছে তখন থেকে পাকিস্তানের বিভিন্ন লোকজনের সাথে যোগাযোগ শুরু করি। ভাগ্যের কি নিরমর্ম ইতিহাস হঠাৎ জানতে পারি দেশফেরা গ্রুপে মা জরিনা বেগম তার আদরের সেই ছোট জামাল কে খুজতেছে, দেশে আসতে চায় মা জরিনা বেগম তার ছেলে, বাবা, ভাই, বোনের সন্ধান চায়, দেশে ফিরতে চায়, এরই মাঝে বাঞ্ছারামপুর প্রতিদিন গ্রুপের নজরে আসে একটি পোস্ট। বাঞ্ছারামপুর এলাকা বাসির দৃষ্টিতে পড়লে অন্য একটি ভিডিও আশিকুর রহমান জামাল কে দেখাতে আসে তার এক খালাতো বোন। তখন সে দেশফেরার সাথে আবার যোগাযোগ করতে থাকে। আজকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মায়ের সাথে কথা বলি। আমার আত্মীয়স্বজন সবাই কথা বলে নিশ্চিত হই এটাই আমার মা ঝরনা বেগম, ফেসবুকের কল্যাণে মায়ের সন্ধান পেয়েছি । তিনি আরও বলেন, মাকে খোঁজে পেয়ে যেন আমি নতুন পৃথিবী খোঁজে পেয়েছি। আমাকে ছোট রেখেই হারিয়ে যান জনম দুখি মা। এখন আমার সংসারে ২ ছেলে ১ মেয়ে আছে। মায়ের মুখটি কখনও দেখতে পাবো কখনও মনে হয় নি। ৩৬ বছর পর খোঁজে পাওয়ায় বাঞ্ছারামপুর প্রতিদিন ও দেশ ফেরা গ্রুপের প্রতি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আশিকুর রহমান জামাল।